বিশ্ব শিক্ষক দিবস ও শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ০৫ ২০২০, ০০:৪৩

সমাজ গড়ার কারিগর হলেন শিক্ষক। আদর্শ শিক্ষকের হাত ধরেই তৈরি হয় আদর্শ ছাত্রছাত্রী। একজন মানুষের সফতার পেছনে শিক্ষকের ভূমিকা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ওই ব্যক্তিই উপলব্ধি করতে পারেন। একজন আদর্শ শিক্ষক কেবলমাত্র পড়াশোনার ক্ষেত্রে নয়, তিনি ছাত্রকে জীবনে চলার পথে পরামর্শ দিয়ে থাকেন, ব্যর্থতায় পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ দেন, সাফল্যের দিনে নতুন লক্ষ্য স্থির করে দেন। তিনি তাকে শুধুমাত্র জীবনে সফল হওয়া নয়, কিভাবে একজন ভাল মানুষ হতে হয় শেখান।

৫ই সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষক দিবস ও ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ এর জন্মদিন হিসেবে উদযাপন করা হয়। ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ ছিলেন একজন দার্শনিক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী এবং লেখক। বিংশ শতাব্দীতে তিনি দর্শন তত্ত্বের একজন মস্ত বড় পন্ডিত ছিলেন। তিনি যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন তখন তার কিছু ছাত্র এবং বন্ধু ৫ই সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন পালন করার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেন। তিনি এর উত্তরে বলেছিলেন, “৫ই সেপ্টেম্বর আমার জন্ম দিবস পালন না করে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করলে আমি আরও অধিক সম্মানিত বোধ করব।” সেই থেকে শুরু হয় শিক্ষক দিবস পালন করা যা এখনো সকল ভারতবাসী তাকে সম্মান জানানোর জন্য পালন করে থাকে।

বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই বিভিন্ন দেশে শিক্ষা দিবস পালনের উদ্দ্যোগ নেয়া হতে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশে কোনো বিখ্যাত শিক্ষক কিংবা উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জনকে উপলক্ষ করে এই দিবস পালন করা হয়। যেমন– ১১ সেপ্টেম্বর ডোমিনো ফসটিনো সার্মেন্তোর মৃত্যু দিবসে আর্জেন্টিনা শিক্ষক দিবস পালন করে। যদিও ভারত প্রথাগতভাবে হিন্দু পঞ্জিকা অনুসারে আষাঢ় (জুন–জুলাই) মাসের পূর্ণিমায় গুরু পূর্ণিমা (আধ্যাত্মিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষকদের মঙ্গল কামনায় নিবেদিত) পালন করে, ১৯৬২ সাল থেকে সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিনেও (৫ সেপ্টেম্বর) দেশটিতে শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে। অন্যান্য আন্তর্জাতিক দিবসগুলোর মতো একই সাথে সারা বিশ্বে পালিত না হয়ে বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে শিক্ষক দিবস পালিত হওয়ার এটি একটি মুখ্য কারণ। ২০ শতকের গোড়ার দিকে দিবসটি পালন করার রীতি শুরু হয়।

১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর তারিখ বিশ্ব ব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। এই দিবসটি শিক্ষকদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য পালন করা হয়। ইউনেস্কোর মতে, বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়। বিশ্বের ১০০টি দেশে এই দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এই দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। দিবসটি উপলক্ষে ইআই প্রতি বছর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করে থাকে যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষকতা পেশার অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়। শিক্ষক দিবস এমন একটা দিন যা ছাত্রাবস্থা শেষ হয়ে গেলেও মুছে যায় না। বাবা মায়ের পর সন্তান যাঁদের কাছে সব থেকে বেশি সময় কাটায় তাঁরাই শিক্ষক। তাই এই দিনটা সেই মানুষদের জন্য যারা আমাদের গড়ে তুলেছেন। শুধু বইয়ের শিক্ষায় নয় জীবনের পাঠে দীক্ষিত করেছেন।

