ওমর ফারুক ত্রিপুরা মসজিদ নির্মাণে বাধা প্রথম আলো সাংবাদিক বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা!

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

সেপ্টেম্বর ১৮ ২০২১, ০১:৪৫

শহীদ উমর ফারুক ত্রিপুরা মসজিদ নির্মানের অন্যতম বাধার নাম বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা বলে জানিয়েছেন মসজিদ নির্মাণ উদ্যোক্তারা।

তারা অভিযোগ করেন “প্রথম আলো সাংবাদিক বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা হলেন পাহাড়ি নওমুসলিমদের অন্যতম প্রধান শত্রু এবং দেশের সার্বভৌমত্ব টিকিয়ে রাখার পথে অন্তরায়।”

“শহীদ ওমর ফারুক ত্রিপুরা মসজিদ” নামের একটি ফেসবুক পেইজের ওয়ালে একজন উদ্যোক্তা ক্ষোভ ও আশংকা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, বান্দরবান সফরে পাহাড়ী নওমুসলিম সহ স্থানীয় সকল শ্রেনী পেশা মানুষের সাথে আমরা আলোচনা করেছি। আলোচনা করে যেটা বুঝতে পারলাম শহীদ উমর ফারুক ত্রিপুরা মসজিদ নির্মান এবং পাহাড়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য অনেক বড় হুমকি প্রথম আলো পত্রিকার সাংবাদিক বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা। সে আবার সন্ত্রাসী গ্রুপ জেএসএস- এর কেন্দ্রীয় কমিটির গণমাধ্যম সম্পাদক। অর্থাৎ সন্তু লারমা বুদ্ধ জ্যেতি চাকমার মাধ্যমে অস্ত্র সন্ত্রাসের পাশাপাশি মিডিয়া সন্ত্রাস ব্যবহার করে যাচ্ছে। একদিকে অস্ত্র দিয়ে বাঙালি এবং উপজাতি নওমুসলিমদের হত্যা করছে অন্যদিকে সেই হত্যাকাণ্ড মিডিয়া সন্ত্রাস দিয়ে ঘুরিয়ে দিচ্ছে! বাংলাদেশকে বিভক্ত করে জুম্মুল্যান্ড প্রতিষ্ঠা তার প্রধান টার্গেট।

আপনাদের মনে থাকার কথা,শহীদ উমর ফারুক ত্রিপুরাকে হত্যার পরে যখন আমরা সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের দাবি তুলছিলাম, যখন খুনিদের বিচারের মুখোমুখী করার অনুরোধ জানাচ্ছিলাম সেই মুহুর্তে গত ১৪ই জুলাই প্রথম আলো পত্রিকা ‘’পাহাড়ে নতুন নামে তৎপর আল কায়েদা জঙ্গিগোষ্ঠী’’ নামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলো বান্দরবান সংবাদদাতা বুদ্ধ জ্যেতি চাকমা।

প্রতিবেদনটি প্রকাশের সাথে সাথে আইনশৃখলা বাহিনী পাহাড়ের বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসায় অভিযান চালাতে থাকে। মুসলিমরা ভয়ে হত্যার বিচারের দাবির কথা ভুলে যায়। একদম নিশ্চুপ করে দেওয়া হয় ভুক্তভুগীদের! ভিক্ষা চাইনা কুত্তা ঠেকাও অবস্থা শুরু হয় সেখানকার মুসলিম উপজাতি- বাঙালিদের।

বুদ্ধ জ্যোতি চাকমার উথ্যানের শুরু বিদেশী পর্যটক উপহরণ দিয়ে। ২০০১ সালে রাংগামাটির নানিয়ার চর থেকে জ্যেতি চাকমার নেতৃত্বে ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরা তিন জন বিদেশী পর্যটক অপহরণ করে। তখন সে ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী ছিলো। এসময় নিরাপত্তা বাহিনী ইউপিডিএফ এর সদস্যদের গ্রেফতারের অভিযান পরিচালনা করলে সে পরিবার নিয়ে রাংগামাটি থেকে পালিয়ে বান্দরবানে আত্বগোপণ করে। এখানে এসে দল ত্যাগ করে সন্তু লারমার দল জেএসএস-এ যোগ দেয়। জেএসএস-এর পরিকল্পনায় তখনকার প্রথম আলোর রাংগামাটি জেলা প্রতিনিধি হরি কিশোর চাকমার সহযোগীতায় সে প্রথম আলোর বান্দরবান প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ পায়। একজন সন্ত্রাসী, দেশদ্রোহী হয়ে যায় গনমাধ্যম প্রতিনিধি।

