তুরস্ক কেন হোয়াটসঅ্যাপ বাদ দিয়ে বিআইপি ব্যবহার করছে?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জানুয়ারি ১৩ ২০২১, ২৩:২১

আব্দুল্লাহ আল মাসুম 

তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোগানের নির্দেশে মার্কিন নিয়ন্ত্রণাধীন অ্যাপ হোয়াটস অ্যাপ তুরস্কের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে! সেইসাথে হোয়াটস অ্যাপের বদলি তুর্কী নাগরিকদের পাশাপাশি সমগ্ৰ বিশ্বের মুসলিমদের তুরস্কের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তুর্কসেলের অ্যাপ বিআইপি ব্যবহারের অনুরোধ করেছে তুরস্ক!

এখন প্রশ্ন হলো কেন এরদোগান খুব তাড়াহুড়ো করে মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র একটি অ্যাপসে এতো জোর দিচ্ছে? এর কারণ কি জানেন? এর কারণ হলো আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট স্ট্রাম্পের এহেন পরিণতি! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট স্ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০ জানুয়ারী! কিন্ত তারই আগে তাকে ফেসবুক,গুগল,টুইটার,হোয়াটস অ্যাপ এককথায় পুরো বৈশ্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে ব্যান করা হয়েছে।

ব্যান করার ক্ষেত্রে সবার চেয়ে বেশী উৎসাহি হলো টুইটার! টুইটার আনুমানিক একমাস আগে থেকেই স্ট্রাম্পকে অঘোষিত নিষিদ্ধতা দিয়ে রেখেছিলো! যেহেতু এসব প্রতিষ্ঠান খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কথা না শোনে অজানা এক ডার্ক এনার্জির কথা শুনে ঐ ডার্ক এনার্জিকেই আসল মালিক মনে করে খোদ প্রেসিডেন্টকেই গৃহবন্দী করে ফেলছে! ফলে যুদ্ধ বা ভয়াবহ মূহূর্তে আশংকা আছে ঐ ডাক এনার্জির মালিকানাধীন এসব যোগাযোগ মাধ্যম তুরস্কের বিরুদ্ধে কাজ করবে! সেইসাথে জরুরি মূহূর্তে অথবা গোপনীয় বার্তা আধান প্রধানের মূহূর্তে হয় তা ফাঁস করে দিবে নতুবা পুরো একাউন্ট নষ্ট করে দিবে!

এই ভয় থেকে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এরদোগান মূলত মার্কিন যোগাযোগ মাধ্যমের বিকল্প তৈরী করতে চাইছে। যাতে বিপদ বা জরুরী মূহূর্তে কোনো সমস্যায় তুরস্ককে পড়তে নাহয়! আমি মনেকরি তুরস্ক ছোটোখাটো দিয়ে সবে শুরু করেছে,যদি বিআইপিতে সফল হয়,তাহলে আস্তে আস্তে গুগল,ফেসবুকের বিপরীত প্ল্যাটফর্মগুলোও তুরস্ক তৈরী করবে। তুরস্কের এই কাজে মার্কিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ক্ষতি হলেও,লাভবান হবে তুরস্ক ও মুসলিম বিশ্ব!