তালেবানদের ‘মুক্তিযোদ্ধা’ বলা লোকদের চিহ্নিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ২৩ ২০২১, ১৪:৫৭

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সকল ধর্মাবলম্বীদের জন্য সম্প্রীতি স্থাপনে কাজ করতে সকল জনপ্রতিনিধিকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

২২ অক্টোবর শুক্রবার নীলফামারীর সৈয়দপুরে ‘বঙ্গবন্ধু কমিউনিটি সেন্টার’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, যারা তালেবানদের মুক্তিযোদ্ধা বলছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

স্থানীয় জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, যারা যেখান থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তাদের এলাকাকে নিরাপদ রাখতে হবে। তাদের করণীয় ঠিক করতে নির্দেশনার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কুরআন শরীফ রাখার ঘটনাকে ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ মন্তব্য করে তাজুল ইসলাম বলেন, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এবং যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে রেখে বাংলাদেশের মানুষকে পাকিস্তানের কায়দায় দরিদ্র করে রেখেছিলো তারাই নিজেদের অভিসন্ধি কায়েমের জন্য এটা ঘটিয়েছে। ইসলাম কোনোভাবেই অন্য ধর্মকে কোনোভাবেই অপমান, অপদস্থ করতে বলেনি।

আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে তালেবানরা এসেছে অসম্প্রীতির কারনে। ইরান, ইরাক ও লিবিয়া, সিরিয়া ও ইথিওপিয়ায় এক সময় উন্নত জীবনযাপন করতো। তাদের বাড়িঘরগুলোতে এয়ার কন্ডিশন ছিল, পানি ছিল, স্কুল কলেজে রমরমা অবস্থা ছিল ছেলে মেয়েদের। আজ সেখানে ধ্বংসস্তুপ, খাবার নেই। মানুষের আর্তনাদে আল্লাহর আরশ কেপেঁ উঠছে। আমরা নিশ্চয়ই এমন দেশ চাই না। কেউ কেউ আমাদের দেশকে এমন বানানোর চেষ্টা করছে। তারা তালেবানদেরকে মুক্তিযোদ্ধা বলতে চায়!

কোনো উসকানিতে উত্তেজিত না হয়ে সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। সৈয়দপুরের জমি নিয়ে রেল ও পৌরসভার মুখোমুখি অবস্থান প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এরকম কোথায় কোন জটিলতা থাকলে তা নিরসন করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

কমিউনিটি সেন্টার উদ্বোধনের পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দপুর পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপণা প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এহসান আদেলুর রহমান, স্থানীয় সরকার সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ খান, জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোখলেসুর রহমান, সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি, উপজেলা চেয়ারম্যান মোকসেদুল মোমিন।