সংবাদদাতা পরিচয় ব্যবহার করে সে ভারত এবং মায়ানমারে অধাবে চলাফেরা করে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের চালান আনার কাজ করে বলে অভিযোগ আছে। এছাড়া ২০০০ সালে সে ভারতের মিজোরামে অস্ত্র ট্রেনিং নিয়েছিলো। সেই যোগাযোগ এখনো সে রক্ষা করে চলেছে।

সাংবাদিকতার সুযোগ নিয়ে বুদ্ধ জ্যোতি চাকমা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ বিরোধী কর্মকাণ্ড এবং অপপ্রচারে লিপ্ত আছে। পাহাড়ি উপজাতি জঙ্গিদের কথার সাথে তাল মিলিয়ে সেখানকার যেকোনো উন্নয়ন মুলক কাজের বিরোধীতা করা তার প্রধান দায়িত্ব। একাধিকবার সে বিভিন্ন সভা সেমিনারে, সংবাদ প্রতিবেদনে সরকার, প্রশাসন, এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য ও সংবাদ প্রচার করেছে।

বান্দরবানের বহুল আলোচিত, নিন্দনীয় ছিলো ধর্মগুরু উ চ হ্লা ভান্তে। তিনি একজন ধর্মগুরু হলেও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল। মায়ানমার থেকে অস্ত্র আনার দায়িত্ব পালন করতো। এই ভান্তের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সব সময় বুদ্ধ জ্যেতি চাকমাকে তার সাথে দেখা যেতো। আলোচনা আছে উ চ হ্লা ভান্তের সকল অপকর্মের প্রধান অংশিদার ছিলো বুদ্ধ জ্যেতি চাকমা।

সম্প্রতি বান্দরবান জেলার জীবন নগর এলাকায় অবস্থিত চন্দ্র পাহাড়ে উন্নয়নমুলক কাজের অংশ হিসাবে সরকার একটি ফাইভ স্টার মানের হোটেল এবং পর্যটন এলাকা নির্মানের সিদ্ধান্ত নেয়। এই কাজের বিরুদ্ধে সকল উগ্র পাহাড়ী এবং ম্রো জনগোষ্ঠীকে ভুল বুঝিয়ে উস্কানি প্রদান এবং আন্দোলনের সকল প্রকার সহযোগীতা প্রদান করে।

২০২০ সালের নভেম্বর থেকে চন্দ্র পাহাড়ে ফাইভ স্টার হোটেল এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমুলোক মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রথম আলো ও তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ধারাবাহিক বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে।

আলীকদম- থানচি সড়কের ১১ কিঃমিঃ নামক এলাকার নওমুসলিম পাড়ায় যেয়ে তাদের একাধিকবার ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে বলে জানা যায়।

আরো জানা যায় প্রশাসনের হাতে বুদ্ধ জ্যোতি চাকমার অনেক কল রেকর্ড আছে। সেখানে সন্তু লারমা থেকে শুরু করে পাহাড়ের সব ধরনের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে দেশ বিরোধী আলাপ আলোচনা আছে। তারপরেও এই বুদ্ধ জ্যেতি চাকমাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তার এই শক্তির উৎস কি?

আমরা যখন মসজিদ নির্মাণ কার্যক্রম পুরোদমে শুরু করবো তখন এই বুদ্ধ জ্যেতি চাকমা তার মিডিয়া সন্ত্রাস শুরু করবে। কাজ শুরু করলে একদিকে সন্ত্রাসীদের দিয়ে আবারও হামলা চালানোর পরিকল্পনা করবে অন্যদিকে প্রথমআলো পত্রিকা দিয়ে মিথ্যা গল্প ফাঁদবে।

দেশ প্রেমিক জনতাকে বুদ্ধ জ্যোতি চাকমার তথ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানাই। প্রশাসনের কাছে দাবি করছি তাকে যেনো শক্ত হাতে দমন করা হয়।”