বিশ্বজয়ী হাফেজে কোরআনদের রাষ্ট্রীয় সম্মান; বাস্তবতা এবং একটি প্রস্তাবনা

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ২২ ২০২২, ১৪:১৮

অভিনন্দন হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম।

সৌদি আরব আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় ১১১ দেশের সাথে প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিয়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে হাফেজ সালেহ আহমেদ তাকরিম।

পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে এক লক্ষ রিয়াল যার বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৩০লক্ষ টাকা!

একজন কোরআনের হাফিজের সম্মানে এই অংক তো কিছুই নয়। আসল পুরষ্কার তো আল্লাহই দিবেন।

আরেকটি কথা না বললেই নয়। অনেকেই আফসোস করে বলছেন, “বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলাররা যদি সরকারিভাবে এতো মূল্যায়ন পেতে পারে তাহলে, বাংলাদেশের পক্ষ হয়ে বিজয়ী একজন কোরআনের হাফেজ কেনো এমন সংবর্ধনা পায় না”।

আরে ভাই, কার সাথে কী মিলাতে যাচ্ছেন একটু চিন্তা করছেন? হারাম জুয়ারী খেলাধুলার প্রতিযোগিতা আর কোরআন প্রতিযোগিতাকে এক সাথে করলে হবে?

তাছাড়া একজন বিজয়ী কোরআনের হাফেজকে সরকারিভাবে মূল্যায়ন করার মতো তো অবস্থা বর্তমান বাংলাদেশে নেই, যদিও আমরা বলে থাকি ‘নব্বই ভাগ মুসলিমের দেশ’। এই নব্বই ভাগের মধ্যে কতোটা পার্সেন্ট আসলেই ‘মুসলিম’ সেটা তো সবার চোখের সামনেই। মুসলিম নামের “ইসলাম বিদ্ধেষী” মনোভাবাপন্ন গোষ্ঠীরা যেখানে গোটা দেশকে খামচে ধরে আছে, সেখানে বিশ্ব জয়ী হাফেজে কোরআনের সরকারি অভ্যর্থনা আর মুল্যায়ন আশা করা বোকামি নয় কি?

যদি মনে করেন বিশ্ব জয়ী কোরআনের হাফেজকে বিশাল আকারে সম্মান জানানো উচিত, তাহলে আসুন আমরা যারা কোরআনকে ভালোবাসি, কোরআনের ধারক বাহক আলেম উলামাদেরক ভালোবাসি, তারা উদ্যোগ নেন কোন স্টেডিয়ামে অথবা বড় খোলা মাঠে বিশাল সংবর্ধনা দেবার। প্ল্যান করুন, উদ্যোগ নেন অথবা আমরা উদ্যোগ নেবো কিন্তু আপনারা সাথে থাকতে হবে। পারবেন?

সম্পাদক, একুশে জার্নাল ডটকম।