দুর্যোগ মোকাবেলায় আমরা আন্তর্জাতিকভাবে একটা দৃষ্টান্ত দেখাতে পেরেছি: প্রধানমন্ত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ১৩ ২০২০, ১৪:১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাঙালি পারে, বাংলাদেশের মানুষ পারে, এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমরা জাতির পিতার আদর্শ নিয়েই চলি। কাজেই তিনি আমাদের যে পথ দেখিয়ে গেছেন, সেই দেখানো পথেই আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্ত করব। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরাই একটা দৃষ্টান্ত দেখাতে পেরেছি আন্তর্জাতিকভাবে। সেদিক থেকে আন্তর্জাতিক শুধু স্বীকৃতি না বাংলাদেশ কিভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায় তার পথ দেখাতে পারছে। মানুষকে সাথে নিয়ে কিভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে সেটা আমরা করে যাচ্ছি। মূলত কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটা মোকাবিলা করা এবং সেটাকে ‍দূর করাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০২০ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কথা বলেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপটেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, সচিব মো. মহসিন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঘুর্ণিঝড় ,আম্পানের সময় ২৪ লাখ মানুষকে ঘরবাড়ি থেকে নিয়ে এসে তাকে শেল্টার দিয়েছি। এতো মানুষ কোন দেশ এভাবে পারবে না, কিন্তু বাংলাদেশে পেরেছে। আমরা পারি জাতির পিতার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে এই দেশের স্বাধীনতা এনেছি। আমরা অবশ্যই সেই বিজয় অর্জন করতে পারব।

তিনি বলেন, ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশন এই সভায় জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন তিনি দুর্যোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি স্বরূপ বিশ্ব অভিযোজন কেন্দ্র ঢাকা অফিস স্থাপনের ঘোষণা দেন। সেই প্রেক্ষিতে গত মাসে বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্রের (গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন-জিসিএ) কার্যালয় আমরা স্থাপন করেছি। আমরাই একটা দৃষ্টান্ত দেখাতে পেরেছি আন্তর্জাতিকভাবে, সেদিক থেকে আন্তর্জাতিক শুধু স্বীকৃতি না বাংলাদেশ পথ দেখাতে পারছে কিভাবে দুর্যোগ মোকাবিলা করা যায়। মানুষকে সাথে নিয়ে কিভাবে করতে হবে সেটা আমরা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝূঁকিতে যে দেশগুলো তাতে বাংলাদেশ একটা। জলবায়ু পরিবর্তনে ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলোর অনেক দেশ আছে হয়তো যদি একটু সাগরের পানি বেড়ে যায় সেসব দেশগুলো একেবারে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। আমাদের উপকূলীয় অঞ্চল, বসতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাহলে এই মানুষগুলো যাবে কোথায়? তাদের জায়গা দিতে হবে। এগুলো মোকাবিলা করার পদক্ষেপ এখন থেকেই নিতে হবে এবং আমরা তা নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যেই দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য জরুরি অপারেশন সেন্টার পরিচালনার কার্যক্রম শুরু করেছি। তাছাড়া স্কুল জীবন থেকেই ছেলে মেয়েদের দুর্যোগ মোকাবিলার শিক্ষা দিতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এই শিক্ষা দিতে হবে। সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি, আমাদের নিতে হবে।

ধর্ষণ প্রতিরোধে সরকার কঠোর অবস্থান রয়েছে বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, একটা সময় প্রচুর এসিড নিক্ষেপ হতো। এসিড নিক্ষেপ সেটাকে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। ধর্ষণকারী মানুষ নয় পশু হয়ে যায়। সেই জন্যই এই পাশবিকতা, যার ফলে আমাদের মেয়েরা ক্ষতিগ্রস্ত। সেজন্য আইনটি সংশোধন করে ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করা হয়েছে। যাবজ্জীবনের সাথে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ইতোমধ্যে মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। যেহেতু সংসদ অধিবেশন নাই, আমরা এটা অধ্যাদেশ জারি করে দিচ্ছি।