মূর্তি বনাম ভাস্কর্য: আমাদের একাত্তর বনাম কুরআনের একাত্তর

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ২০ ২০২০, ২৩:৪৭

শায়খুল হাদীস হোসাইন আহমদ বাহুবলী

ভাস্কর্য ও মূর্তির আলোচনা কোরআনে বিশদভাবে- সবিস্তারে এসেছে সুরা নূহে। তাফসীর গ্রন্থাবলীর মধ্যে সর্বোচ্চ হাদীস ও ঐতিহাসিক রেফারেন্সের ভান্ডার তাফসীরে ইবনে কাসীরে বিষয়টি অত্যন্ত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

মূলত সেখানে মূর্তি ও ভাস্কর্যের ইতিহাস উপস্থাপন করা হয়েছে সুনিপুণভাবে। সেখানে তুলে ধরা হয়েছে ৪ টি বর্ণনা।

এক.
মূর্তি পূজার সূচনা হজরত নুহ আ. এর যুগে হয়েছিল। পবিত্র বোখারী শরীফের ৪৯২০ নং হাদীসে ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত,
صارت الاوثان التي كانت في قوم نوح في العرب بعد
আরবরা যেসব মূর্তি পূজা করে সেগুলো মূলত হযরত নুহ আ. এর যুগে আবিষ্কৃত।

ভূদ মূর্তির পূজা করত, দাওমাতুল জান্দাল অঞ্চলের বনী কলব সম্প্রদায়ের লোকেরা।

শুয়া প্রতিমার উপাসনা করত হুযাইল সম্প্রদায়ের জনগণ।

ইয়াগুস দেবতার পূজা দিত মুরাদ সম্প্রদায় এবং পরবর্তীতে সাবা অঞ্চলের সম্প্রদায়ের মানুষজন।

ইয়াউক মূর্তির উপাসনা করত হামদান সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

নছর মূর্তির পূজা করত হিময়ারের কালা গোত্রের লোকেরা।

পাঁচটি মূর্তি মূলত তৈরি হয়েছে হযরত নুহ আ. এর সম্প্রদায়ের পাঁচজন সৎকর্মশীল মানুষের নামে। তাঁরা যখন মৃত্যুবরণ করলেন, শয়তান তখন তাদের সম্প্রদায়কে কুমন্ত্রণা দিল যে, যে সৎকর্মশীল যেখানে আরাধনা করতেন, সেই স্থানসমূহে তাঁর মূর্তি স্থাপন করে তাঁর নামে নামকরণ করো। তখন তাদের উপাসনা করা হতো না। শুধু স্মরণীয় করার জন্য তৈরি করা হতো ভাস্কর্যগুলো।
فلم تعبد حتى اذا هلك اولئك وتنسخ العلم عبدت
ভাস্কর্য নির্মাণকারীরা মৃত্যুবরণ করলে তাদের নির্মাণের উদ্দেশ্য পরবর্তী প্রজন্ম ভুলে গিয়ে তাদের উপাসনা শুরু করলো।

দুই.
হযরত আলী ইবনে তালহা রহ. সূত্রে হযরত ইবনে আব্বাস রা. এর বক্তব্য পাওয়া যায়,
كانت هذه الاصنام تعبد في زمن نوح
হজরত নুহ আলাইহিস সালাম এর সম্প্রদায়‌ই তাদের উপাসনা শুরু করেছিল।

ইবনে জারীর তাবারী মোহাম্মদ বিন কায়েস থেকে বর্ণনা করেন,
মূর্তিগুলো ছিল ঐ সকল লোকের যারা আদম ও নুহ আলাইহিস সালাম এর মধ্যবর্তী সময়ে সৎকর্মশীল এবং ব্যাপক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
তাঁদের মৃত্যুর পর তাঁদের অনুসারীরা বলল যদি আমরা তাদের প্রতিকৃতি তৈরি করি তাহলে তাদেরকে দেখে দেখে তাদের মত আমরাও ইবাদতে মগ্ন হতে পারব। তারা তাঁদের ভাস্কর্য তৈরি করল। ভাস্কর্য নির্মাণকারীরা মৃত্যুবরণ করলে পরবর্তী প্রজন্মকে শয়তান ধোঁকা দিলো যে, তোমাদের পূর্ববর্তীরা এদের উপাসনা করতেন এবং তাদের মাধ্যমেই বৃষ্টি কামনা করতেন, তখন থেকেই শুরু হলো মূর্তি পূজা।

