মসজিদে নেগারা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ২৬ ২০১৮, ০৬:০৮

মসজিদে নেগারা নেগারা, কুয়ালালামপুর

মালয়শিয়া মালয়শিয়ার স্বাধীনতার ইতিহাসকে ধারণ করে রাজধানীর বুকে যে মসজিদ দাড়িয়ে আছে সেটা মসজিদে নেগারা ৷ স্বাধীনতার নায়ক প্রধানমন্ত্রী টুংকু আব্দুর রহমান রাজ্যের এগারোজন মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ঠিক করেন স্বাধীনতাকে স্মরনীয় করে রাখতে একটি মসজিদ নির্মাণ করবেন৷

সবার সম্মতি নিয়ে তিঁনি 1957 সালে মসজিদে নেগারা নির্মাণ করেন ৷ মুখ্যমন্ত্রীরা তাঁর নামেই এ মসজিদটির নাম রাখার আবেদন করলে তিঁনি বিনয়ের সঙ্গে তা ফিরিয়ে দেন ৷ তখন তিঁনি মসজিদের নাম মসজিদে নেগারা (জাতীয় মসজিদ) রাখেন ৷

তেরো একর জায়গা নিয়ে তিঁনি বিশাল এই মসজিদটি নির্মাণ করেন ৷ তাতে প্রায় পনেরো হাজার মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করতে পারে ৷ মসজিদের মূল ভবন ছাড়াও মসজিদের তিনদিকে তিনটি বারান্দা রয়েছে ৷

মূল মসজিদের উপরে বিশাল আয়োতন নিয়ে ছাতাকৃতির একটি গম্বুজ রয়েছে ৷ গম্বুজের উপরের অংশে নীল কালারের টাইলসে ঢাকা হলেও ভিতরের অংশে রয়েছে আরো জাঁকজমকপূর্ণ কাঁচে মোড়ানো ৷ নান্দনিক ঝাড়বাতির সঙ্গে কাঁচের মিল রেখে মুড়িয়ে দেয়া হয়েছে গম্বুজের চারপাশ ৷ মসজিদটি দেখতে ইস্তাম্বুলের নীল মসজিদের কথা স্মরণ করিয়ে দিবে যে কারো ৷

মসজিদের বাম পাশটায় পানির ফোয়ারা নিয়ে দাড়িয়ে আছে তিহাত্তর ফুট উঁচু একমাত্র মিনারটি ৷ যার মাথায় রয়েছে বদ্ধ ছাতাকৃতির নকশা ৷ মসজিদের সামনের দুটো পানির ফোয়ারার পাশ ঘেঁষে রয়েছে আকর্ষণ করার মত বিভিন্ন ফুলের নান্দনিক আকৃতি ৷

মসজিদটি নির্মাণে মধ্যপ্রাচ্য, স্পেন ও ইস্তাম্বুলের স্থাপত্যের মিশ্রন রেখে যুক্তরাজ্যের স্থপতি হাওয়ার্ড আ্যাশল এবং মালয়শিয়ার হিশাম আল বাকরি ও বাহারুদ্দিন কাশিমের নকশায় নির্মাণ করা হয় ৷ যা 1963 সনে নির্মাণ কাজ শুরু করে 1965 সনে শেষ করা হয় ৷ এছাড়া মসজিদের সাথে কমপ্লেক্স, ইসলামিক মিউজিয়াম, বার্ড পার্ক ও পুলিশ মিউজিয়ামও রয়েছে ৷ যে কেউ মসজিদটি পরিদর্শনের সাথে এগুলোও দেখে আসতে পারবেন ৷ মসজিদটি রাজধানী কুয়ালালামপুর রেল স্টেশনের পাশে অবস্থিত ৷

— মুনীরুল ইসলাম

কুয়ালালামপুর, মালয়শিয়া