পুলিশের হাত থেকে ছিনতাই হওয়া দুই আসামি যেকোনো সময় গ্রেফতার: ডিবি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

নভেম্বর ২১ ২০২২, ১৬:২০

রাজধানীর আদালতপাড়া থেকে দিনে-দুপুরে দুই  আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশ মাঠে কাজ করছে। তারা নজরদারিতে আছে। যেকোনো সময় তাদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এসব কথা বলেন তিনি।

হারুন বলেন, প্রথম ১২ জনের মধ্যে চারজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তারা প্রিপার স্প্রে ছিটিয়ে দিয়েছিল। ‌প্রাথমিকভাবে আমরা ঢাকার বিভিন্ন অলিগলিতে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি করছি এবং এই ঘটনায় ২০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

ডিবি কর্মকর্তা বলেন, আপনারা জানেন, ১২ জনের মধ্যে পালিয়ে যাওয়ার সময় দশজনকে আটক করে আবার ১০ দিনের রিমান্ড নিয়েছি। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এই ঘটনায় পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল সারাদেশে রেড অ্যালার্ট জারি করেছেন‌‌। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।

হারুন বলেন, তারা আমাদের নজরদারিতে আছে। আমরা তাদের যেকোনো সময় গ্রেফতার করতে সক্ষম হব। এ ঘটনায় অবহেলার জন্য আমাদের ডিএমপি কমিশনার স্যার ইতোমধ্যে পাঁচজনকে বরখাস্ত করেছেন। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাদের সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন এলাকার সিসি ক্যামেরা পর্যবেক্ষণ করছি। খুব শিগগিরই তাদের গ্রেফতার করা হবে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর মোহাম্মাদপুর থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রোববার (২০ নভেম্বর) তাদের হাজিরা ছিল। দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটকের সামনে থেকে মোটরসাইকেলে করে এসে দুই আসামিকে ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজিরা শেষে হাজতখানায় নেওয়ার সময় চার আসামির মধ্যে দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা। এসময় পুলিশের এক সদস্য আহত হন।

ছিনিয়ে নেওয়া দুই আসামি হচ্ছেন সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মাধবপুরের মইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটশ্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব।

রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরের এই ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই ওরফে মেজর জিয়ার (চাকরিচ্যুত মেজর) পরিকল্পনা ও নির্দেশনায় আয়মান ওরফে মশিউর রহমান (৩৭), সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক (২৪), তানভীর ওরফে সামশেদ মিয়া ওরফে সাইফুল ওরফে তুষার বিশ্বাস (২৬), রিয়াজুল ইসলাম ওরফে রিয়াজ ওরফে সুমন (২৬) ও মো. ওমর ফারুক ওরফে নোমান ওরফে আলী ওরফে সাদ (২৮) পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করে।