তিন.
হাফেজ ইবনে আসাকির তারীখে ইবনে আসাকিরে ৮ম খন্ডের ১৬৫ পৃষ্ঠায় হযরত শীষ আঃ সালামের জীবনী উল্লেখ করেছেন। সেখানে হযরত ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত হযরত আদম আলাইহিস সালাম এর ৪০ জন সন্তান জন্মগ্রহণ করলেন। ২০ জন ছেলে ২০ জন মেয়ে। তাদের মধ্যে চারজন বেঁচেছিলেন। হাবিল, কাবিল, সালেহ, আব্দুর রহমান।
এই আব্দুর রহমানের দ্বিতীয় নাম ছিল আব্দুল হারিস তৃতীয় নাম ভূদ চতুর্থ নাম শীস।
শীসের চার পুত্র, শুয়া, ইয়াগুস, ইয়াউক এবং নাসার।
তাদের মধ্য থেকে ভূদ সবার বড় এবং সবচেয়ে বেশি সৎকর্মশীল ছিলেন।

চার.
ইবনে আবি হাতিম আবু জাফরের সূত্রে বর্ণনা করেন ভূদ ছিলেন একজন জনপ্রিয় মুসলিম। মৃত্যুর পর তাঁর অনুসারীরা তাঁর কবরের চারপাশে বিলাপ শুরু করলো। ইবলিশ মানব রূপে তাদের কাছে এসে বলল, আমি তোমাদের বিলাপ শুনছি। মৃত ব্যক্তির প্রতি তোমাদের প্রচণ্ড ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছি। আমি কি তোমাদেরকে কোন সাহায্য করতে পারি?
তারা বলল অবশ্যই।
সে বলল, তোমরা যার বিচ্ছেদে বিরহ ব্যথা অনুভব করছো, তার অনুপস্থিতিতে বিলাপ করছো, আমি সেই সমস্যার সমাধান করে দেব। তাঁর মতো করেই একটি ভাস্কর্য তৈরি করব। তোমাদের প্রত্যেকটি বৈঠকখানায়, সভাস্থলে এই ভাস্কর্য সুশোভিত থাকবে। এই ভাস্কর্যই তাঁর শূন্যস্থান পূরণ করবে। তোমরা মনে সান্ত্বনা পাবে যে, আমাদের ভূদ আমাদের কাছেই আছেন। তাদেরকে দেখে দেখে তোমরা তাদের অনুসরণ করবে। তারা সম্মত হলে সে প্রত্যেকটি বৈঠকখানার জন্য একটি করে মূর্তি নির্মাণ করল।

শয়তান যখন দেখল বৈঠকখানায় স্থাপিত মূর্তিগুলির প্রতি তাদের অগাধ ভালোবাসা জন্মেছে, এবার সে প্রস্তাব করলো আমি কি তোমাদের প্রত্যেকের ঘরে ঘরে এমন একটি ভাস্কর্য তৈরি করে দেব?
যাতে তোমরা শুধু অফিসে নয় নিজ ঘরেও তাদেরকে দেখে দেখে সান্ত্বনা গ্রহণ করতে পারো? এবং তাদের আদর্শ অনুসরণ করতে পারো?
তারা সম্মত হলে প্রত্যেকের ঘরে ঘরে ইবলিশ একটি করে ভাস্কর্য তৈরি করে দিল। এভাবেই চলতে থাকল যুগের পর যুগ প্রজন্মের পর প্রজন্ম। পরবর্তী প্রজন্ম তাদের উপাসনা করতে শুরু করল। এভাবেই সর্বপ্রথম ভূদ নামক ভাস্কর্যের পূজার মাধ্যমে মূর্তি বা প্রতিমায় রূপান্তরিত হল।

মূর্তি ও ভাস্কর্য ভিন্ন নাকি একই বস্তু এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে। তাফসীর ইবনে কাসীরের উল্লেখিত আলোচনায় এই বিতর্কের অবসান হয়ে যায়। কারণ এক সময়ের ভাস্কর্য পরবর্তীতে মূর্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। সুতরাং মূর্তি ও ভাস্কর্য ভিন্ন হলেও তার ফলাফল সমান ভয়াবহ।

কেউ কেউ মুর্তি ও ভাস্কর্যের পার্থক্য উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন,
মূর্তি হচ্ছে দেবতার অবয়ব-আবাহন। যেখানে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পরই তারা প্রধান ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে এগুলোর উপাসনা করেন। পক্ষান্তরে ভাস্কর্য এমন নয় বরং সেগুলো কেবল সৌন্দর্যবর্ধনের, স্মৃতি সংরক্ষণের প্রতীক হিসেবে তৈরি করা হয়। যেমন, শহীদ মিনার, দিল্লির কুতুবমিনার, সাভারের স্মৃতিসৌধ ইত্যাদি।

