মুসা আল হাফিজের বিষগোলাপের বন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ২৩ ২০২০, ২১:০৪

ডক্টর মাহফুজুর রহমান আখন্দ
বিষগোলাপের বন নামপদের মধ্যে এক ধরনের আলো-আঁধারের লুকোচুরি কিংবা গভীর দর্শনতত্ত্বের গন্ধ পাওয়া যায়।  বইটিতে রয়েছে বিচিত্র অনুচিন্তন ( Reflection) ।  এর সাথে রয়েছে  জ্ঞান, সংবেদ ও দর্শনের নিবিড় সংযোগ।
 বিষয়টিকে ব্যাখ্যা করতে আমাদের যেতে হবে ইংরেজ দার্শনিক জন লক  (১৬৩২-১৭০৪ )  এর কাছে। বিখ্যাত Eassy Concerning Human Understanding (1690) গ্রন্থে তিনি দেখিয়েছেন বিচিত্র অনুভাব সমূহ কীভাবে মৌলিক ধারণা তৈরী করে। যেভাবে শ্বেতত্ব , মিষ্টতা, কাঠিন্য ইত্যাদি মৌলিক ধারণার সমবায়ে আমরা চিনির  ধারণা লাভ করি,তেমনি বহুমাত্রিক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংবেদন ও অন্তর্দর্শনের মাধ্যমে আমরা জ্ঞান ও নবচিন্তায় উদ্ভাসিত হই।  বিষগোলাপের বন মূলত এক উদ্ভাসন- প্রচেষ্টা।   ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সংবেদন ও অন্তর্দর্শনের সমন্বয়ে বইটি বৃহৎ লক্ষ্য পূরণ করে।
জন লক মনে করতেন, শব্দ,গন্ধ,স্বাদ প্রভৃতি গুণের অধিষ্ঠান বস্তুতে নয়,মনে। ইন্দ্রিয় ও মনের সাথে সম্পর্কিত থাকে  একটি বিষয়ের প্রকৃত স্বরূপ। ফলে ইন্দ্রিয় ও মনের জাগরণ   দার্শনিক সত্তার গুরুত্বপূর্ণ  পদক্ষেপ। আমরা তো এমন পদক্ষেপের ধারাবাহিকতায় মনন ও সৃজনশীলতার অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করি।
  এই যাত্রাপথের কিছু   অনুচিত্র  দেখা যাবে   বিষগোলাপের বন গ্রন্থে। বইটিতে আছে বন্য ফুলের স্বাদ ও চরিত্র।   এ ধরনের চরিত্রে হতবাক হবার কোন কারণ নেই। কেননা কবি মুসা আল হাফিজ মানেই একটু ব্যতিক্রমী ঢেউ, ভিন্নতার স্বাদ কিংবা টক-ঝাল-মিষ্টির একটা রাহসিক অনুভূতির উন্মীলন। কবিতা, গদ্য, প্রবন্ধসহ শিল্প-সাহিত্যের সকল শাখাতেই তাঁর এ ধরনের প্রকাশ  নিয়মতান্ত্রিক হয়ে গেছে। তাঁর চিন্তানিসৃত সাহিত্যের সকল শাখার মজা এখানেই।
‘তীরন্দাজ সংলাপ’ দিয়েই বিষগোলাপের বনে যাত্রা শুরু করেছেন কবি মুসা আল হাফিজ।  যাত্রাপথে একজন তীরন্দাজের গতিবিধি দেখে চমকে উঠতেই পারেন। সংলাপের শব্দে চোখ রেখেই হঠাৎ কেউ ভাবতে পারেন কোন এক ক্লাশের পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য হয়তো নৈর্ব্যত্তিক গাইড লেখা হয়েছে। অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নের সলউশন ব্যাংক। এক-দুই নাম্বারের জন্য ছোট ছোট প্রশ্ন এবং উত্তর দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। বোদ্ধা পাঠকের কেউ কেউ অবহেলায় এড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখাতেই পারেন। সাধারণ পাঠক ভাববেন, এটা আবার কেমন সাহিত্য। একজন কবি শেষমেষ গাইড বইয়ের লেখক? এই বয়সে আমি গাইড বই দিয়ে আবার কি করবো? দ্রুত এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এমন ভেবে কেউ কেউ সটকে পড়ার উদ্যোগ নিতেই পারেন।
