কুলাউড়া পৌর নির্বাচন: ফলাফল প্রত্যাখান তিন মেয়র প্রার্থীর

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জানুয়ারি ১৮ ২০২১, ২১:০৩

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:

১৬ জানুয়ারি শনিবার অনুষ্ঠিত কুলাউড়া পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করে ভোট পূণ:গণনার দাবী জানিয়ে তিন মেয়র প্রার্থী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

(১৮ জানুয়ারী) সোমবার আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী ও বর্তমান মেয়র নারিকেল গাছ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব শফি আলম ইউনুছ পৌর মিলনায়তনে, ধানের শীষের প্রার্থী কামাল আহমদ জুনেদের পক্ষে বিএনপি কার্যালয়ে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতিকের মোঃ শাজান মিয়া তাঁর নিজ বাসভবনে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা এ দাবী জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে বর্তমান মেয়র শফি আলম ইউনুছ বলেন,কুলাউড়ার ইতিহাসে তাঁর জীবদ্বশায় স্থানীয় নির্বাচনে দিন-দুপুরে এমন ভোট জালিয়াতি ও ব্যালট ছিনতাই করে জোঁরপূর্বক ভোট প্রদান করে কেউ বিজয়ী হতে দেখেননি। সাধারণ জনগন এই পৌর নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখান করেছেন। তিনি অভিলম্বে ভোট পূণ:গণনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এদিকে ধানের শীষের প্রার্থী কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদের পক্ষে উপজেলা বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ ও ছাত্রলীগ বাহিনী পেশি শক্তি দিয়ে বিএনপির নিশ্চিত জয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা এ ফলাফল প্রত্যাখান করে পাশপাশি পূণরায় রি-নির্বাচনের দাবী জানাচ্ছি।

এর আগে জগ প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ শাজান মিয়া তাঁর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দাবী করেন তার নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে ছাত্রলীগ বাহিনী। উপজেলা ছাত্রলীগের সম্পাদক রুমেল তার ভাই সাবেক সম্পাদক রুবেল,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রাসেল ও ছাত্রলীগ নেতা মিজান বাহিনী ভোটের দিন প্রকাশ্যে প্রভাব বিস্তার করে ব্যালট ছিনিয়ে ৭ টি কেন্দ্রে জোর পূর্বক নৌকায় শীল দেয়। রুমেলকে পুলিশ হাতেনাতে ধরে হাতকড়া লাগালেও কোন অদৃশ্য কারনে প্রায় ১৫ মিনিট পর তাকে পুলিশ আবার ছেড়ে দেয়। এরপর সে তার বাহিনী নিয়ে অন্যান্য কেন্দ্রে গিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় জাল ভোট দেয়। এভাবে যদি জাল ভোট হয় তাহলে আমরা প্রবাস থেকে এসে কখনো প্রার্থী হতাম না। আমার নিশ্চিত বিজয়কে হারিয়ে উল্টো ১৫৩ ভোটে নৌকাকে জয়ী দেখানো হয়েছে। যা কুলাউড়া পৌরবাসী মেনে নিতে পারছেন না। তিনিও এ নির্বাচন বাতিল করে শীঘ্রই ঢাকা নির্বাচন কমিশনে নিয়ে ভোট পূণ:গণনার জোর দাবী জানান।