আমরা বলবো, সৌন্দর্য বৃদ্ধির ভাস্কর্য আমরাও চাই। মতিঝিলে আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা যে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে, সেই সৌন্দর্য গোটা দেশে ছড়িয়ে দেয়া হোক। প্রতিটি উপজেলা চত্বর হোক শাপলা চত্বর।

আমাদের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধ বিরাজমান। মুক্তিযুদ্ধ যে সকল অস্ত্র দিয়ে হয়েছিল, আমরা চাই গোটা দেশের সীমান্তে স্টেনগান, মেশিনগান মর্টারসেলের মত রণ সরঞ্জামের বড় বড় ভাস্কর্য তৈরি করে আমাদের দেশ বিরোধীদের দিকে তাক করিয়ে রাখা হোক।

পৃথিবীর বুকে ভাষার জন্য যুদ্ধ করেছি একমাত্র আমরাই। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনকে স্মরণীয় করার লক্ষ্যে গ্রাম, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলাসহ গোটা দেশে এক একটি অক্ষরের ভাস্কর্য তৈরি করা হোক।

সৌন্দর্য বৃদ্ধির এই প্রোগ্রাম তো বাস্তবায়নে এগিয়ে আসবেন না! কারণ উদ্দেশ্য আপনাদের সৌন্দর্যবর্ধন নয়, বরং অন্য কিছু।

এরপরও প্রশ্ন থেকেই যায়। বঙ্গবন্ধুর অবদান স্মরণের জন্য ভাস্কর্য তৈরি করলে অসুবিধার কি আছে? ভারত পাকিস্তানসহ বিশ্বের নানা দেশে লেলিন, স্টালিন, মহাত্মা গান্ধী প্রমুখের ভাস্কর্য তারা প্রমাণ হিসেবে পেশ করতে চান।

আমরা পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই, সম্মান দেওয়ার জন্য যদি ভাস্কর্য হয়ে থাকে তাহলে এ সকল সম্মানিত ব্যক্তিবর্গের মাথায়, নাকে-মুখে, বুকে পাখির বিষ্ঠার যে সকল ছবি ভাইরাল এতে তাদের মর্যাদাহানি হচ্ছে কিনা?
তাহলে সম্মান হল কোথায়?
সত্যিই সম্মান দেবার লক্ষ্যে ভাস্কর্য নির্মিত হলে এগুলো পরিচর্যার জন্য যথেষ্ট লোক পাওয়া যেত। মূলত বাজেট থেকে কিছু পাওয়া উদ্দেশ্য, যা নির্মাণের সময় পাওয়া যায় পরিচর্যার জন্য পাওয়া যায় না।

এত অসম্মানের পরও আপনি এই সিদ্ধান্তে অটল থাকবেন, কারণ আপনি বর্তমান ফলভোগে বিশ্বাসী নন, আপনি চান আগামী প্রজন্ম এসে যেন এই দেশটাকে একটি মূর্তিপূজকের অধ্যুষিত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারে। এই উদ্দেশ্য হয়ে থাকলে আপনি অটল থাকবেনই।

যুগপরিক্রমায় ক্ষমতার পালাবদলে লেলিন, স্টালিন, সাদ্দাম, গাদ্দাফির গলায় লোহার শিকল বেঁধে সমুদ্র নিক্ষেপের উদাহরণ থেকে আপনারা শিক্ষা নেবেন না। কারণ আপনাদের উদ্দেশ্য সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে অসম্মানিত করে হলেও দেশটা যতদিন সম্ভব, মূর্তির দেশ হিসেবে, ততদিনে জন্য আখ্যায়িত হোক। পরে অপদস্ত হলেও আমাদের কিছু আসে যায় না।

এই পৃথিবীতে বহু রাজা-বাদশা, ধনকুবেরের ভাস্কর্য তৈরি হয়েছে, কিন্তু তারা অমরত্ব লাভ করতে পারেননি। মানুষ তাদেরকে কয়েক যুগ পরে আর চিনে না।

