দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার-বানোয়াট তথ্য দিলে ব্যবস্থা নিন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ০২ ২০২৩, ২৩:৪১

বিদেশে অবস্থান করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালে সরাসরি জবাব দিতে হাইকমিশন ও দূতাবাসগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এসব কর্মকাণ্ড মনিটরিংয়ে একটি সমন্বয় কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন নিজ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করার দরকার নেই। এটি সরকারের মাথাব্যথার কারণ নয় এবং জনগণ না চাইলে আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় থাকবে না।

নির্বাচন, শাসন ব্যবস্থা, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিদেশে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এটা ঠেকাতে রোববার দূতাবাস ও হাইকমিশনগুলোতে বৈঠক করে নির্দেশনা দেয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া ওইদিন আইন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ মিশনগুলোর প্রধানদের নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদেরকে (রাষ্ট্রদূতদের) বলা হয়েছে, কেউ যদি মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেয়, তাহলে আপনারা চুপ করে ঢাকার দিকে তাকিয়ে থাকবেন না। মন্ত্রণালয় আপনাকে নির্দেশনা দিল, তখন আপনারা এর উত্তর দেবেন-এ জন্য বসে থাকলে চলবে না। আপনি (রাষ্ট্রদূত) একজন দায়িত্বশীল মানুষ। আপনি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। কেউ অপপ্রচার চালালে আপনি তাৎক্ষণিক উত্তর দেবেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষার যে পুরোনো অনুশীলন রয়েছে, তা ভুলে যান।

নির্বাচনকে সামনে রেখে অপপ্রচার রোধে ‘সমন্বয় কমিটি’ গঠন করা হলো কি না জানতে চাইলে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, নির্বাচনের বহু দিন বাকি। দুনিয়ার অন্যান্য দেশে নির্বাচনের আমেজ শুরু হয় ২ মাস আগে। বাংলাদেশে কী ঢং, এক বছর আগেই হইচই শুরু হয়ে যায়। আমরা নির্বাচন নিয়ে এত চিন্তিত নই। নির্বাচন নিয়ম অনুযায়ী হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা ও স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছেন। নির্বাচন সময়মতো হবে, সুষ্ঠু হবে। সরকার অবাধ, স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক এবং সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে সব দল এলে ভালো। যারা নির্বাচনে অংশ নেবে না, তারা নেবে না। আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাসী। জনগণ যাকে চাইবে, তাকে ভোট দেবে। আওয়ামী লীগের স্লোগান রয়েছে ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো’। আমরা এতে বিশ্বাস করি।

বিরোধী দলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশিদের আশ্বস্ত করার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের আশ্বস্ত করার দরকার নেই। আমি আমার কাজ করে গেলে, তারা (বিদেশিরা) বুঝবে। জনগণ আমার সঙ্গে থাকলে বিদেশি বা বিদেশি নন এমন মানুষের দরকার নেই।

সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যা বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সীমান্তে যেন কোনো লোক নিহত না হয়। এটা আমাদের কোনো ব্যর্থতাও নয়। আপনাদের দেখতে হবে, কেন ওই লোকটা মরল। ওটাও আপনারা খুঁজে দেখেন।