বাবুনগরীর জন্য আল্লামা আহমদ শফীর জানাযা পড়তে পারিনি, সংসদে এমপি নদভীর অভিযোগ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ১৮ ২০২১, ০২:৫৫

আল্লামা আহমদ শফীর জানাযায় জুনায়েদ বাবুনগরীর অনুমতি না থাকায় অংশ নিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভী। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এ অভিযোগ করেন তিনি।

এসময় তিনি বলেন, আল্লামা আহমদ শফীর জানাজায় লাখো মানুষ সমবেত হয়েছিল। একটি জানাজায় সবাই যেতে পারে, কারো জন্য বাধা নেই। কিন্তু আমি আল্লামা শফীর একজন ঘনিষ্ট হয়েও আমাকে জানাজায় যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। হরকাতুল জিহাদ এবং মানহাজি গ্রুপ আমাকে বাধা দিয়েছে। আমাকে বলা হল, আপনি জানাজায় যেতে পারবেন না। যেতে হলে আমিরুল মুমিনিনের অনুমতি লাগবে। আমিরুল মুমিনিন কে? আমিরুল মুমিনিন নাকি জুনায়েদ বাবুনগরী। বারবার অনুমতি চেয়েছি, কিন্তু তিনি অনুমতি না দেওয়ায় পরে আমি জানাজা না পড়ে চলে এসেছি।

আরো পড়ুন: আনাস মাদানির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হেফাজতের ডাক

এসময় আল কায়েদা ও আইএসের আদর্শে গড়ে ওঠা নতুন গোষ্ঠী মানহাজিদের সম্পর্কে সংসদকে জানান তিনি। তবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সেই মানহাজিদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিনা তা স্পষ্ট করে বলেননি এই সাংসদ।

জামায়াতে ইসলামির দুইটি রাজধানী রয়েছে উল্লেখ করে বর্তমান সরকারদলীয় এ সদস্য বলেন, জামায়াতের রাজনৈতিক ক্যাপিটাল সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার আমি দ্বিতীয়বারের এমপি। এটি আমরা আগেই নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। সম্প্রতি আমি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামেরও দায়িত্ব পেয়েছি। এটি জামায়াতের অর্থনৈতিক ও একাডেমিক ক্যাপিটাল ছিল।

তবে অভিযোগ রয়েছে, একসময় জামায়াতের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিলো। এর আগে তিনি জামায়াত প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।২০১৩ সালে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে নদভীর সম্পর্ক পারিবারিক সূত্রে। গত পাঁচ বছরে এলাকায় তিনি কোনো দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেননি।

জামায়াত নেতাদের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ ছবি থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আওয়ামী লীগের নেতারা। সেই সময় অবশ্য আবু রেজা নদভী এসব অভিযোগ অস্বীকারও করেন।