বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভালো আছে, তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে : প্রধানমন্ত্রী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ০১ ২০১৮, ১৪:২৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশটা আমাদের সবার। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং সার্বিক উন্নয়নই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

বৃহস্পতিবার গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে সংলাপের সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সরকারের ৯ বছর ১০ মাস হতে চলেছে। আমরা এ সময়ের মধ্যে দেশের কতটুকু উন্নয়ন করতে পেরেছি। তবে এটুকু বলতে পারি, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ ভালো আছে। তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণভবন জনগণের ভবন। আজ আপনারা এ অনুষ্ঠানে এসেছেন। এখানে আমি আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাই।’

তিনি বলেন, ‘দিন বদল হচ্ছে। এটাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মহান নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীনতার সুফল যেন মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারে সেটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। আর সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। উন্নয়নের বিচারের ভার আপনাদের ওপর ছেড়ে দিলাম।’

এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন ১৪ দল এবং ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সংলাপ শুরু হয়।

সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসা থেকে রওনা হয়ে ৬টা ৪০ মিনিটে গণভবনে পৌঁছান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে ঘোষিত ৭ দফা দাবি এবং ১১ দফা লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি অন্যতম এজেন্ডা বলে মনে করা হচ্ছে।

ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. মঈন খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে সক্রিয় জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য সচিব আ ব ম মোস্তফা আমীন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, সাবেক দুই সংসদ সদস্য এসএম আকরাম ও সুলতান মো. মনসুর আহমেদ, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী ও মোস্তফা মহসিন মন্টু, মোকাব্বির খান, জগলুল হায়দার আফ্রিক এবং শফিক উল্লাহ।

অন্যদিকে সংলাপে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন- ২৩ জন প্রতিনিধি, এর মধ্যে আওয়ামী লীগের জোট শরিক দলগুলোর নেতারাও আছেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, মো. আবদুর রাজ্জাক, কাজী জাফর উল্যাহ, আবদুল মতিন খসরু, রমেশ চন্দ্র সেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, দীপু মনি, আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও জাসদের একাংশের সভাপতি মইন উদ্দীন খান বাদল।