মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে কাদের মির্জার সাংবাদিক সম্মেলন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জানুয়ারি ২১ ২০২১, ২১:৫৯

এম.এস আরমান,নোয়াখালী

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার সদ্য বিজয়ী মেয়র, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার (২১জানুয়ারী) বসুরহাট পৌরসভার রুপালী চত্বরে সন্ধা ৭ টায় সাংবাদিক সম্মেলনে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন,অশ্বদিয়ার যে ছেলেটি আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে স্থানিয় সকলেই জানে সে নারী কেলেংকারিতে জড়িত এবং গ্রেপ্তারও হয়েছে। আমার কাছে তথ্য আছে ঐ ছেলেটি মদ-জুয়া নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকে। তার মত ছেলে আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করা একটা হাস্যকর বিষয়।

নোয়াখালীর এমপি একরামুল করিম ও সামসুদ্দিন জেহানের সহযোগিতায় এই মামলা করার দাবি করে মেয়র কাদের মির্জা বলেন,অবাধ সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিপুল ভোটে পৌর নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় ওদের হিংসা হচ্ছে। আমাদের সফলতা ওদের সয্য হচ্ছেনা তাই আমার বিরুদ্ধে নানান সড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নারী কেলেংকারীতে গ্রেপ্তার হওয়া ঐ ছেলেটিকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা করিয়েছে। আমি এসব মামলাকে ভয় করিনা,কারন মামলার তদন্তে যদি আমি দোশী প্রমানিত হই শাস্তি মেনেনিতে আমি প্রস্তুত, তবে আমি কারো বিরুদ্ধে মামলা দিবোনা, আমি মামলা করবো আল্লার কাছে।

তিনি আরো বলেন,যারা আমার বিরুদ্ধে সড়যন্ত্র করছে তারা ভয় পাচ্ছে তাদের পদ আমি কেড়ে নেইকিনা,আমি স্পষ্ট ঘোষনা দিচ্ছি আমার কোনো পদের লোভ নেই,আগামীতে আমি আওয়ামীলীগের কোনো কমিটিতে কোনো দায়ীত্বে যাবোনা, আমার পদ প্রয়োজন নেই, আমি আমার জনগণকে নিয়ে ভালো আছি।

সাংববাদিক সম্মেলনে তিনি কোম্পানীগঞ্জের সকল জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ভয় পাবেন্না,যে যাই করুক আমি আপনাদের সাথেই আছি,আপনাদের সাথেই থাকব। মানুষরুপী কিছু অমানুষ আছে এরা কখনো সামনে এসে কিছু বলেনা,শুধু পিছন থেকে সড়যন্ত্র করে।এসব সড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে করতে জীবনের শেষ প্রান্তে পৌচেগেছি।

উল্লেখ্য,নোয়াখালীর সুধারাম থানার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য রিয়াজ উদ্দিন গত ২১ জানুয়ারী সিনিয়র বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট কোম্পানীগঞ্জ আমলী আদালতে ২৯৮/৫০০/৫০১ ধারায় মানহানি মামলা করা হয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। মামলায় বলাহয় আবদুল কাদের মির্জা আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানিয় নেতাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ায় মানহানি হয়েছে। এছাড়াও সমাবেশ চলাকালিন আযান দেয়ায় “১০ মিনিট পর আযান দিলে কি হতো” বলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগ করা হয়েছে।