গ্লোবাল পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ানের এ্যাওয়ার্ড’র মনোনয়ন পেলো ‘সেভ সিলেট’

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ১৯ ২০২১, ২০:১৬

শান্তি ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতি হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত ‘গ্লোবাল পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়ান’ অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনয়ন পেয়েছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেভ সিলেট-এর প্রতিষ্ঠাতা আয়ান মুমিনুল হক।

বাংলাদেশ ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন ফোরাম (বিডিএসআইএফ) ও ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন ফোরাম (ডিএসআইএফ) যৌথভাবে এ পুরস্কারের প্রবর্তন করেছে।

এবার ৬টি ক্যাটাগরিতে ১৮ জনকে সাহসী ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা ও নেতাকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে। চূড়ান্ত মনোনীত ১৮ জনকে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক শান্তি দিবসে মরুদেশ দুবাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, শান্তি ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতির জন্য প্রবর্তিত এ পুরস্কারের জন্য এবার বিশ্বের ৩১টি দেশ থেকে ১ হাজার ৬৭৫টি আবেদন জমা পড়ে। গত ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নের আবেদন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এর মধ্যে থেকে গত ১৬ আগস্ট ৪৮ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে সংস্থাটি। এদের মধ্যে ২০ জনই মনোনীত হয়েছেন বাংলাদেশ থেকে।

বাংলাদেশ থেকে মনোনীতদের মধ্যে সেভ সিলেট-এর প্রতিষ্ঠাতা আয়ান মুমিনুল হক ছাড়াও রয়েছেন ইকো নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠাতা শামীম আহমেদ মৃধা, শিক্ষাবিদ তন্ময় পাল চৌধুরী, ড্রিম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আরিফুর রহমান শাফায়েত, সিজ দ্য ডে’র হেড অব মার্কেটিং আকিদা বিনতে ইসলাম নুহা, ডা. মো. রিফাত আল মাজিদ ভূঁইয়া, গিভ বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ সাইফুল্লাহ মিঠু, ডিবে অর্গানাইজার বিডি’র প্রেসিডেন্ট এইচ এম মারজান, প্রত্যুষ প্রতিষ্ঠাতা তানভির হাসান, নন্দিতা সুরক্ষা প্রতিষ্ঠাতা তাহিয়াতুল জান্নাত, হেল্প দ্য ফিউচার প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল্লাহ খালেদ এবং ওয়ান অব ইউ প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল ইসলমা নিলয়। বাংলাদেশে থেকে আরও নির্বাচিত হয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার্স প্রতিষ্ঠাতা এ এস এম সাদমান সাকিব, ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব হুইলচেয়ার ক্রিকেটের সিইও মাহবুবুর রহমান, কলামিস্ট সাজিয়া আফরিন সুলতানা, বাংলাদেশ ইয়্যুথ মেন্টাল হেলথ অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা আইমান মাহমুদ, আর্শি কো-ফাউন্ডার সৈয়দা নাজনিন আহমেদ, পেনি ফর মানি’র প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জেসান রেহমান এবং ইয়্যুথ প্রেনিয়র নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ।

পাশাপাশি টিম ব্যর্থ ও ইয়্যুথ অ্যাকশন ফর বাংলাদেশ নামের দুইটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও বাংলাদেশ থেকে মনোনীত হয়েছে।

এছাড়াও বিশ্বের বিভন্ন দেশ থেকে মনোনীতরা হলেন- যুক্তরাজ্যের ক্রিয়েটিভ আর্টস ডিরেক্টর অ্যালে জালাতার, পাকিস্তানের সোশ্যাল অ্যক্টিভিস্ট ফারহান উইলিয়াত ভাট, লাইবেরিয়ার পাবলিক স্পিকার অ্যাম্ব এলিয়াজার এস বার্ক লে, নাইজেরিয়ার ইয়াফ-ইয়াং আফ্রিকার প্রতিষ্ঠাতা রুথ এগবেদি, আফগানিস্তানের আহমাদ নাওয়িদ মুবারিজ, শ্রীলঙ্কার গণমাধ্যম কর্মী আথামবাওয়া মোহাম্মাদ হিজাম, ভারতের অর্গানিকো বিউটিফাইয়িং লাইফ প্রতিষ্ঠাতা পুজা কাউল, ঘানার বোনাবিয়ার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা বার্নার্ড কফি বোনারপার্তে, দক্ষিণ আফ্রিকার মোটিভেশনাল স্পিকার দেইখ লেদি মোয়াবিলো, মালোয়েশিয়ার টিডিএস মালোয়েশিয়া চেয়ারপাসন জয়া দেবি শ্রিনিওয়াশান, পাকিস্তানের সামীর খান, ফিজির ক্রিস্টিকা সিং, তাইওয়ানের নিকোলে, চীনের লিজ ইয়ং ওং, নাইজেরিয়ার বাবাংগিদা কবির রমা এবং ফিনল্যান্ডের সালাদো কাসিম।

এর বাইরেও ভারত থেকে সমাজকর্মী প্রুধি গোল্লা, প্রদীপ দাশ গুপ্ত, ড. শঙ্করপ্পা নীলাঞ্জনা স্যান্যাল ও আনুশকা সিনহা। প্রথাম ধাপে আরো মনোনয়ন পেয়েছেন- নাইজেরিয়ার আজুবাইক মাইকেল নাওচাকু, শ্রীলঙ্কার সারওয়ান সারানায়া, লাইবেরিয়ার হ্যানসন জি ব্লায়ন, গায়ানার ব্রাডলি ডনার এবং ফিলিপিনের জোভেন আলকানটারা।

এ বিষয়ে বিডিএসআইফ ও ডিএসআইএফ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলী আকবর বলেছেন, মূলত যাদের অনুকরণীয় প্রচেষ্ঠা অন্যদের জীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করেছে এবং শান্তি ও মানবিক সেবার সংস্কৃতিতে ধারাবাহিকভাবে অবদান রেখেছে তাদেরকেই এই পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। ইন্টারফেইথ লিডারশিপ, লিডারশিপ ইন স্ট্রেনথেনিং ফ্যামেলিস, আউটস্টান্ডিং সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, গুড গভার্নেন্স অ্যাওয়ার্ড, ইনোভেটিভ স্কলারশিপ ফর পিস এবং গ্লোবাল পিস অ্যাওয়ার্ড ক্যাটাগরিতে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।