পাতানো নির্বাচনে দেশের মানুষ আর পা দেবে না: মির্জা ফখরুল

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ২২ ২০২৩, ১৭:৪১

পাতানো নির্বাচনে দেশের মানুষ আর পা দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নব্য বর্গী, তারা সব লুটপাট করে নিচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য যেনতেনভাবে ক্ষমতায় থাকা। তাদের ক্ষমতায় থাকতে হবে। দেশের মানুষকে বোকা বানানোর জন্য তারা ভিন্ন ভিন্ন প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বলছে, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু নির্বাচন শুরুই হয়নি অথচ গতকাল রাতে বিএনপি নেতা মজনুকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সোমবার (২২ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) ‘দেশের জ্বালানি খাতে অমানিশা: লুটপাট আর অরাজকতার চালচিত্র’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে।

এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ ওবায়দুল কাদের স্বরূপে আবির্ভূত হয়েছেন, পুলিশ দিয়ে প্রতিরোধ করছেন। জনগণ যখন প্রতিবাদ করতে যান তখন পুলিশ ব্যবহার করে তাদের দমন করছেন। ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছেন। অগ্নিসন্ত্রাসের নামে তারাই আগুন দিয়ে মানুষ মেরেছেন।

‘এখন আবার সেই একই ষড়যন্ত্র করছে এবং প্রচার করছে সরকার। তাই দেশে অবস্থানরত বিভিন্ন দূতাবাস সেই ভয়ে তাদের নাগরিকদের সতর্ক করছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে যাচ্ছে দেশের। দেশকে ফোকলা করে দিচ্ছে সরকার। ঋণের বোঝা এতটাই বেশি যে আগামীতে তা পূরণ করা যাবে কি না সন্দেহ আছে। এর ফলে গ্রোথ এত নিচে নেমে আসবে যে দেশ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এটা আমার কথা না, এটা দেশের নামকরা অর্থনীতিবিদদের কথা।

ফখরুল বলেন, লুটপাট করতে (আওয়ামী লীগ) আবার ক্ষমতায় থাকতে চায়। কিন্তু তা আর হবে না। পাতানো নির্বাচনে দেশের মানুষ আর পা দেবে না। এ লুটেরাদের ও ভোট চোরদের সরাতে না পারলে দেশের অস্তিত্ব থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দেশে নির্বাচন হবে না। সরকারের পতন ঘটিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সব দেশপ্রেমিক দল এক হয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি দ্রুত রসাতলে যাচ্ছে, ক্ষমতাসীনরা শুধু উন্নয়নের নামে মিথ্যা কথার মাধ্যমে জনগণকে ধোকা দিচ্ছে। ঋণের টাকা পরিশোধ শুরু হলে সংকট আরও তীব্র হবে। গোটা রাষ্ট্রকে তারা পরিকল্পিতভাবে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। এটাই মূলত এ সরকারের উদ্দেশ্য।

এ্যাবের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে ও কেএম আসাদুজ্জামান চুন্নুর পরিচালনায় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ্যাবের মহাসচিব আলমগীর হাসিন আহমেদ।

এসময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফরহাদ হালিম ডোনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, বিএনপির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম ভুঁইয়া, ঢাবি সাদাদলের আহ্বায়ক লুৎফর রহমান, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন ।