ক্ষমতার দাপটে ‘খাদ্য ফাণ্ড’ থেকে ১২৫ বস্তা চাল নিয়ে এলেন সিসিক কাউন্সিলর লায়েক; অবশেষে ফেরত

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ০৩ ২০২০, ১৯:৪৭

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ১২৫ বস্তা চাল নিয়ে দিনভর নাটক হয়েছে। অবশেষে জোর করে নিয়ে যাওয়া চাল ফেরত দিলেন কাউন্সিলর লায়েক। শুক্রবার বিকালে সিটি করপোরেশনের গাড়িযোগে চালগুলো ফেরত আনা হয়।

সিসিক সূত্রে জানা যায়, করোনায় অসহায় মানুষের জন্য দলমত নির্বিশেষে সিসিক ফান্ডে চাল ও নগদ টাকা দেন বিত্তবান লোকজন।

গত বুধবার সকালে অনেকটা জোর করেই ১২৫ বস্তা চাল নিয়ে যান ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক।

বিষয়টি সিসিক কর্তৃপক্ষ জানার পর মেয়রের নির্দেশে সেই চাল ফেরত আনা হয়। বিকাল ৪ টার দিকে সিটি করপোরেশনের গাড়িযোগে চালগুলো ফেরত আনা হয়।

এ ব্যাপারে সিসিক’র নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন জানান, অনেকটা জোর করেই চাল নিয়ে যান ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর লায়েক। বিষয়টি জানার পর মেয়রের নির্দেশে সেগুলো ফেরত আনা হয়। এখন প্যাকেট করে তাকে দেওয়া হবে।

সিসিক’র অন্য একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে জোর করেই কাউন্সিলর লায়েক চাল নিয়ে যান। কোন কর্মকর্তার কথাও আমলে নেননি তিনি। মেয়র ক্ষুদ্ধ হওয়ায় সেগুলো ফেরত আনা হয়েছে। এখন বাধ্য হয়েই সেগুলো তিনি ফেরত দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, নগরীর ২৭ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দের কাছ থেকে চাহিদাপত্র চাওয়া হয়েছে। তাদেরকে সে অনুযায়ী ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর যে চাহিদা দেন সেটি অনেকটা গরমিল ছিল।

বিভিন্ন সংস্থার তথ্য মতে তার এলাকায় অসহায় মানুষের সংখ্যা ১৫৪৫ জন। তারপরও আমরা তার জন্য বরাদ্দ করি ২৫০০ জনের। আর তিনি চাহিদা দেন ৬২০০ জনের।

কাউন্সিলর লায়েক জোর করেই ১২৫ বস্তা চাল নিয়ে যান। বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.একে মোমেনসহ বিভিন্নজনকে অবগত করা হয়েছে। পরে বিষয়টি আমরা বসব। শুক্রবার (৩ এপ্রিল) চালগুলো ফেরত নিয়ে আসা হয়েছে।

এছাড়া ওয়ার্ডের বিত্তবানদের কাছ থেকে ‘খাদ্য ফাণ্ডে’র নামে টাকা কালেকশন করে সেই টাকা সিসিকের ফাণ্ড জমা না দেয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে কাউন্সিলর লায়েকের বিরুদ্ধে।

৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লায়েক ব্যক্তিগত ফোনে যোগাযোগ করলে তার ব্যাক্তিগত সহকারী রবিউল ফোন রিসিভ করে বলেন, চালগুলো প্যাকেট করার জন্য দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবার সিটি কর্পোরেশন চালগুলো ফেরত নিয়ে পুনরায় প্যাকেট করে দিয়েছেন। আর তাদের কাছে মেমোও রয়েছে। পরে মেমোর প্রমাণ চাইলে অনেকটা অপারগতা প্রকাশ করে লাইন কেটে দেন কাউন্সিলরের সহকারী জান্নাতুল।