হ্যাঁ। তীরন্দাজ সংলাপের প্রশ্নোত্তরগুলো অবশ্যই গাইড বইয়ের মতো । তবে প্রচলিত একাডেমিক কোন পরীক্ষার জন্য নয়; এ পরীক্ষা জীবনের, চিন্তার, জীবনবোধের। প্রতিটি প্রশ্নের আড়ালে যেমন রহস্যের চন্দ্রবিন্দু খেলা করছে তেমনি অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে জীবন-দর্শনের এক কাব্যময় আকাশ।   দেখা-অদেখার কাব্যদর্শনে কবির প্রশ্ন, ‘চারপাশে যা কিছু দেখি, তা আসলে কী? সংক্ষিপ্ত উত্তরে আকাশে অবগাহন, ‘যা কিছু দেখি, তা আসলে দলিল এমন কিছুর, যাকে আমরা দেখি না!’ জুলুম চিত্রিত প্রশ্নে তিনি যখন বলেন, ‘ফুলের প্রতি অবিচার কখন করা হয়? অতিসংক্ষিপ্ত উত্তরে বিশাল সামুদ্রদর্শন: ‘যখন তাকে পাতা বা ডালের মতো ওজন করা হয়!’ এখানেও ঠিক সেই কথাই প্রযোজ্য। একাডেমিক গাইড বইয়ের সাথে নক্ষত্রচূর্ণকে  তুলনা করলে ঠিক এমনই হবে। ‘
 তীরন্দাজ সংলাপ’ অধ্যায়ে ৪২ টি শিরোনামে বিন্যস্ত  বিচিত্র প্রশ্নোত্তরের মধ্যে এ সত্য প্রকাশিত।  যেমন, অনন্যতা শিরোনামে  প্রশ্ন করা হয়েছে ‘ অসাধার জীবন কোথায়? কবি উত্তর দিয়েছেন,’ সাধারণ জীবন যাপনে।’  ‘বিনিময়’ শিরোনামে প্রশ্ন – ‘ ঐতিহ্যের অঙ্গীকার কী?’ উত্তরে কবি বলেছেন  ‘ তাকে রক্ষা করলে সে আমাদের রক্ষা করবে।’
‘অনুভবের লতাতন্তু’।  গ্রন্থটির দ্বিতীয় অধ্যয় বলতে পারি। ৪৯ টি শিরোনামে বিভক্ত অনুভাব।  কোন প্রশ্ন নেই এখানে। সাজানো প্রশ্ন ছাড়াই আছে কিছু উত্তর। যদিও প্রশ্ন আছে। তবে সেটা উত্তরের জন্যই। অনুগল্প, বাণী চিরন্তন, কাব্যচোখ, দার্শনিক প্রবাদ যেমন আছে, তেমনি তীব্র বিদ্রুপ ( Sarcasm)  এর সাথে জ্ঞানবিতরণের কৌতুকও খুঁজে পাবেন এখানে। ‘জলাশয়টি যখন তোমার কাছে পৃথিবী, তখন বুঝা উচিত, তুমি যাপন করছো ঢোঁড়াসাপের জীবন!’ কিংবা ‘মাছেরা জানে, কার অবস্থান কোথায় থাকা উচিত। নদীর মাছ সাধারণত সাগরে যায় না, সাগরের মাছ সাধারণত নদীতে আসে না। তারা জানে, নিজেদের সামুদ্রিক বা মিঠে পানির বৈশিষ্ট্য হারালে নিজেরা আর বাঁচবে না!’ এমন অতিসামান্য-সাধারণ বিষয়গুলো আপনার উপলদ্ধির মৃত্তিকায় রসবোধ জাগাতে পারে কিংবা ঠাসা জঙ্গলে ছড়িয়ে দেবে সুগন্ধি হাওয়া।
 সামান্য পাঠেই আমি ব্যক্তিগতভাবে সে হাওয়ায় দুলে উঠেছি।  আপনি দুলে উঠবেন সাগরপাড়ের বিশুদ্ধ স্নিগ্ধতায়।  কারণ কবি আপনাকে শুনাবেন নতুন পরিসরের কথা- ‘ যারা কবিতায় চলাফেরা করে,তারা সীমিত পরিসরে চলাফেরা করতে পারে না। ‘
কিংবা শুনাবেন গালগল্প  ।   কবি জানান ভোগবাদের সাথে আলাপের জবানবন্দী।  ‘  রাস্তায় দেখা হলো তার সাথে। সে বললো,ভালো থাকুন। আমি বললাম,তুমি যেখানে আছো,সেখানে আমরা ভালো থাকি কী করে?’
এখানে ঝাঁঝালো স্যাটায়ার পাঠক লক্ষ্য করবেন। আবার অন্য রচনায় দেখা যাবে গম্ভীর ও গভীর জীবনবোধ। যেমন  ‘কৃষকের বিজ্ঞপ্তি!’  শিরোনামে কবি লেখেন – যখন আমাকে তোমাদের মাঝে পাচ্ছো না, বুঝে নিয়ো চাষাবাদে আছি। যখন চাষীদের খেতে পাওয়া যাবে না, বুঝে নিয়ো আকাশের খেতে আছি। জমিনে আমাদের খেত আছে, আসমানেও। জমিনের খেতের ফসল মুখ দিয়ে খাই, আকাশের খেতের ফসল খাই হৃদয় দিয়ে!
