খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ১৯ ২০২২, ১৮:২৩

দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে দেওয়া মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

আগের মতো খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

গতকাল রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদনে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি প্রকাশ করেছেন। কাজেই মেয়াদ ৬ মাসের জন্য বৃদ্ধি হয়ে যাবে। আমরা জিও জারি করে দেব।

তিনি বলেন, কোর্টে নির্ধারিত যে শর্ত ছিল, সে অনুযায়ী সময়কাল ৬ মাস বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে গত ১১ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর আবেদন করেন বিএনপিপ্রধানের ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার।

সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর পাশাপাশি তাঁর নিঃশর্ত মুক্তি এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতিও চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।

এর আগে গত মার্চে আগের সব শর্ত বহাল রেখে পঞ্চমবারের মতো বিএনপি প্রধানের সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ায় সরকার। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর।

প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে দুর্নীতির দুই মামলার দণ্ড স্থগিত হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বিএনপি চেয়ারপারসন ছয় মাসের জন্য মুক্তি পান। মুক্তির জন্য সে সময় দুটি শর্তের কথা বলা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। এগুলো হলো খালেদা জিয়াকে বাসায় চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

২০২১ সালের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর প্রথম শর্তটি আর কার্যকর থাকেনি। তিনি বারবার এভারকেয়ারে যান এবং সেখানে ভর্তি হয়ে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। তবে স্বজনদের আবেদন ও তার দলের নানা কর্মসূচির পরও সরকার বিএনপি নেত্রীকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেয়নি।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়ার দণ্ড পরে আপিলে দ্বিগুণ হয়। এরপর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। উচ্চ আদালতে জামিন করাতে ব্যর্থ হওয়ার পর খালেদা জিয়ার স্বজনরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন নিয়ে যান।