ময়মনসিংহের তারাকান্দায় অপহরণের ৩ দিন পর জঙ্গলে মিলল বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর লাশ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জানুয়ারি ১৫ ২০২১, ২৩:৩৫

নীহার বকুল, স্টাফ রিপোর্টার:

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার সদর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে অপহরনের তিনদিন পর জঙ্গলে পাওয়া গেল বাক প্রতিবন্ধী শিশু সানজিদা (৮)লাশ।

আজ শুক্রবার সকালে শিশুটির লাশ জঙ্গল থেকে উদ্ধার করেছে তারাকান্দা থানা পুলিশ।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহান আকন্দের বাকপ্রতিবন্ধী মেয়ে কামারিয়া বিশেষ শিক্ষা বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সানজিদা মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির উঠান থেকে অপহরণ হয়। এসময় অপহরণকারীরা একটি চিরকুট রেখে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও শিশুটির সন্ধান পায়নি শিশুটির আত্নীয়স্বজনরা। এব্যাপারে তারাকান্দা থানায় বুধবার সাধারণ ডায়েরী (জি.ডি) করার পর আজ সকালে বাড়ীর পাশের জঙ্গলে শিশুটির লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী।

সংবাদ পেয়ে তারাকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই অপহরণ ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ও আত্নীয়দের কথায় জানা গেছে নিখোঁজের পর শিশুটির খোঁজ দিয়ে মোবাইলে টাকা দাবি করেছে অজ্ঞাত ব্যক্তি। বারবার টাকা দাবির বিষয়টি সবার কাছে ধুম্রজাল সৃষ্টি করেছে।মোবাইলের সূত্র ধরে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আটক করেছে ডিবি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমারুজ্জামান ও ময়মনসিংহের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ। এ সময় তারা শিশুটির পরিবারের লোকজনের সাথেও কথা বলেছেন।

নিহতের বাবা শাজাহান আকন্দ জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ির উঠান থেকে অপহরণ হয় তার মেয়ে সানজিদা। অপহরণকারীরা একটি চিরকুটে লিখে যাওয়া নম্বরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে লিখে রেখে যায়। কিন্তু নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। বুধবার অপহরণকারীরা ফোন দিয়ে তাদের বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। টাকা না পাঠানোয় তার মেয়েকে মেরে ফেলা হয়েছে বলে জানান।

ওসি শাহ কামাল আকন্দ এ ব্যাপারে জানান, নম্বর ট্রাকিং করে ইতিমধ্যে অপহরণকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছিল পুলিশ। কিন্তু আজ সানজিদার লাশ পাওয়া গেল। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবে বলে জানায় থানা পুলিশ। বিষয়টি এলাকায় আতঙ্ক ও ব‍্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

পুলিশ প্রশাসন তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত অপরাধীদের কে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় সোপর্দ করবে বলে আশ্বাস দেন।