প্রথম আলো পত্রিকার প্রকাশিত মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদের প্রতিবাদ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ১৫ ২০২১, ২১:৫৯

(১৪ জুলাই) বুধবার‘পাহাড়ে নতুন নামে তৎপর আল- কায়েদা মতাদর্শী জঙ্গিগোষ্ঠী’ শিরোনামে প্রথম আলো পত্রিকায় সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রনোদিত সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি ক্বওমি মাদ্রাসা ও ওলামা ঐক্য পরিষদ।

সংগঠনটির সভাপতি মাওলানা ক্বারী ওসমান গণী ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি রবিউল ইসলাম শামিম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, পশ্চিমা অর্থায়নে পরিচালিত প্রথম আলোকে এই যাবৎ কখনো পার্বত্য চট্টগ্রামে রাষ্ট্রদ্রোহী বিচ্ছিন্নবাদী সন্ত্রাসিগোষ্ঠির বিরুদ্ধে একটি সংবাদ প্রকাশ করতে দেখিনি! যারা রাষ্ট্রের স্বাধীন সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে তাদের রক্ষার জন্য, এবং তাদের পথ সুগম করার জন্য বরাবরই প্রথম আলো পত্রিকাকে মিথ্যা, বানোয়াট ও উস্কানীমূলক সংবাদ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনা, পুলিশ সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে, তাদের নজরে কোনপ্রকার জঙ্গি কার্যক্রম চোখে পড়ল না। অথচ বান্দরবানের লামা আর খাগড়াছড়ির জঙ্গি কার্যক্রম প্রথম আলোর চোখে পড়ল!! বিষয়টি রহস্যজনক।

১৪ জুলাই ২০২১ “পাহাড়ে নতুন নামে উগ্রপন্থী কার্যক্রম পরিচালনা করেছে আল-কায়েদা মতাদর্শী একটি জঙ্গিগোষ্ঠী।” এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রথম আলো প্রকাশ করেছে। এই সংবাদ সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে বলা যায় যে, প্রকাশিত সংবাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদীত। কারণ, এর মাধ্যমেই পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবাদকে আড়াল করার একটা ব্যর্থ চেষ্টা করেছে প্রথম আলো। বান্দরবান রোয়াংছড়ির দুর্গম এলাকার নওমুসলিম ওমর ফারুক ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ড নিয়ে যখন পার্বত্য চট্টগ্রামের জঙ্গি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলো দেশ-বিদেশে সমালোচিত হয়, এবং পর্দার অন্তরালে থাকা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত

জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ উন্মোচিত হয়। ঠিক তখনিই প্রথম আলো সে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি দামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে বলে আমরা মনে করছি।

সন্ত্রাসীদের হাতে শহীদ হওয়া নওমুসলিম ওমর ফারুক ত্রিপুরা ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হওয়া নিয়ে প্রথম আলোর যতো মাথাব্যথা। অথচ খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে দীর্ঘ দিন ধরে খ্রিস্টান মিশনারীরা হাজার হাজার সহজ সরল মানুষদের জোরপূর্বক বৌদ্ধ ও হিন্দু ধর্ম থেকে খৃস্টধর্মে দীক্ষিত করছে, তার ব্যাপারে তাদের কোন মাথাব্যাথা নেই!

সুনির্দিষ্ট ভাবে ইসলাম এবং মুসলমানদের টার্গেট করে ভিত্তিহীন সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভবিষ্যতে পার্বত্য অঞ্চলে ইসলামের প্রচার প্রসার ঠেকাতে মরিয়া প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ। আর এজন্যই পার্বত্য অঞ্চলে অমুসলিমদের মাঝে ইসলামের দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা ও যারা পরিচালনা করেন, সেসব নিঃস্বার্থ দ্বায়ী ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদ ও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার মিথ্যা অভিযোগ এনে ইসলাম, মুসলমান ও দ্বায়ী ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

জঙ্গিবাদ নিয়ে সারাদেশে যেমন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর এবং সতর্ক, তেমনি পার্বত্য চট্টগ্রামেও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী খুবই তৎপর ও সতর্ক। এযাবৎ আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে জঙ্গি হামলা দেখিনি। জঙ্গিরা এখানে আশ্রয়-প্রস্রয় পাবে না। যার কারণ, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে অনেক বেশি সক্রিয় রয়েছে, সেনা, পুলিশ ও একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। সুতরাং এখানে জঙ্গি তৎপরতার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই।

পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, খুন-গুম ও চাঁদাবাজি করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলছে উপজাতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো। তাদের মূলোৎপাটনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের জোড় দাবী জানাচ্ছি।

পাশাপাশি প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি বিশেষ অনুরোধ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য উস্কানিমূলক “মিথ্যা ও বানোয়াট” সংবাদ প্রকাশ করার দায়ে প্রথম আলো পত্রিকা ও বান্দরবান এর স্থানীয় প্রতিনিধির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করুন।