গণকমিশনের অর্থের উৎস খুঁজতে দুদকে আলেমদের স্মারকলিপি প্রদান

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ২৩ ২০২২, ১৯:০৮

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্ত কমিশন গণকমিশনের অর্থের উৎস ও দুটি সংগঠনের সদস্যদের সম্পদের পাহাড় অনুসন্ধানের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) স্মারকলিপি দিয়েছেন ‘‘ইসলামিক কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশ’’ এর ১১ জন আলেম।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেনের কাছে তাঁরা এই স্মারকলিপি দেন।

ইসলামিক কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা দেওনার পীর মিজানুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ১১ জনের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি দিতে দুদকে যায়। মিজানুর রহমান চৌধুরী হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির।

স্মারকলিপি দিয়ে ফেরার সময় মিজানুর রহমান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গণকমিশন ১১৬ জন আলেম ও ইসলামি বক্তা এবং সহস্রাধিক মাদ্রাসার বিরুদ্ধে দুই হাজার পৃষ্ঠার যেসব অভিযোগ এনেছে, এর কোনো ভিত্তি নেই। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মনে করি, এটি একটি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র এবং দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করার অপচেষ্টা মাত্র।

এর মাধ্যমে তারা এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চায়। এর একটি হচ্ছে, আড়াই বছর ধরে আলেমরা মাঠে নেই। এখন তাদের উসকানি দিয়ে মাঠে–ময়দানে নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, সরকারের সঙ্গে একটা সংঘাত সৃষ্টি করে কওমি মাদ্রাসাগুলো বন্ধ করার চক্রান্ত চলছে।’

মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, গণকমিশনের সদস্যরা জাতিকে যেমন ব্ল্যাকমেল করেছেন, তেমনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানকেও ব্ল্যাকমেল করেছেন। ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন, এই প্রতিবেদনে কী আছে, তিনি পড়ে দেখেননি। এ ধরনের গণকমিশনের কোনো আইনি ভিত্তি নেই।

মিজানুর রহমান চৌধুরী অনতিবিলম্বে দুদকে জমা দেওয়া গণকমিশনের প্রতিবেদনটি প্রত্যাহার করার দাবি জানান।

দুদকের চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়, বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস ২০০৩ শীর্ষক শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে গণকমিশন। এ কাজে তাদের বিশাল অর্থ ব্যয় হয়েছে। আইনি ভিত্তি নেই, এমন কাজে তাদের অর্থব্যয়ের বিষয়টি স্বাভাবিক নয়। এ অবস্থায় এই সংগঠনের আয়ের উৎস, অর্থের জোগানদাতা এবং আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

অবিলম্বে নেতৃবৃন্দ নীচের তিনটি বিষয় সমাধান করার জন্য দুদকের প্রতি জোরদাবি জানান। দাবীগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—

১. ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়-ব্যায় ও তহবিলের উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে হবে।

২. ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতৃবৃন্দের বিশাল সম্পদের উৎস ও আয় ব্যায়ের হিসাব দিতে হবে।

৩. গণ কমিশনের শ্বেতপত্রে অর্থের জোগান দাতাদেরর খোঁজে বের করতে হবে।

এসব বিষয় সমাধান না হলে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হবে এবং সরকারের কর্মকান্ডের স্বচ্চতা সম্পর্কে সন্দেহ জাগবে। বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ বিধায় অবিলম্বে এ বিষয়গুলো তদন্তপূর্বক দোষিদের শাস্তি দাবি জানান।