একজন দেশনায়কের কথা বলছি -সোয়ালেহীন করিম চৌধুরী

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

নভেম্বর ২৪ ২০২০, ০৭:২১

কিছুদিন পূর্বে একজন ফেইসবুকে আমার একটি পোস্টে প্রশ্ন করে বসলেন, দেশনায়ক মানে কি? প্রশ্নের মাঝে একটা অন্যরকম ইঙ্গিত ছিলো। আমি তা এড়িয়ে গিয়ে ছোট করে জবাব দিলাম – গণমানুষের বিভিন্ন নেতাকে ভালোবেসে বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের দেয়া বিভিন্ন উপাধির মতো একটি হচ্ছে দেশনায়ক। তিনি ভদ্রতার খাতিরে হয়তো আর কোনো কথা বাড়ান নি। কিন্তু আমার মাথায় কেনো যেনো তা ঘোরপাক খাচ্ছিলো। চিন্তা করছিলাম মানুষের মনে গেঁথে দেয়া ভূল ধারণাগুলো মূলোৎপাটন কিভাবে আমার মতো নগণ্য মানুষের পক্ষে সম্ভব? তারপরও চেষ্টা করতে ক্ষতি কি?

রাজকীয় অভিষেকের সুযোগ থাকলেও বগুড়া বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের তৃণমূলের রাজনীতিতে তিনি নিজেকে জড়িয়ে নেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির রাজনীতিতে প্রায় নেপথ্যে থেকে সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাঁর সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণের পর পরই জনপ্রিয়তায় ও জাতীয়তাবাদী শক্তির জাগরণে দেশবিরুধী পরাজিত শক্তিরা ভীত হয়ে চক্রান্ত শুরু করে। রাজনীতিতে এসেই তিনি বুঝতে পারেন দেশের উন্নয়ন চাইলে গ্রামের উন্নয়ন করতে হবে। তাই তিনি পিতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পথ অনুসরণ করে গ্রামেগঞ্জে, পথে প্রান্তরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তিনি গ্রামাঞ্চলের কৃষক- খেটে খাওয়া গরীব – মজুর – দুঃখী মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সুখ – দুঃখ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। দুঃখী মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাঁরই দূরদর্শিতা, অক্লান্ত পরিশ্রম, প্রজ্ঞা ও ক্যারিশমার কারণে বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় ২০০১ সালের নির্বাচনে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে তিনি সক্ষম হোন বিএনপির রাজনীতিকে আবার শিকড়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে। নিশ্চয়ই এতক্ষণে আঁচ করতে পেরেছেন আমি কার কথা বলতে যাচ্ছি। জ্বি তিনি আর কেউ নন তারুণ্যের অহংকার থেকে ধীরে ধীরে গণমানুষের স্বপ্নের নেতা হওয়া আমাদের আরেক রহমান দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান।

প্রিয় মাতৃভূমির মাটি ও মানুষ এবং দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জাগিয়ে তোলাই কাল হয়ে দাঁড়ায় বাবা মায়ের মতো বাংলাদেশেকে ভালোবাসা একজন তারেক রহমানের জন্য। জোট জমানায় ক্ষমতার দ্বিতীয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। অথছ দুর্নীতির কেন্দ্র নয় বাংলাদেশী জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিতদের জন্য তিনি গড়ে তুলেছিলেন গবেষণার কেন্দ্র। গড়ে তুলেছিলেন বিএনপিকে শক্তিশালী করে তোলার একটি পাওয়ার হাউজ। হলুদ সাংবাদিকরা গোয়েবলসীয় কায়দায় এই কেন্দ্রকে দূর্নীতির আখড়া হিসাবে প্রচারণা চালালেও বছরের পর বছর অতিক্রম করলেও আজ পর্যন্ত তা কোনো ভাবেই প্রমাণ করতে পারে নি।

ঔপনিবেশিক শক্তি জাতীয়তাবোধে উজ্জীবিত একজন তারেক রহমানের পথকে রুদ্ধ করতে চাইবেই। তাদের মদদপুষ্ট উচ্ছিষ্টভোজী রাজনৈতিক মতাদর্শধারীরা, সেবাদাস হলুদ সাংবাদিক অথবা মাথা বন্ধক দেয়া তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের শক্ত ধারক দেশপ্রেমে উজ্জীবিত একজন তারেক রহমানকে টার্গেট করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বহুধাবিভক্ত দেশপ্রেমিকদের অনেকেই যখন মিথ্যা প্রচারণার ফাঁদে পড়ে একই সুরে কথা বলেন তখন হতাশা আমাকে গ্রাস করে। নির্মম হলেও সত্য গোয়েবলসীয় প্রোপাগান্ডা দলের কর্মী সমর্থকদের মনেও আঁচড় কেটেছে। অথছ একটি বারের জন্য হলেও আমরা কি এমন প্রোপাগান্ডার গভীরে গিয়েছি? কেনো বার বার তাঁকে টার্গেট করা হচ্ছে তা ভেবে দেখেছি? বরং দেশকে ভালোবেসে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সাথে একজন তারেক রহমান আপোষ করেন নি বলেই এক যুগের বেশী সময় থেকে তিনি দেশান্তরী, অসুস্থ মা বাংলাদেশের তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী, আপোষহীন নেত্রী দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়া বছরের পর বছর থেকে বন্দী, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে নিজের একমাত্র ছোট ভাই আরাফাত রহমান কোকো পাড়ি দিয়েছেন অজানার উদ্দেশ্যে। অথছ দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে সামান্য আপোষরফা করলে এতো নির্যাতন আজ উনাকে ও উনার পরিবারকে সহ্য করতে হতো না। এই সত্যটা যতো তাড়াতাড়ি আমরা উপলব্ধি করতে পারবো ততই দেশের মঙ্গল, আমাদের মঙ্গল।

মনে রাখবেন নির্যাতন করে একজন তারেক রহমানকে নয় বরং উন্নয়নের দিকে দ্রুত অগ্রসরমান একটি বাংলাদেশকে পঙ্গু করে দেয়াই ছিলো ষড়যন্ত্রকারীদের মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না তারেক রহমানকে ভাঙ্গা যায় কিন্তু মচকানো যায় না। অসম্ভব উঁচু তাঁর মনোবল। বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনতার ভালোবাসা নিয়ে দেশনায়ক তারেক রহমান অচিরেই রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান হতে বীরের বেশে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করবেন এই দোয়া করি। দীর্ঘায়ু কামনা করি প্রিয় নেতার।

দেশনায়ক তারেক রহমান জিন্দাবাদ।।