তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে উভয় সংকটে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

সেপ্টেম্বর ২৪ ২০২১, ০৪:৩১

বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল আফগান অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আন্তর্জাতিক মহলে স্বীকৃতির প্রয়োজন তালেবানের। স্বীকৃতি না পেলে কোনো বৈদেশিক সাহায্যও পাচ্ছে না তারা।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তব্য দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করা করেছিল তালেবান। এরপরই তালেবানের স্বীকৃতি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। তালেবান সরকারের প্রতিনিধিকে জাতিসংঘ বক্তব্য রাখার অনুমতি দেবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, আফগানিস্তানের শাসক হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে উভয় সংকটে পড়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

চলতি বছরের আগস্ট মাসের মাঝামাঝি তালেবান পশ্চিমা সমর্থিত সরকারকে হটিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর বিশ্ব শক্তিধর দেশগুলো অবশ্য তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে।  তবে যোগাযোগ রক্ষা করলেও তালেবানকে এখনই স্বীকৃতি দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস তালেবান শাসকদের স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টিকে নাকচ করে দিয়েছেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন,  তালেবানের আরও সংবেদনশীল হওয়া উচিত। পাশাপাশি তাদের আন্তর্জাতিক মতামতকেও আমলে নেওয়া উচিত।

এমনকি চীন তালেবান সরকারের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করার পর তারাই প্রথম দেশ হিসেবে তালেবানকে স্বীকৃতি দেবে বলে আভাস পাওয়া গিয়েছিল। তবে এখনো চীন এ ব্যাপারে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

এ ব্যাপারে ইনস্টিটিউট অব স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ ইসলামাবাদের আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার কেন্দ্রের পরিচালক আমিনা খান জানান, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে স্বীকৃতি পাওয়াই তালেবানের অন্যতম লক্ষ্য হওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, এর আগে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে বেশ কয়েকটি দেশ। এ তালিকায় চীন ও রাশিয়ার মতো পরাশক্তিগুলো ছাড়াও রয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান ও তুরস্কের নাম। তবে তালেবান দ্বিতীয় দফায় আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দেড় মাসের বেশি পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোনো দেশই তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।