শিক্ষক দিবস হলো শিক্ষকদের সম্মানার্থে পালিত একটি বিশেষ দিবস যা বাংলাদেশ এবং ভারতসহ পৃথিবীর বহু দেশে ভিন্ন ভিন্ন দিনে উদযাপিত হয়। এদিন শিক্ষকদেরকে তাদের নিজস্ব কর্মক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সম্মাননা দেয়া হয়। ভিন্ন ভিন্ন দিনে উদযাপিত হলেও সেপ্টম্বরের ৫ তারিখ ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ব শিক্ষক দিবস। পৃথিবীর সকল দেশের শিক্ষক সমাজের নিকট এ দিনটি অত্যন্ত গৌরব ও মর্যাদার। তবে শিক্ষক দিবস পালনের ইতিহাস খুব বেশিদিন আগের নয়। দেশের অগণিত শিক্ষকদের আদর্শগত মহান কর্মকাণ্ডের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁদের পেশাগত অবদানকে স্মরণে-বরণে শ্রদ্ধায় পালন করার জন্য সমগ্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মহান শিক্ষক পালন করার রীতি রয়েছে। শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তাঁদের অবদানকে স্মরণ করার জন্য ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছর ৫ অক্টোবর তারিখ বিশ্ব ব্যাপী পালিত হয়ে থাকে বিশ্ব শিক্ষক দিবস। তবে ভারতে ৫ই সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষক দিবস পালিত হয়।

এবিসি থেকে শুরু করে লাল, সাদা এবং নীল, ইতিহাস থেকে শুরু করে অঙ্ক- সমস্ত কিছুর শিক্ষকদের দ্বারাই শিখতে পেরেছি আমরা। শিক্ষক আমাদের হাত ধরেন, মনের দরজা খোলেন, হৃদয় স্পর্শ করেন। শিক্ষকরা জোগান অনুপ্রেরণা। পরামর্শদাতা হয়ে পাশে থাকেন সবসময়। কৌতূহলের বীজ রোপণ করে কল্পনাকে দিশা দেখান তারা। ভাল শিক্ষকের কারণেই সাধারণ পড়ুয়াও অসাধারণ কাজ করে ফেলে। জ্ঞানের পথে চালিত করে জীবনের দিশা ঠিক করে দেয়ার নামই শিক্ষক। নিজেদের সময়, শক্তি, এবং ভালোবাসার বিনিময়ে শিশুদের শিক্ষিত করে তোলে তোলেন তারা। সেরা শিক্ষক হৃদয় থেকে শিক্ষা দেন, বই থেকে নয়।

শিক্ষক সম্পর্কে এ পি জে আবদুল কালাম বলেছিলেন, ‘যদি একটি দেশকে দুর্নীতিমুক্ত এবং সুন্দর মনের মানুষের জাতি হতে হয়, তাহলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এ ক্ষেত্রে তিনজন সামাজিক সদস্য পার্থক্য এনে দিতে পারে। তারা হলেন বাবা, মা এবং শিক্ষক।’

অ্যারিস্টটল বলেন- ‘যাঁরা শিশুদের শিক্ষাদানে ব্রতী তাঁরা অবিভাবকদের থেকেও অধিক সম্মাননীয়। পিতামাতা আমাদের জীবনদান করেন ঠিকই। শিক্ষকরা সেই জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন।’

রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, “আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় সেই গুরুকেই খুঁজিতেছি, যিনি আমাদের চিত্তের গতিপথকে বাধামুক্ত করিবেন”।

উইলিয়াম আর্থার ওয়ার্ড-এর মতে, ‘একজন সাধারণ শিক্ষক বক্তৃতা করেন, একজন ভালো শিক্ষক বিশ্লেষণ করেন, একজন উত্তম শিক্ষক প্রদর্শন করেন, একজন শ্রেষ্ঠ শিক্ষক অনুপ্রাণিত করেন’।

একটি দেশের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, টেকসই প্রযুক্তির উন্নয়ন ও সার্বিক অগ্রগতিতে শিক্ষকের ভূমিকা অপরিসীম। শিক্ষক একজন শিল্পীর ন্যায়; তিনি মানব মনের সহজাত প্রবৃত্তি/শক্তি ও সুপ্ত সম্ভাবনার পরিস্ফুটন ঘটিয়ে সত্যিকারের মানুষ তৈরির কাজে নিয়োজিত থাকেন। একজন শিক্ষক শুধু কাক্সিক্ষত বিষয়বস্তু পাঠদানই করেন না, পাশাপাশি তিনি শিক্ষার্থীর মনে দেশপ্রেম, মানবতাবোধ, নৈতিকতাবোধ, মূল্যবোধ সৃষ্টিতেও অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। অধিকন্তু কায়িক শ্রমের মর্যাদা, নেতৃত্বের গুণাবলীর বিকাশ, সৃজনশীলতা, বিজ্ঞানমনস্কতা, শিক্ষার্থীদের উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখানো, সামাজিক অগ্রগতির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন ইত্যাদি বিষয়ে অপরিহার্য কূশলী হিসেবে শিক্ষক সম্পৃক্ত থাকেন।

