প্রসঙ্গ মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব: এবার স্পষ্টভাবে বলা জরুরি

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

সেপ্টেম্বর ২২ ২০২০, ১৬:২৫

কে আই ফেরদৌস:

শাইখুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফী রাহিমাহুল্লাহর মাগফিরাত কামনায় শোকসভায় যেভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেয়া হয়েছে, ঠিক একইভাবে একই ব্যক্তি শাপলা চত্ত্বরে তর্জনী উঁচু করে গরম গরম বক্তৃতা দিয়েছিলেন।

আমাদের মতো যারা কওমি অঙ্গনে সত্যিকার পরিবর্তন চাই, অনেকদিন ধরেই আমরা অস্পষ্টভাবে, আকার ইঙ্গিতে বড়দেরকে সতর্ক করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আফসোসের বিষয় হচ্ছে, আমরা যাদের মুরুব্বী মনে করি, অগ্রজ মনে করি, উনারা কিছুতেই আমাদের আকার ইঙ্গিত বুঝতে পারছেন না বা বুঝতে চাচ্ছেন না।

আমার মনে হয়, এবার আরও স্পষ্ট করে বিষয়টা তুলে ধরা জরুরি। কারন, নিজেদের ভেতরে একজন বিতর্কিত (সংখ্যাগরিষ্ঠ সচেতন কওমী উলামাদের কাছে) একজনকে মঞ্চ কাপানোর দায়িত্ব দিয়ে বাহিরের বিতর্কের সমাধান করার চেষ্টা করা কোনভাবে সফল হবে না। বরং সমস্যা আরও বাড়বে।

আল্লামা আহমদ শফী রাহিমাহুল্লাহর শোকভায় মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব সাহেবের অনাকাঙ্ক্ষিত বক্তব্য যে কোন মানুষকেই হতাশ করবে। তিনি স্বভাবজাত গর্জনের ভাষায় বলেন-

“পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, বেফাক, হাইয়াতুল উলইয়া, হেফাজতে ইসলামে, খতমে নবুওয়াতের বিষয়ে আজকের মঞ্জে যেই সিদ্বান্ত হবে, সেই সিদ্বান্তই কার্যকর হবে। এর বাহিরে কেউ বাকা পথে হাটতে যাবেন, আপনাদেরও দালালগুষ্টির কাতারে নাম লেখানো হবে। ”

উনাকে দায়িত্ব বন্টনের ঘোষণা আর দালালগুষ্টির কাতারে নাম লেখানো গুরু দায়িত্ব কে দিয়েছে?

হযরত মাওলানা মামুনুল হক সাহেব, হযরত মাওলানা হাসান জামিল সাহেব, হযরত মাওলানা আইয়ুবী সাহেবসহ যারা চাচ্ছেন কওমী অঙ্গণে আবার সেই সোনালী দিন ফিরে আসুক। আপনাদের সমীপে আমার অনুরোধ, আপনারা বিতর্কিত মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব সাহেবকে শাপলা চত্বর পরবর্তী কিছু সস্পর্শকাতর অভিযোগের ব্যখ্যা দিতে বলেন জাতীর সামনে। মিডিয়ায় প্রকাশ্যে উনার প্রতি যেসব অভিযোগ শুনা যাচ্ছে, সেগুলোর জবাব দিতে বলেন। অন্যথায় বিতর্কিত, অভিযুক্ত একজনকে সাথে রেখে অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মাঠে নামা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব সাহেবের সাথে আমার কোন ব্যাক্তিগত বিরোধ নেই। এমন কি উনার সাথে জীবনে দেখাই হয়নি। শুধুমাত্র শাপলা চত্বরের স্বি কালো রাতের পরের দিন ইংল্যান্ডে আমার টাউনে মুফতি আব্দুল হান্নান সাহেবের সাথে রাস্তায় হাটতে দেখেছিলাম কাছ থেকে। একমাত্র জাতীয় স্বার্থে, দ্বীনের স্বার্থেই উনার বিষয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলছি।

আমি চাই উনার ব্যাপারে অভিযোগগুলো যদি মিথ্যে হয়ে থাকে, তাহলে উনি মিডিয়ায় সব অভিযোগের জবাব দিক। না হয় স্বেচ্ছায় নিজেকে সকল প্রোগ্রাম, মিটিং থেকে নিজেকে সরিয়ে নেবার আহবান জানাচ্ছি।
যদি সত্যিকার অর্থে ইসলাম ও মুসলমান ও কওমী মাদরাসার প্রতি ভালোবাসা থাকে।

ইংল্যান্ডে আছি অনেক বছর ধরে। তাছাড়া আমি মিডিয়ার মানুষ। কার বিষয়ে কেমন তথ্য নিতে হয় ভালো করে জানা আছে। উনি ইংল্যান্ডের কোন এরিয়ায় কীভাবে, কেমন কাটিয়েছন সব কিছু জানা আছে।

এতো কিছু জানার পরেও চুপ রয়েছিলাম, শুধু ফিতনা বেড়ে যাবার ভয়ে। কিন্তু এখন দেখি যেই লাউ, সেই কদু!! স্থান কাল পাত্র ভুলে বড় বড় বুলি আউড়িয়ে সবকিছুতেই অংশধারিত্ব দেখাচ্ছেন।
এতে উনার ফায়দা হলেও, ক্ষতি হবে পুরো জাতীর। আমাদের নীরব থেকে লাভ কী?