গণধিকৃত ভুঁইফোড় গণকমিশনের মিথ্যা শ্বেতপত্র প্রকাশ রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল -বাংলাদেশী মুসলিম ইউ,কে

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ২২ ২০২২, ২১:৫৩

গণধিকৃত,ভুঁইফোড় গণকমিশন কর্তৃক দেশের ১ হাজার মাদ্রাসা ও মুহাতামীম এবং ১১৬জন শীর্ষস্থানীয় পীর-মাশায়েখ, আলেম ও জনপ্রিয় ইসলামী আলোচকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কল্পিত অভিযোগে অভিযুক্ত করে তৈরিকৃত শ্বেতপত্র দুদকে হস্তান্তরের মতো ন্যাক্কারজনক অপকর্মের তীব্র নিন্দা এবং এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনানুগ দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি জোড় দাবী করেছে বৃটেনের সর্বদলীয় উলামা সংগঠনঃ”বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকে”।

গত ২০শে মে রবিবার সন্দ্যা ৮ ঘটিকায় বাংলাদেশী মুসলিমস ইউ কে উদ্দোগে সেন্টার ফর ইসলামিক গাইডেন্স এর হল রোমে এক প্রতিবাদ অনুষ্টিত হয়, এতে বক্তারা বলেন কথিত নাস্তিক্যবাদী গোষ্ঠী নিয়ন্ত্রিত গণকমিশন দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। ইসলাম ও মানবতার দুশমন ঘাদানিক চক্র দেশকে একটি ব্রাম্ম্যন্যবাদী রাষ্ট্র বানাতেই শীর্ষ আলেম ও কওমি মাদরাসার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন শ্বেতপত্র জমা দিয়েছে।
বক্তারা বলেন, কওমি মাদরাসাগুলো হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। কথিত গণকমিশন শ্বেতপত্রের মাধ্যমে শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ দায়েরের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বলেন, “সংবিধানের কোন অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতা বলে কথিত “গণকমিশন” দেশের নাগরিকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলো ?
তারা সবসময় দেশকে অস্থিতিশীল করতে কৌশলে ইসলাম এবং উলামায়ে কেরামকে টার্গেট করে বিভিন্ন ভাবে কূটকৌশলের মাধ্যমে ইসলাম বিদ্বেষী কাজ পরিচালনা করে থাকে,যা দেশ রাষ্ট্রের জন্য মারাত্বক হুমকি স্বরুপ।
উলামায়ে কেরাম বলেন, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, ঐতিহাসিকভাবেই কওমি মাদরাসা এবং ওয়াজ মাহফিল এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষদের কে ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতা শিক্ষায় যে অবদান রাখছে তা সরকার,সরকার প্রধানও নির্ধিদায় স্বীকার করে থাকেন।
বক্তারা আরো বলেন, কোন প্রকার এখতিয়ার এবং যোগ্যতা ছাড়া বিতর্কিত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিশন ঢালাওভাবে দেশের শীর্ষস্হানীয় আলেমদের অপমান এবং অপদস্ত করতে যে রিপোর্ট দুদকে জমা দিয়েছে সেটা ধর্মীয় উষ্কানির শামিল। অন্যদিকে এধরণের হীন কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে টক-শোতে বক্তব্য রাখা শেখ মাওলানা এনায়েত উল্লাহ আব্বাসীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে আরেক বিতর্কিত সংগঠন “মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ” যা সত্যিকার ভাবে সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে।
বক্তারা দাবী করে বলেন, আমরা দেখতে চাই দুদক, অর্থপাচারকারী, অবৈধ মুজদকারী, মাদক চোরাকারবারি এবং অবৈধ কালো টাকার মালিকদের তালিকা করে প্রচলিত আইনে বিচার সহ “গণকমিশনের”দেশের প্রচলিত আইনে ধর্মীয় উষ্কানি দেবার অপরাধে বিচারের আওতায় নেওয়া হয়েছে।

বৃটেনের সর্বদলীয় ও সর্বচ্চ উলামা সংগঠন বাংলাদেশী মুসলিমস ইউকের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ মাওলানা ইমদাদুর রাহমান মাদানীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী মাওলানা শাহ মিজানুল হকের পরিচালনায় অনুষ্টিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেনঃ
শরিয়া কাউন্সিল ইউকের চেয়ারম্যান ও দাওয়াতুল ইসলামের আমীর শেখ মাওলানা আবু সাঈদ,খেলাফত মজলিসে ইউরোপের প্রধান পরিচালক ও কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল কাদির সালেহ,দাওয়াতুল ইসলামের সাবেক আমীর শেখ মাওলানা এ কে এম মাওদুদ হাছান,ইষ্ট লন্ডন মসজিদের ইমাম হাফিজ মাওলানা আবুল হোসেন খান,জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ইউ কের সভাপতি মাওলানা শোয়াইব আহমদ,খেলাফত মজলিসের ইউ কে সভাপতি মাওলানা সাদিকুর রাহমান,বাংলাদেশী মুসলিমস ইউ কের সভাপতি মন্ডলির অন্যতম সদস্য ও অর্থসচিব মাওলানা মুমিনুল ইসলাম ফারুকী,খেলাফত মজলিস ইউ কের সহসভাপতি হাফিজ মাওলানা হাছান নূরী চৌধুরী, হাফিজ মাওলানা আব্দুল কাদির,জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের ইউকের সেক্রেটারী হাফিজ মাওলানা সৈয়দ তামীম আহমদ,বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা রফিক আহমদ রফিক,ইকরা একাডেমির পরিচালক মাওলানা এফ কে এম শাহজাহান,
বাংলাদেশী মুসলিম ইউকের প্রচার সম্পাদক মাওলানা তায়ীদুল ইসলাম,দারুল উম্মাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা আবুল হাসানাত চৌধুরী,খেলাফত মজলিস লন্ডন সিটি শাখার প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা দিলওয়ার হোসেন, প্রমূখ।