প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০% টিউশন ফি কমাতে হবে: ইশা ছাত্র আন্দোলন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ২২ ২০২০, ১৮:৫৯

ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল করীম আকরাম বলেন, করোনা পরবর্তী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের টিউশন ফি ৫০% অবশ্যই কমাতে হবে। শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার, একে বর্তমানে বাণিজ্যিক প্রকল্পে পরিণত করা হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে। সুতরাং ল্যাব, বিদ্যুৎ, পানি, লাইব্রেরী, স্টুডেন্ট এক্টিভিটি ফি ইত্যাদি লাগবে কেন? টিউশন ফির সাথে এসব যুক্ত করার নূন্যতম যৌক্তিকতাও নেই। প্রয়োজনে সরকারকে এর ভর্তুকি দিতে হবে। ৫ লক্ষ শিক্ষার্থীদের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন দিবে না।

আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর’২০) বেলা ১১টায় ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত কেন্দ্রীয় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মুহাম্মদ মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে “প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা পরবর্তী টিউশন ফি ৫০% কমানোর দাবীতে” অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন নূরুল করীম আকরাম।

সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের রুল অনুযায়ী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হবে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু অধিক হারে মুনাফা অর্জন করার লক্ষ নিয়েই তারা শিক্ষাকে বাণিজ্যিকীকরণ করেছে। আমরা শিক্ষা নিয়ে কোন বাণিজ্য করতে দিব না। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তথ্য মতে বর্তমানে বাংলাদেশে ১০৬ টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে এবং সেখানে প্রায় ৫ লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর একটা বড় অংশ উঠে এসেছে মফস্বল কিংবা গ্রামের উচ্চমধ্যবিত্ত অথবা মধ্যবিত্ত ঘর থেকে। সুতরাং করোনা পরবর্তী এ সময়ে টিউশন ফি’র নামে এ প্রহসন বন্ধ করতে হবে।

মানবন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টী বোর্ড বছরে বছরে একনায়কতান্ত্রিকভাবে টিউশন ফি বাড়িয়ে চলছে অথচ শিক্ষার মান কিংবা গুনগত কোনো উন্নয়ন দৃশ্যমান হয়না। এটা রোধ করতে হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড থেকে নামে বেনামে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের অর্থ উত্তোলনের ব্যাপারটিও বন্ধ করতে হবে।

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন-এর জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল একেএম আব্দুজ্জাহের আরেফি, প্রচার সম্পাদক এইচএম সাখাওয়াত উল্লাহ, এশিয়ান ইউনিভার্সিটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ইমরান, গ্রীণ ইউনিভার্সিটির সভাপতি মাহবুবুর রহমান, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটির সভাপতি আব্দুস সবুর, নর্দান ইউনিভার্সিটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান নাহিদ, বাংলাদেশ ইসলামিক ইউনিভার্সিটির সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সহ বিভিন্ন মহানগরের সভাপতি, বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক ও বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃবৃন্দ।