শিক্ষকতা কেবল পেশা নয়, শিক্ষকতা একটি মহান ব্রত। গোটা মনুষ্য সমাজের মধ্যে নৈতিক বিচারে শিক্ষকদের চেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি এবং শিক্ষকতার চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পেশা আর একটিও নেই। একজন আদর্শ শিক্ষক জানেন তার চলার পথ কণ্টকাকীর্ণ এবং ভবিষ্যৎ বিড়ম্বনাময়। তবু তিনি হৃদয়ের টানে এই সুকঠিন জীবিকার পথ বেছে নেন। এজন্য তাকে জীবনব্যাপী সংগ্রাম করতে হলেও তিনি আদর্শচ্যুত হন না। সর্বদা ন্যায়নীতির প্রশ্নে তিনি আপোসহীন। শিক্ষক ‘মানুষ গড়ার কারিগর’ নামে আখ্যায়িত। শিক্ষানিকেতন তার কর্মশালা। তিনি শিক্ষার্থীর মনন, মেধা ও আত্মশক্তির বিকাশ, পরিশীলন, উন্নয়ন ও প্রসার সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন। সমাজ ও জাতি গঠনে, দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নয়নে, দেশের সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে, বিশ্বের দরবারে নিজ দেশের গৌরবময় অবস্থান গড়ে তুলতে একজন আদর্শ শিক্ষকের অবদান একজন রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, অর্থনীতিবিদ বা সমাজনেতার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। তাই বলা যায়, একজন আদর্শ শিক্ষক দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান ও শ্রেষ্ঠ মানুষের অন্যতম। জাতি সঙ্গত কারণেই শিক্ষকের কাছে অনেক প্রত্যাশা করে।

শিক্ষকতা পেশা মহান, পাশাপাশি জটিলও বটে। এই পেশার উন্নয়নে জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োজন সর্বাগ্রে। আর প্রয়োজন ইতিবাচক মনোভাব। একজন শিক্ষককে তাঁর পেশার উন্নয়নের স্বার্থে প্রতিনিয়ত নব নব জ্ঞান ও কৌশলের সন্ধান করতে হয়। পাঠদানকে শতভাগ সফল করতে নতুন নতুন পদ্ধতি/কৌশল, প্রযুক্তি ও আধুনিক জ্ঞান-গবেষণার সন্ধানে নিরলস প্রচেষ্টায় নিজেকে সর্বদা সচেষ্ট রাখতে হয়। আর এসব পদ্ধতি ও কৌশলকে আয়ত্ত করতে হলে শিক্ষককে প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও দক্ষতার উন্নয়ন সাধন করতে হয় এবং যথাসময়ে যথোপযুক্ত জায়গায় প্রয়োগ করার প্রতি ইতিবাচক নজর দিতে হয়। একজন শিক্ষককে পেশাগত মূল্যবোধ, আত্মপ্রত্যয় ও বোধগম্যতার সমন্বয় ঘটিয়ে শ্রেণি-পাঠদান সার্থক ও ফলপ্রসূ করতে হয়। শুধু পাঠদানই শিক্ষকের একমাত্র দায়িত্ব নয়, শিক্ষকের তার চেয়েও আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো শিক্ষার্থীর মনে স্বপ্ন বুনে দেয়া। তাকে উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখানো।

