বাঁচবো কিনা জানি না, সবাই আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিয়েন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ১৮ ২০২১, ২০:০৫

লন্ডন প্রবাসী ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনের বার্থ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শিগগির তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হবে বলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন।

আজ শুক্রবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় দেয়া ওই পোস্টে তিনি হাসপাতালের গাউন পরা অবস্থায় দুটি ছবি সংযুক্ত করে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

তার স্ট্যাটাসটি হুবহু পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো

“সবাই আমাকে আল্লাহর ওয়াস্তে ক্ষমা করে দিয়েন। বাঁচবো কিনা জানি না। তবে এই চরম মুহূর্তে কিছু সত্য কথা বলে যাই। আমি রাজনীতিটা একমাত্র দেশরত্ন শেখ হাসিনারে মেনেই করতাম এবং করি। কোনদিন তার বাইরে যায়নি। সাবেক অনেক বড় ভাইদের কথায় আমি কখনও চলিনি। বরং পেছনের সারির অনেককে নেতা বানিয়েছি। নিজের ইচ্ছায় আর প্রেম করেছিলাম কিন্তু মানিয়ে নিতে পারিনি তাই বিয়ে হয়নি।

আর শেষ কথা হলো বাংলাদেশে কোন ব্যাংকে আমার নামে এক পয়সাও লোন নাই এবং লোনের কোন টাকা বিদেশেও নিয়ে আসিনি। তদবির ঠিকাদারি দালালি পদ বাণিজ্য কখনও করিনি। লন্ডনে গায়ে খাঁটি জীবনে যে কাজ করিনি তা করে জীবন যুদ্ধে লিপ্ত ছিলাম কিন্তু আমার কপাল ভালোনা।

কিছুক্ষণ আগেই আমার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে অনেকগুলো ব্লক ধরা পড়েছে ওপেন হার্ট সার্জারী করতে হবে, হয়তোবা আজকালের মধ্যেই করবে। সরকারি হাসপাতালেই করবে কারণ এইদেশে চিকিৎসা ফ্রি তাই আর কেউ কষ্ট করে ভুল তথ্য দিয়েন না যে, কোটি টাকার অপারেশন।

যদি মরে যাই একটাই কষ্ট থাকবে নিজের দলের মানুষের প্রতিহিংসার স্বীকার হয়ে মিডিয়া ট্রায়াল হয়েছে বারবার আমার নামে। আর আফসোচ হয়তোবা বড় কোন ভাই আমার নামে অনেক মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমার নেত্রীর কান ভারী করে রেখেছে। সেই ভুলগুলো হয়তো ভাঙিয়ে যেতে পারলাম না

আপা আপনিই আমার মমতাময়ী জননী স্নেহময়ী ভগিনী। আপনাকে অনেক ভালোবাসি ক্ষমা করে দিয়েন আমাকে।

সবাই ভালো থাকবেন আপনাদের আর যন্ত্রনা দিবোনা।

এস এন আলম। বার্থ হাসপাতাল (এন এইচ এস)। লন্ডন। ১৮-০৬-২১।”

উল্লেখ্য, ২০১১ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব থাকাকালে বিপুল সম্পদের মালিক হন নাজমুল। দায়িত্ব পালনের সময় ছিলেন নানা সমালোচনার কেন্দ্রে। দায়িত্ব ছাড়ার পর থেকেই তার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি সামনে আসে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকাকালেই তিনি বেশ কয়েকটি দেশে নিয়মিত ভ্রমণ করতেন। ওইসব দেশে তিনি বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়ান সেই সময় থেকে। সিদ্দিকী নাজমুলের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাও ক্ষুব্ধ হন তার প্রতি।