ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মহানবী (সাঃ) এর কার্টুন প্রদর্শনের প্রতিবাদে বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকে’র বিবৃতি

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ২৭ ২০২০, ২৩:৫৬

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মতপ্রকাশের নামে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে অবমাননা করে কার্টুন প্রদর্শনের প্রতিবাদে গত ২৬ অক্টোবর ২০২০, বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকের নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ মূলক বিবৃতি প্রদান করেন।

বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকের নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, গত ১৬ অক্টোবর প্যারিসের উপকণ্ঠে দেশটির এক স্কুল শিক্ষকের শিরশ্ছেদ করে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর বিতর্কিত কার্টুন শিক্ষার্থীদের প্রদর্শনের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে ঐ কিশোর স্কুল শিক্ষককে হত্যা করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স পুলিশের উদ্ধৃতি থেকে জানা যায় হামলাকারীর বয়স ১৮ বছর। তিনি চেচেন জাতিগোষ্ঠীর এবং জন্ম রাশিয়ার মস্কোতে। নিহত ওই শিক্ষক রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেন। ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’ ক্লাসে তিনি শিক্ষার্থীদের মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গাত্মক’ কার্টুন প্রদর্শণের কারণে ছাত্র তাকে হত্যা করে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলাম ধর্ম, বিচার বহির্ভুত কোন হত্যা বা যে কোন ধরণের সন্ত্রাস কে সমর্থন বা আশ্রয় দেয় না। কিন্তু ফ্রান্সের ধর্মনিরপেক্ষ সরকার মতপ্রকাশের নামে বিভিন্ন ভবনের গায়ে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করে এর বিতর্কিত সেই কার্টুনের প্রদর্শন শুরু করে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই কার্টুন গুরুত্ব পুর্ন স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করে।

ম্যাক্রোঁ মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে সমর্থনের নামে ইসলাম ধর্ম বিরোধী ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শন ও উসকানি মুলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, ফ্রান্সের পুলিশ দেশের ভিতর অন্তত ৫০টি মসজিদ ও মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় ভয়াবহ অভিযান ও নির্যাতনের নিন্দাও জানান।

নেতৃবৃন্দ, ফ্রান্সের মতপ্রকাশের নামে ইসলাম ধর্ম বিরোধী সকল তত্পরতা বন্ধ এবং মুহাম্মদ (সা.)-এর কার্টুন প্রচার ও প্রদর্শণ বন্ধ করার জোর দাবি জানিয়ে মুসলিম বিশ্বে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সাথে নেতৃবৃন্দের সমর্থন প্রকাশ করেন।

বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠন বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকের নেতৃবৃন্দ হলেন, সভাপতি মাওলানা এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, জেনারেল সেক্রেটারী মাওলানা শাহ মিজানুল হক, বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকের সর্বোচ্চ পরিষদ মজলিসে কিয়াদতের সদস্য, ইসলামিক শরীয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাওলানা হাফিজ আবু সাঈদ, চেয়ারম্যান মাওলানা জমসেদ আলী, কাউন্সিল অফ মস্কস এর চেয়ারম্যান হাফিজ মাওলানা শামছুল হক, ইষ্ট লন্ডন মসজিদের খতীব শেখ আব্দুল কাইয়ুম, ইসলামিক ফতোয়া কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মুফতি শাহ সদরুদ্দিন, সেন্টার ফর ইসলামিক গাইডেন্স এর চেয়ারম্যান মাওলানা এ কে মওদুদ হাসান, খেলাফত মজলিস ইউরোপের পরিচালক অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ, ইষ্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা আবুল হোসেন খাঁন, মারকাজুল ইসলাম লন্ডনের চেয়ারম্যান মাওলানা শোয়াইব আহমদ, খেলাফত মজলিস ইউকের সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রাহমান, মাজাহিরুল উলুম লন্ডনের প্রিন্সিপাল মাওলানা ইমদাদুর রহমান মাদানী, আন্জুমানে আল ইসলাহের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জিল্লুর রহমান, ড: মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, দারুল উম্মাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাসানাত চৌধুরী, হেলাল কমিটির সমন্বয়কারী মাওলানা মুমিনুল ইসলাম ফারুকী, বাংলাদেশশী মুসলিম ইউকের প্রচার সম্পাদক ও মজলিসে আমেলার সদস্য মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম, বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকের আমেলা সদস্য হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ, হাফিজ হোসাইন আহমদ, মাওলানা এফ কে এম শাহজাহান , মাওলানা আব্দুল মুনীম চৌধুরী প্রমুখ।