বালাগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর নির্মাণে খাস জামি দখল না ছাড়তে পায়তারা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ১৯ ২০২০, ২১:৩৩

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি:

বালাগঞ্জে সরকারি খাস জায়গায় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আশ্রয়ন প্রকল্পের নির্ধারিত জায়গায় ঘর নির্মাণ না করতে স্থানীয় একটি মহল পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, গত ১২ নভেম্বর উপজেলার পশ্চিম গৌরীপুর ইউনিয়নের কলমপুর গ্রামে খাস জায়গা পরিদর্শনে এসে বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ মন্ডল এই জায়গায় লাল পতাকা টানিয়ে যান।

কুকুরালী মৌজার জে.এল নম্বর- ২০৪, বি.এস দাগ নম্বর- ৩১৬৭, ৩১৬৮, ৩১৬৯, ৩১৭০ ও ৩১৭১ সীমানায় পতাকা টানিয়ে জায়গাকে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মুজিববর্ষে ভূমিহীনদের আশ্রয়ন প্রকল্পের অধীনে নির্মিতব্য এই ঘর গুলোর জন্য নির্ধারণ করা হলেও খাস জায়গার দখল ছাড়তে নারাজ স্থানীয় কলমপুর গ্রামের আজমল আলী গংরা।

নির্ধারিত এই জায়গায় ঘর নির্মাণ না করার পায়তারার অংশ হিসেবে তারা এলাকায় দফায় দফায় বৈঠক করেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য স্বপন কান্ত দাস সপু বলেন, সরকারি খাস জায়গায় ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ প্রকল্পটিতে স্থানীয় এক লোক আরো কয়েকজনকে সংগঠিত করে জায়গার দখল না ছাড়তে একাধিক বৈঠকে বসেছেন।

প্রথমদিন বৈঠকের জন্য আমাকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। আমি তখন বালাগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসে ছিলাম। বিষয়টি এসিল্যান্ড স্যারকে জানালে তিনি আমার মাধ্যমে এসব বৈঠক না করতে বৈঠক আয়োজনকারীদের আহবান জানান। সর্বোপরী সরকারি উদ্যোগে আশ্রয়ন প্রকল্পের কাজে বাধার চেষ্ঠা না করতে আমি তাদেরকে বুঝানোর চেষ্ঠা করেছি।

বালাগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ মন্ডল বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে জানতে পেরেছি স্থানীয় এক লোক আরো কয়েকজন লোককে সংগঠিত করে জায়গার দখল না ছাড়ার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি এই কাজে যদি কেউ বাধা দিতে আসে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, আমাদের কাজ আমরা চালিয়ে যাচ্ছি।

উল্লেখ্য, সরেজমিনে প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, কাজ চলছে। কিছু নির্মাণ সামগ্রীও এসে পৌঁছেছে।

এখানে ৪৯টি পরিবারের বসবাসের সুযোগ হবে বলেও জানা গেছে।