জবানবন্দী আর সাক্ষাৎকারের অদ্ভুত গাঁথুনিতে ‘অস্তিত্বের বংশীধ্বনি’ দিয়েই তৃতীয় পর্ব শুরু করেছেন কবি মুসা আল হাফিজ। ১৫ টি পৃথক শিরোনামে সাজানো এ অধ্যায়। এতে সাক্ষাৎকারের ভেতরে ভেসে উঠেছে অনুগল্পের প্রতিচ্ছবি। অনুগল্পের আঙ্গিকটা কখনো গাল্পিক কখনো বা কাব্যিক। বাক্য কিংবা পঙক্তিগুলো সরলতার প্রলেপে গভীর। কথার ভেতরে লুকিয়ে আছে হাজারো কথা, দার্শনিক কবিতার বুদ্ধিবৃত্তিক খেরোখাতা। বিশ্বাস আর চেতনামূলে অক্সিজেন  পাঠানোর জন্য আগাছা মুক্ত করার প্রয়াসে নিড়ানী দিতে চান হৃদয়জমিনে। ঐতিহ্যের সিঁড়িতে নিজেকে উঠানামা করিয়েছেন মস্তিস্কের মেদ কমানোর আশায়। মেদ কমাতে চেয়েছেন মানবচিন্তার, জাতীয় জীবনের, স্বদেশের; গোটা পৃথিবীর। সফলতার হাতছানিই দেখতে পেয়েছি আমি। হয়তো সকল পাঠকই পাবেন। নিজেকে মানিয়ে নেবেন দার্শনিক কাব্যধারায় । এ অধ্যায়ে বিভিন্ন পর্যায়ে পাঠকের সাক্ষাৎ হবে মহান চিন্তক ও দার্শিকদের সাথে। যাদের মধ্যে আছেন কবি,বিজ্ঞানী  ওমর খৈয়াম ( ১০৪৮- ১১৩১)  ইমাম আবু হামিদ মুহাম্মদ  গাযালী (১০৫৮-১১১১) আবুল কাশেম মাহমুদ ইবনে ওমর জমখশরী (১০৭৫-১১৪৪) আবুল ওয়ালিদ মুহাম্মদ ইবনে আহমদ ইবনে রুশদ (১১২৬-১১৯৮) রনেঁ দেকার্ত ( ১৫৯৬-১৬৫০) মীর্জা আসাদুল্লাহ খান  গালিব (১৭৯৭-১৮৬৯) এডওয়ার্ড ফিটসজেরাল্ড ( ১৮০৯-১৮৮৩)  শিবলী নোমানী(১৮৫৭-১৯১৪) টমাস হার্ডি (১৮৪০-১৯২৮)   কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)  প্রমুখ।
একটি রচনায় বিচিত্র কথোপকথন হয় হযরত শাহজাল রহ. ( ১২৭১-১৩৪৬) এর সাথে। সাক্ষাৎকারের একটি নমুনা দেয়া যেতে পারে। ৮ ভাগে বিভক্ত এক সাক্ষাৎকারের শুরুটা এ রকম।
: কোথায় আছেন?
: বেদনায়!
: কী নিয়ে আছেন?
:বেদনা
:আপনার আনন্দ নেই?
: আছে
:সেটা কী?
: আমার বেদনা
‘বস্তুবাদের প্রতি’ শিরোনাম রচনায় কবি মুসা আল হাফিজের উচ্চারণ খুবই স্পর্ধিত।  যেমন – ‘
তোমার পকেট বেরিয়ে এসেছে সেই মন,যার কাছে চিকিৎসা মানে পণ্য, গরীব মানে পোকামাকড়,  বৃদ্ধ মানে লাশ, লাশ মানে শকুনের খাদ্য!
তোমার পকেট থেকে বিরিয়ে  আসা সরকার মানে মারপিট, সেবা মানে ফাকিং, মন্ত্রী মানে বান্দর, হাসি মানে প্রতারণা আর-
পররাষ্ট্রনীতি মানেই দুর্বলের দেশে গণহত্যা!’
‘ঘটনার ভেতরে’ও ঘটনা থকে। সে ঘটনাগুলোর কোনটা ঘটে আবার কোনটা ঘটেও না। যেটা ঘটে না, কোন কোন চোখ সেটাকেই আগে দেখে। এ রকম চোখ যেমন বাংলাদেশের ঘরে-বাইরে, তেমনি বিশ্বের বৈশ্বিক আস্তরণের কোণায় কোণায় ছড়িয়ে আছে। তবু তারাও দেখতে চায়, দেখতে চায় সাধারণ মানুষও। গ্রন্থের চতুর্থপর্বটি  ২২টি শিরোনাম দিয়ে সাজিয়েছেন   কবি মুসা আল হাফিজ। ঘটনাগুলোর সাথে যুক্ত আছে বিভিন্ন জাতি ও ইতিহাসের নানা অধ্যায়। যুক্ত আছেন বহু ব্যক্তিত্ব। একেবারে সক্রেটিস (খ্রি.পূর্ব-৪৭০-৩৯৯)  প্লেটো (খ্রি.পূর্ব৪২৭-৩৪৭) ডায়োজিনিস (খ্রিস্টপূর্ব – ৪১২-৩২২) আল বেরুনি (৯৭৩-১০৪৮) ইবনে হাইসাম (৯৬৫-১০৪০) থেকে নিয়ে রুপইয়ার্ড কিপলিং (১৮৬৫-১৯৩৬) ও ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪)  অবধি।  রাজনীতি, সমাজ-সংস্কৃতি, সাহিত্য-দর্শন এমনকি অর্থনীতির চাকাতেও তৃতীয় চোখের যোগসূত্র ঘটিয়ে রেখেছেন তিনি। সে চোখ যদি মানবতার প্রলেপে আমাদের রাঙিয়ে নেয় তবেই তো সুখনিদ্রা।   কবি এতে কতোটা সফল তা পাঠকই বিচার করুন।
সবশেষে ‘বিষগোলাপের বন’ আবিস্কারের জন্য কামান দাগাতে দাগাতে এগিয়ে গেছেন কবি মুসা আল হাফিজ। কামানের গোলায় আছে উত্তপ্ত বারুদ। সে বারুদেও সবাইকে ঝলসাতে পারবে না জানি। কারণ চামড়ার পার্থক্য এখন অনেক বেশি। মানবিক গতরে এখন সার্জারি চলছে অনবরত। মস্তিস্কের নিউরণে এখন ছায়াপথ আর ব্লাকহোলের স্নায়ুযুদ্ধ। চোখে পড়ে না যুদ্ধের সাজসজ্জা, কানে বাজে না মানবিকতার কষ্টবিলাপ। বিশ্বায়ন এবং তথ্যপ্রযুক্তির ঘূর্ণিঝড়ে উড়ে যাচ্ছে কাব্যপৃষ্ঠা, দার্শনিক সবকের নান্দনিক বর্ণমালা। তবুও দুঃসাহসিক পথচলা। হয়তো মিলবে সোনালি ভোরের সহাস্য সূর্য; তাইতো হৃদয়-মিনারে এই সাহসী আজান।
৯৫ টি কথনে সজ্জিত এ অধ্যায়ে আছে নির্যাসধর্মী বচন।  যেমন আত্মপরচয় সম্পর্কে কবির দার্শনিক  অভিমত ‘ তুমি যদি নিজের মতো করে নিজের পরিচয় না লেখো, অন্য কেউ তার মতো করে তোমার পরিচয় লিখবে।’  দর্শনের স্বরূপ সম্পর্কে কবির উক্তি- ‘সত্য একটি বাঘ হলে দর্শন সেই বাঘের থাবা।’ ১৯৭১ সম্পর্কে তাঁর উপলব্ধি হলো ‘ ১৯৭১ গুরুত্বপূর্ণ। এর মানে হলো, আরো ১৯৭১ দরকার! ‘ স্বাধীন চিন্তা সম্পর্কে তার মতামত- ‘ বিদ্রোহের বিস্ফোরক ছাড়া স্বাধীন চিন্তা অর্থহীন।’
  ভুমিকা শেষ করতে চাই কবির বিশেষ এক আহবান দিয়ে। তিনি বলেছেন ‘ আসুন! সংক্ষিপ্ত হই! বিস্তারিত হবার প্রয়োজনে।’
বিষগোলাপের বন বইটি ঠিকই  সংক্ষিপ্ত।  কিন্তু এর ভেতরে নিহিত আছে দর্শনচিন্তার ব্যাপক  বিস্তারণ।
বইটির প্রতিটি প্রতিটি অধ্যায় কিংবা প্রতিটি পৃষ্ঠা পাঠে পাঠক বিরাম নিতে পারেন এবং গভীর ভাবনার জন্য  নিতে পারেন  অবসর।
দার্শনিক বোধকে জাগায় এবং ভাবনাকে রাঙ্গায়, এমন বই বরাবরই বিরল। বিষগোলাপের বন সেই ধারার এক উজ্জ্বল  সংযোজন।
আর কথা নয়। আসুন, বনের ভেতরে প্রবেশ করি!
লেখক : কবি,গবেষক।  প্রফেসর ও চেয়ারম্যান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।