দুই দুর্নীতিবাজ শক্তিকে ফেলে দিতে লাগে মাত্র ৩৪% ভোট

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ০১ ২০১৮, ০২:৫৭

ভোটের রাজনীতিতে এদেশের মানুষের মাঝে প্রবলভাবে একটি ধারণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির বৃত্ত ভাঙ্গা সম্ভব নয়। এই ধারণা থেকেই অধিকাংশ মানুষ এক জালেমের কবল থেকে বাঁচার জন্যে আরেক জালেমের আশ্রয় নেয়। জুলুমের বৃত্ত ভেঙ্গে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে না।
জনগণ যাতে এই দুই অশুভ শক্তির বলয় ছেড়ে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করতে না পারে, এজন্যই মূলত দল দু’টির নিয়ন্ত্রকেরা এদেশে জোটের রাজনীতি চালু করেছে। তারা চায়, দেশের ছোট-বড় সব রাজনৈতিক দল দুই কায়েমী শক্তি ভাগাভাগি করে নিক।

এই ভয়ঙ্কর চক্রের ষড়যন্ত্রের ফাঁদে যারা ফেসে গেছে, এদেশে তাদের স্বাধীন রাজনীতির পথ রুদ্ধ হয়ে গেছে। তাদের বর্তমান-ভবিষ্যৎ অন্যের হাতে। তাদের রাজনৈতিক বিকাশের কোন সুযোগ নেই। জমায়াতে ইসলামী চেষ্টা করেছিল, জোটবদ্ধ থেকেই নিজস্ব রাজনীতির বিকাশ ঘটাতে। তাতে তারা আরো বেশি বিপদগ্রস্ত হয়েছে।

আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ভোটের রাজনীতিতে দুর্নীতিবাজ দুই অপশক্তির বৃত্ত ভাঙ্গা সম্ভব।
আমরা যদি জোটপূর্ব ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করি, তাহলে দেখবো আওয়ামী লীগ, বিএনপির ভোট ৩০% এর কাছাকাছি। ১৯৯১-এর নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ৩০.৮% আর আর আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৩০.১% ভোট। ১৯৯৬-এর নির্বাচনে বিএনপি পেয়েছিল ৩৩.৬% এবং আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ৩৭.৪% ভোট।

এগুলো যে আওয়ামী লীগ বিএনপির নিজস্ব ভোট তা কিন্তু নয়। এর মধ্যে একটা বিশাল অঙ্ক আছে সুইং ভোটের। তার মানে, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নিজস্ব যে ভোট রয়েছে এর বাইরের ভোটের পরিমাণ কিছুতেই ৫০% এর কম নয়। এই ৪০-৫০% ভোট ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্যেই তারা জোটের রাজনীতি শুরু করেছে। অথচ দুই দুর্নীতিবাজ শক্তিকে ফেলে দিতে লাগে মাত্র ৩৪% ভোট।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এই সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই জনগণের জন্যে একটি আস্থার জায়গা তৈরি করার কাজ করে যাচ্ছে।

গাজী আতাউর রহমান
সংগঠক ও ইসলামী রাজনীতিবিদ