বগুড়ার ‘ধর্ষণ করে হত্যার পর জানাজাও পড়েছিল’ খুনি

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ২৫ ২০২২, ১৫:১৯

বগুড়ার এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ৬০ বছরের এক ব্যক্তিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার আবদুল লতিফ শেখ (৬০) পেশায় একজন আসবাবপত্র ব্যবসায়ী। হত্যার পর ওই নারী ইউপি সদস্যের জানাজা ও দাফনেও তিনি উপস্থিত ছিলেন বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, লতিফ শেখ ২০০৯ সালের একটি ধর্ষণ মামলারও প্রধান আসামি। ওই মামলায় তিনি সাত মাস কারাগারে থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। ১৩ বছরেও মামলার বিচার শেষ হয়নি।

গতবছর ২২ সেপ্টেম্বর বগুড়ায় একটি ইটভাটার পাশে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় এক নারী ইউপি সদস্যের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যের স্বামীসহ দুইজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে লতিফ শেখ একাই ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

আল মঈন বলেন, “হত্যাকাণ্ডের সাত মাস আগে ইউনিয়ন পরিষদে কম্বল বিতরণের একটি অনুষ্ঠানে ওই জনপ্রতিনিধির সঙ্গে লতিফ শেখের পরিচয় হয়। পরে তার সঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন এবং আশপাশের এলাকায় বিভিন্ন সময় দেখা করেন লতিফ শেখ।

“গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর লতিফ কৌশলে ওই জনপ্রতিনিধিকে একটি ইটভাটার পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যান এবং কৌশলে চেতনানাশক প্রয়োগ করেন। এরপর তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ওই নারীকে হত্যা করে মরদেহ সেখানেই ফেলে যান।”

সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের মুখপাত্র বলেন, “নিজেকে সন্দেহের বাইরে রাখতে পরে লতিফ স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে জনপ্রতিনিধিকে খোঁজাখুঁজি করার ভান করেন। মরদেহ উদ্ধারের পর তিনি জানাজা ও দাফনেও অংশ নেন। চারদিন পর তিনি এলাকা ছাড়েন।”

লতিফ প্রথমে শ্রমিক হিসেবে নোয়াখালীতে কিছুদিন কাজ করেন। পরে মুন্সিগঞ্জে আত্মগোপন করেন। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১২ এর একটি দল।

নিহত ইউপি সদস্যের ভাইয়ের সন্দেহ ছিল, তার স্বামীও এ হত্যায় জড়িত। তার দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ওই নারীর স্বামী এখন কারাগারে। তবে লতিফ শেখ র‌্যাবকে বলেছেন, ওই ঘটনায় আর কেউ তার সঙ্গে ছিল না।