নামাজ চলাকালে শাহজালাল মাজারে সিনেমার শুটিং: মুসল্লিদের ক্ষোভ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ১৫ ২০২১, ১৬:০৮

একদিকে মাদরাসা, অন্যদিকে মাজার, সর্বোপরি মসজিদে চলছে জোহরের নামাজের জামাত। এরই মাঝে শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মাজার প্রাঙ্গনে করা হলো ‘হৃদিতা’ সিনেমার শুটিং। মঙ্গলবার (১৫ জুন) সিলেটে এমন সমালোচিত ঘটনা ঘটেছে।

তবে এ শুটিংয়ের বিষয়ে পুলিশ ক্ছিু জানে না। মাজার কর্তৃপক্ষও দিচ্ছেন দায়সারা জবাব।

মঙ্গলবার জোহরের নামাজের সময় শাহজালাল মাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি শুটিং ইউনিট তাদের অভিনয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। অপরদিকে মাজার মসজিদে চলছে জোহারের নামাজের জামাত। এসময় শুটিং দেখতে ভিড় জমান মাজারে আসা লোকজন। এ নিয়ে নামাজে আসা মুসল্লিদেরকে সমালোচনায় মেতে ওঠতে দেখা যায়।

মুসল্লিদের সঙ্গে কথা বললে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন বলেন, এমনিতে মাজার একটি পবিত্র জায়গা। অপরদিকে, মসজিদে চলছে নামাজ। সবকিছু মিলিয়ে এখানে এই সময়ে ছবির শুটিং কতটা যৌক্তিক ও বৈধ তা প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্টদের ভাবা উচিত। ভবিষ্যতে যাতে এমন সমালোচিত কর্মকাণ্ড না ঘটে এ দিকে মাজার কর্তৃপক্ষের তীক্ষ্ম নজর রাখা উচিত বলে মনে করেন মুসল্লিরা।

শুটিং চলাকালে সিনেমার পরিচালক ইস্পাহানি আরিফ জাহান সাংবাদিকদের বলেন, এই সিনেমার নাম ‘হৃদিতা’। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনিসুর রহমানের ‘হৃদিতা’ উপন্যাসের চরিত্র অবলম্বনে এই সিনেমার গল্প তৈরি হয়েছে। সিনেমায় মৃত্যুপথযাত্রী নায়ক প্রার্থনা করতে মাজারে এসেছেন- এমন গল্প থেকেই শাহজালাল মাজারে শুটিং করতে আসা। সিনেমাটি সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছে। ছবিতে নায়িকা পূজা চেরি অভিনয় করছেন।

অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে পরিচালক আরিফ জাহান বলেন, আমরা মাজার কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই আমরা শুটিং করছি।

তবে এ বিষয়ে মাজার কর্তৃপক্ষের কেউই স্পষ্টভাবে বক্তব্য দিতে রাজি হননি। মাজার অফিসে বসা এক দায়িত্বশীল নাম প্রকাশ না করে বলেন, ওরা একটি ডকুমেন্টারি তৈরির কথা বলে ক্যামেরা দিয়ে কিছু দৃশ্য ধারন করছে।

‘পরিচালক বলেছেন এটি একটি সিনেমার শুটিং’ ও নামাজের সময় কেন শুটিংয়ের অনুমতি দিলেন এমন প্রশ্নের কোনো জবাব নিয়ে মাজারের ওই দায়িত্বশীল ফোন রেখে দেন।

তবে মাজারের খাদেম মুফতি শামিম আহমদ মুতাওয়াল্লির বরাত দিয়ে বলেন, শুটিং ইউনিট একটি প্রামান্যচিত্রের কথা বলে কিছু ভিডিও দৃশ্য ধারন করেছে।

নামাজের সময় শুটিং কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে জানি না। তবে আগামীতে এমন যেন না ঘটে সে বিষয়ে খেয়াল রাখবো।

এ বিষয়ে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ জানান বলেন, আমাদের কাছ থেকে কেউ এ ধরনের অনুমতি নেয়নি।

সৌজন্যে: সিলেট ভিউ