মাওলানা ফয়সাল আহমদ: হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক, জামেয়া মোহাম্মদিয়া মোহাম্মদপুরের ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, আজকে যখন সিলেটের মাটিতে হেফাজতে ইসলামের স্মরণকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হলো, তখন শাহাবাগ এলাকায় কিছু নর্দমার কিটের আস্ফালন প্রত্যক্ষ করলাম। এরা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নাম ব্যবহার করে ভিনদেশী এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত আছে।

কিছুদিন যাবত আমরা লক্ষ্য করছি, মুক্তিযোদ্ধ মঞ্চের টার্গেট হক্কানী উলামায়ে কেরাম। বিশেষত তাওহীদি জনতার হৃদয়ের স্পন্দন, হেফাজতে ইসলাম এর যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। আগেও তারা একদিন সমাবেশ করেছে। আমরা এড়িয়ে গেছি। কিন্তু আজকে তারা সীমা লঙ্ঘন করেছে। চরমোনাই পীর মাওলানা ফয়জুল করিম ও মাওলানা মামুনুল হকের নাম নিয়ে জঘন্যতম শ্লোগান দিয়েছে। এরপর কুশপুত্তলিকা দাহও করেছে। এদের এই আস্ফালন আর সহ্য করা যায় না। হেফাজতের সফল কাউন্সিলের পর থেকেই মনে হচ্ছে, মহল বিশেষ এর মাথা খারাপ। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর প্রোগ্রাম বাতিল করা হয়েছে। হলুদ মিডিয়ায় আজগুবি সংবাদ পরিবেশিত হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চেকে লেলিয়ে দেয়া হয়েছে। বিকল্প হেফাজত গঠনেরও চেষ্টাও চলছে। এসব চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র প্রমাণ করছে- হেফাজতে ইসলাম কাঙ্ক্ষিত পথেই আছে।যতদিন পর্যন্ত হেফাজত এভাবে আপসহীন ভূমিকায় থাকবে তাওহীদি জনতার এই স্রোতকে কোনো ষড়যন্ত্রই রুখতে পারবে না ইনশাআল্লাহ। সরকারের ও প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি থাকবে, অনতিবিলম্বে এদের অপতৎপরতা বন্ধ করুন। এরা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ যদি আরেকবার এধরনের দুঃসাহস দেখায় তাহলে উচিত জবাব দিতে হেফাজত প্রস্তুত রয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় না আনলে পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য হেফাজতে ইসলাম দায়ী থাকবে না।

সহ-প্রচার সম্পাদক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।