চাঞ্চল্যকর মা ও শিশু হত্যা মামলায় আটক ২ 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ২৫ ২০২২, ২০:৩০

রোকন মিয়া, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় চাঞ্চল্যকর মা ছেলের হত্যার ঘটনার চারদিন পর মুলহোতা উকিল বাবা জাকির হোসেন ওরফে জুফিয়াল ও আপন দেবর চাঁন মিয়া কে আটক করেছে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‍্যাব-১৪।

বুধবার দুপুর ১২টার দিক উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ান র‍্যাব-১৪ কর্তৃক প্রেস ব্রিফিং এ ক্লুলেস মা ও শিশু হত্যা মামলার দুই আসামীক গ্রফতার সম্পর্ক ব্রিফিং করেন।

র‍্যাব ১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পর স্কায়াড্রন লিডার (কোম্পানি কমান্ডার) আশিকউজ্জামান ও স্কায়াড্রন কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার সবুজ রানা জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে পূর্বপরিকল্লিতভাবে হাফসা আকতার (২৭) ও তার ৫মাস বয়সের শিশুকে নির্মমভাব গলাকেটে হত্যা করে। উক্ত ঘটনা নিয়ে ইলকট্রনিক্স ও প্রিট মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। র‍্যাব ১৪ জামালপুর ক্যাম্পের প্রতিনিধি উক্ত ঘটনায় পরিদর্শন করেন ও ছায়া তদন্ত শুরু করেন। পরবর্তীত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার আসামীরা পালানার চেষ্টাকালে উকিল বাবা জাকির হাসন ওরফ জুফিয়াল (২৮) জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলা থেকে গত ২৪ মে দুপুর ১২টার দিকে আটক করে। আটককৃত জুফিয়ালের তথ্যের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলা শৌলমারী ইউনিয়নের বোয়ালমারী গ্রাম থেকে আপন দেবর চান মিয়া (৪৩) কে আটক করে। আটককৃত জুফিয়াল রৌমারী উপজেলার ওকরাকান্দা গ্রামের গোলাম শহিদের ছেলে ও একই গ্রামের বাহাদুরের ছেলে চাঁন মিয়া। প্রেস ব্রিফিং শেষে আটককৃত আসামীদের রৌমারী থানায় হস্তান্তর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ২১ ম ভোররাতে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের নতুনবন্দর হাজিপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ ও পাশেই শিশুরটির মা হাফসা আকতার হারনাকে গলাকাটা অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরিবারর লোকজন হাফসাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎিসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করলে পথিমধ্যে তার মত্যু হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করেন। এ ঘটনায় হাফছার পিতা বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি অজ্ঞাত নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার চার দিন অতিবাহিত হলও পুলিশ মামলার কোনও ক্লু ও আসামীদের গ্রেফতার করতে পারেনি। অপরদিকে ২২ মে আসামীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও থানা ঘেরাও করে রৌমারীবাসী।