মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো নাটক

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ২৭ ২০২২, ১৫:১১

হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেছেন, আদালতে আমরা জিজ্ঞাসা করেছি মামুনুল হকের স্ত্রী ঝর্ণা আপনাদের কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল কিনা? তারা উত্তরে না বলেছেন। তাহলে স্পষ্টই বুঝা যায় এটা একটা সাজানো নাটক। উনাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এই ঘটনা সাজানো হয়।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তৃতীয় দফায় তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আর সাক্ষগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাতে তিনি এসব কথা বলেন।

অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক নয়ন বলেন, আদালত আমরা সাক্ষীদের জেরা করেছি। জেরায় আমরা অনেক কিছুই পেয়েছি। তাদের কথায় অসামঞ্জস্যতা আছে। আমাদের প্রশ্নে তারা অনেক কিছুরই উত্তর দিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, মামলার সাক্ষী সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু জবানবন্দিতে বলেছেন আমি আটক করি। আজকেও তিনি এটা স্বীকার করেছে। মামুনুল হক দেশবরেণ্য একজন আলেম। আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে দেখেছি রফিকুল ইসলাম নান্নু মামুনুল হককে হেনেস্তা করেছে শারীরিকভাবে। তার দাড়ি ধরার চেষ্টা করেছেন। থাপ্পড় মারতেও উদ্যত হয়েছেন। তাদের আচরণেই বুঝা এটা সাজানো নাটক। মামুনুল হককে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসানোর জন্যই এই নাটক সাজিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে মামুনুল হককে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর করেন এবং তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেন ওই নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

সৌজন্যে: যুবকণ্ঠ