প্রাণের স্পন্দন এমসি কলেজ এবং নরপশুদের কুকীর্তি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ২৮ ২০২০, ২১:৫১

মোঃ আজমল খাঁন: আমরা যারা প্রবাসে থাকি , নাড়ির টানে যখনই জন্মমাটিতে যাই , কম বেশী সবাই পরিবার নিয়ে এমসি কলেজে গিয়ে থাকেন । সুদীর্ঘ প্রায় ১২ বছর যখন দেশে গিয়েছিলাম আমার স্ত্রী সহ ছেলেকে নিয়ে এমসি কলেজে গিয়েছিলাম আর ছেলেকে গর্ব করে বলেছিলাম এই সেই কলেজ যেখানে তোমার মা বাবা দুজনই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটিয়েছি।

আসলে এমসি কলেজের নাম শুনলেই হৃদয়ে স্পন্দন জেগে উঠে। এই কলেজের প্রতিটি মাটিতে রয়েছে পদচিহ্ন । জোয়ান বুড়ো সকল বয়সী মানুষই পরিবার পরিজন নিয়ে এমসি কলেজের সৌন্দর্য অবলোকন করে থাকেন , এর ধারাবাহিকতায় এক দম্পতি কলেজে গিয়ে যে পরিস্হিতির শিকার হলো , তাতে ভাষা হারিয়ে ফেলেছি শোকের। মন থেকে ঘটনাটা কে সরাতে পারছি না। এর আগে যখন এমসি কলেজের ছাত্রাবাস আগুনে ছারখার হয়েছিল তখন মনের অজান্তেই চোখ ভিজে গিয়েছিল ।

আজকের এই ঘটনার পর দেশ বিদেশের অনেকের মুখে বড় বড় বুলি, চতুর্দিকে হৈচৈ , রাষ্ট্র এবং সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে হুঁশিয়ারী, শোনা যাবে । কিছুদিন পর আস্তে আস্তে সবকিছু শান্ত হয়ে আসবে । তখন আজকের এই অপকর্মের হোতা সোনার ছেলেদেরকে রক্ষায় এখন যারা বড় বড় বুলি আওড়াচ্ছেন তারাই এগিয়ে আসবেন নতুবা হয়তো রাষ্টীয় মদদে কিংবা সরকারের ছত্রচ্ছায়ায কিংবা রাষ্ট্রপতির সাধারণ ক্ষমায় রেহাই পেয়ে যাবে ।এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যারা আগুন দিয়েছিলো সেই সোনার ছেলেদের কী বিচার হয়েছে ?

এসব দেখতে দেখতে জাতি অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে ।আমি শুধু ভাবছি নির্যাতিত দম্পতির সংসার , পরিবার , সমাজ এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা নিয়ে। আল্লাহ তুমি নির্যাতিতদের রহম করো এবং নরপশুদের বিচার করো।