দুর্নীতির দায়ে সু চির ৫ বছরের কারাদণ্ড

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ২৭ ২০২২, ১৩:৪৪

সামরিক শাসিত মিয়ানমারের একটি আদালত দুর্নীতির দায়ে দেশটির সাবেক নেত্রী অং সান সু চিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

বুধবার (২৭ এপ্রিল) নেইপিদোর আদালত ইয়াঙ্গুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর কাছ নগদ ছয় লাখ মার্কিন ডলার এবং ১১ দশমিক ৪ কিলোগ্রাম সোনা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সু চিকে দোষী সাব্যস্ত করেন। গত অক্টোবরে সু চির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি তাকে ‘তার সমর্থনের বিনিময়ে’ ঘুষ দিয়েছিলেন।

আইনজীবীরা বিবিসিকে বলেছেন, তারা এখনও সু চির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি।

এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলে সু চির মোট কারাদণ্ডের মেয়াদ ১১ বছর হয়েছে, কারণ তিনি আগে অন্যান্য অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে অং সান সু চি গৃহবন্দী। সু চির বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি মামলা বিচারাধীন। এবারই প্রথম তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার রায় হলো।

৭৬ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী অং সান সু চির বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতিসহ ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে। তবে, তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলি আদালতের বিচারকে জালিয়াতি বলে নিন্দা করেছে।

মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোর একটি আদালত এই বিচারকার্য চলে। যেখানে মিডিয়ার প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল এবং সু চির আইনজীবীদের সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে।

এর আগে, সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি দেওয়া এবং করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে এক মামলায় গত ডিসেম্বরে সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে তা কমিয়ে দুই বছর করা হয়। আর অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি এবং ব্যবহারের আরেক মামলায় জানুয়ারিতে তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।

সবগুলো মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হলে ১০০ বছরের বেশি কারাদণ্ড হতে পারে ৭৬ বছর বয়সী এই নেত্রীর। বিচার শেষ হতেই লাগতে পারে কয়েক বছর। বিচার ও সাজা পাড়ি দিয়ে মিয়ানমারে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সবচেয়ে পরিচিত মুখটির রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা দিন দিন ক্ষীণ হয়ে আসছে।