কিন্তু পৃথিবীর সৃষ্টি লগ্ন থেকে যত নবী-পয়গম্বর এসেছেন, তাঁদের কোন ভাস্কর্য ছিল না, কোন সাহাবীর কোন ভাস্কর্য নেই, ওলীগণের ভাস্কর্য নেই, কোন প্রতিমা নেই। হাতেম তাই এর মত দানবীরের, রুস্তম পালোয়ানের‌ও নেই কোন প্রতিবিম্ব। কিন্তু আজও তারা মানব হৃদয়ে অবস্থান করছেন।
তারা কিভাবে মরেও অমর হলেন?
নিশ্চয় ভাস্কর্যের মাধ্যমে নয়। জীবন্ত আদর্শ রেখে গিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের সেই রেখে যাওয়া আদর্শ‌ই তাদেরকে অমর করে রেখেছে।

বঙ্গবন্ধুর অবদান এদেশের বিএনপি-জামাত পর্যন্ত অস্বীকার করে না। আমাদের অস্বীকারের তো কোন প্রশ্নই আসে না।
আমরাও চাই বঙ্গবন্ধুর অবদান যুগ-যুগান্তরে আলোচিত হোক। তবে তাঁকে অসম্মান করে নয়, পাখির বিষ্ঠা মাথায় দিয়ে নয়। তবে কিভাবে?

এই দেশে বঙ্গবন্ধুর নামে স্কুল আছে, কলেজ আছে, ভার্সিটি আছে, স্টেডিয়াম আছে, বিমানবন্দর হচ্ছে কিন্তু কয়টা মসজিদ-মাদ্রাসা আছে?
বঙ্গবন্ধু নামাজি ছিলেন, টুপি মাথায় তাঁর বহু ছবি ভাইরাল। জায়নামাজে বসা বহু ছবি আছে। কথায় কথায় ইনশাআল্লাহ-মাশাল্লাহ বলতেন। এগুলো ছিল তাঁর আদর্শ। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণায় ৭ই মার্চের ভাষণে বলেছিলেন, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেবো, এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাল্লাহ। এই ইনশাল্লাহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই আমরা চাই বঙ্গবন্ধুকে অমর করে রাখতে হলে এদেশে বঙ্গবন্ধু মসজিদ, বঙ্গবন্ধু মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার প্রকল্প হাতে নিন।

বাজেট ঘাটতি থাকলে প্রতিটি উপজেলায় যে সকল মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে তার নাম উপজেলা মডেল মসজিদ না করে, বঙ্গবন্ধু মডেল মসজিদ করুন। জামেয়া বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করুন। সে কাজ সম্পন্ন করতে পারলে দেশরত্ন দারুল আরকাম প্রতিষ্ঠা করুন। সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মপ্রাণ মুসলমানের এই দেশে আপনাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে এ সকল পদক্ষেপ হবে কল্যাণকর।

পক্ষান্তরে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনে যারা সরকারকে উদ্বুদ্ধ করছেন, তারা জনগণকে উসকে দিয়ে সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার পায়তারায় মত্ত আছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখা দরকার সরকারের গোয়েন্দা মহলকে।

বর্তমান বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পরবর্তীতে পূজা হবে না এই নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারবে না। এক প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর ছবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দেওয়া এবং শ্রদ্ধা নিবেদনের ভিডিও ইতোমধ্যেই অনলাইনে ভাইরাল হয়েছে।

ভাস্কর্য ও মূর্তি সংস্কৃতি আমাদেরকে ময়মনসিংহের মহিলা ট্রেনিং ইনস্টিটিউট পর্যন্ত ভাবতে বাধ্য করে। যেখানে নারীদেরকে ট্রেনিং দেয়া হবে সেখানে বিশাল আকারে পুরোপুরি একজন দিগম্বর নারী, নিতম্ব ও সুডৌল বক্ষ উদোম করে দিয়ে যে ভাস্কর্য তৈরি করা হয়েছে তাও একই সূত্রে গাঁথা।

ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে যত বক্তব্যই আসুক না কেন মূলত নিরাকার আল্লাহকে অস্বীকার করার সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রকারী ইবলিশ তৈরি করেছে ভাস্কর্য বা মূর্তি। মূর্তি ভাঙ্গার উদাহরণ নেই যারা বলেন তাদেরকে বলবো মূর্তি গড়ার উদাহরণ উপস্থাপন করুন।

একাত্তরের চেতনা আমাদেরকে দ্বীন ইসলামে অটল থাকতে শেখায়, দ্বীন ত্যাগ করতে শেখায় না। কোরআনে কারীমের একাত্তর নং সূরা, সূরা নূহ ভাস্কর্য যে প্রতিমায় রূপান্তরিত হয় সেই ইতিহাসের দিকে চোখ বুলাতেই উপদেশ দেয়। সুতরাং ভাস্কর্য প্রতিমা নয় এই বিতর্ক‌ই অবান্তর।