সারাবছরই আমাদের জীবনে তাঁরা থাকেন প্রবলভাবে। কখনও ভুল ধরিয়ে দেন, কখনও নতুন জিনিস শিখিয়ে দেন, কখনও বকুনি দেন, কখনও আবার স্নেহের সঙ্গে নিজের কাছে টেনে নেন। প্রত্যেকের জীবনেই শিক্ষকরাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষক দিবস হল সেই বিশেষ মানুষ-পথপ্রদর্শকদের আরও একবার শ্রদ্ধা জানানোর দিন। কোভিড কোপে শিক্ষক দিবস, তাই সেলেব্রেশনের ধাঁচ বদল। এ এক অন্য শিক্ষক দিবস। করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বদলে গিয়েছে সকলের স্বাভাবিক ছন্দ। তাই তাল মিলিয়ে পাল্টেছে ফেস্টিভ্যাল সেলিব্রেশন, বিশেষ দিনের শুভেচ্ছা, আরও নানা দিক। রাত পোহালেই শিক্ষক দিবস, এবা আর স্কুল কলেজে অনুষ্ঠান নয়, তা বলে কি থেমে থাকবে সেলিব্রেশন, না, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিনটি প্রতিবারের মতই সুন্দর করে তুলতে ভার্চুয়াল জগতকেই বেছে নিয়েছেন অনেকেই।

শিক্ষক হচ্ছেন শিক্ষাব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি। শিক্ষকতা কেবল চাকরি নয়, এটি একটি মহান পেশা। সমাজ গঠনে, দেশের শিক্ষা-সংস্কৃতির উন্নয়নে, সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে একজন আদর্শ শিক্ষকের অবদান অনস্বীকার্য। মেধা, প্রজ্ঞা ও জ্ঞান-দক্ষতায় পরিপূর্ণ শিক্ষক হচ্ছেন দেশ ও জাতির অমূল্য মানবসম্পদ। জাতির বুনিয়াদ গঠনে ও জাতীয় ঐতিহ্য-লালনে শিক্ষকের ভূমিকা যে কোনো পেশাজীবীর চেয়ে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য তাদের দেশের শ্রেষ্ঠ মানুষের অন্যতম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সঙ্গত কারণে তাদের কাছে জাতির প্রত্যাশা অনেক। এ জন্য শিক্ষককে নিজ পেশার প্রতি নিবেদিত প্রাণ হতে হয়। একজন শিক্ষক সব সময়ের জন্যই শিক্ষক। তার কর্মক্ষেত্র কেবল শ্রেণিকক্ষেই ব্যাপ্ত নয়; সর্বত্র। একজন ছাত্র শিক্ষককে দেখে শিখবে, তার বক্তব্য শুনে শিখবে, তার আচার-আচরণ লক্ষ্য করে শিখবে। তাই শিক্ষকদের ন্যায়-নীতিবান মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন আদর্শ মানুষ হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।

শুধু পুঁথিগত বিদ্যাই নয়, শিক্ষকদের থেকে যে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের শিক্ষা অর্জন করি, তা জীবনের বাকি দিনগুলোতে বহন করে থাকি আমরা। স্কুলের গন্ডি পার করার পর কম বেশি আমরা সকলেই বারংবার ফিরে দেখি ফেলে আসা স্কুলের দিন। হ্যাঁ, ঐ দিনগুলোই বেশ ছিল, পরীক্ষার টেনশন, হাজার বকুনি, চোখ রাঙানির বেড়াজাল দেওয়া ঐ চনমনে অতীতকে আজ খুব ভালো সময় বলে মনে হয়। যে সময়টাতে আমাদের গড়ে তোলার কারিগর হিসাবে ছিলেন শিক্ষকরা। আজও তাঁরা তাঁদের বিরামহীন জ্ঞান উজাড় করে দিয়ে গড়ে যাচ্ছেন একের পর এক ছাত্রছাত্রী।

আমরা যা শিখেছি, যতটা জেনেছি তার অধিকাংশটাই শিখিয়েছেন আমাদের শিক্ষকরা। সফলতার পিছনে থাকে শিক্ষকের অবদান। যাঁদের ওপর ভর করে মাথা তুলে দাঁড়াই আমরা। ৫ সেপ্টেম্বরের দিনটি তাঁদেরকেই সম্মান করতে পালন করা হয় প্রত্যেক বছর। যে সময়টাতে আমাদের গড়ে তোলার কারিগর হিসাবে ছিলেন শিক্ষকরা। আজও তাঁরা তাঁদের বিরামহীন জ্ঞান উজাড় করে দিয়ে গড়ে যাচ্ছেন একের পর এক ছাত্রছাত্রী।

মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।