ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণা, যুবক আটক 

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুলাই ৩০ ২০২১, ১৭:০৮

রোকন সরকার, কুড়িগ্রাম: পুলিশের কর্মকর্তা সেজে দেশের বিভিন্ন থানার অফিসারদের ফোন দিয়ে বিভ্রান্ত করে প্রভাব খাটাতো। কখনো এসআই সেজে ফোনে ভয়ভীতি দেখিয়ে জনসাধারণের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো। কখনো জনপ্রতিনিধি সেজে পুলিশের উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করতো।

এভাবে দিনের পরবদিন মোবাইলে কখনো পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কখনো থানার ওসি, কখনো মামলার তদন্দকারী কর্মকর্তা আবার কখনো জনপ্রতিনিধি পরিচয়ে পুলিশের উপর প্রভাব খাটাতো আতানুর রহমান নামে এক যুবক।অবশেষে প্রতারক আতানুর ধরা পড়ে যায় পুলিশের জালে।

প্রতারক আতানুরকে আটক করেছে কুড়িগ্রাম জেলার কচাকাটা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিষ্ণুপুর মন্ডলের বাজার থেকে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও তিনটি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফির অস্তিত্ব মিলেছে।

আটক আতানুর রহমান কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের চর বিষ্ণুপুর গ্রামের আমির আলীর ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, আতানুর গত ডিসেম্বর মাসে কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলমের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে উপজেলার বেরুবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন। সে সময় দুটি ফোন নম্বর ব্যবহার করেন তিনি। পরে ওই দুটি নম্বরের বিপরীতে একটি জিডি করেন ওসি। আটক আতানুরের কাছে পাওয়া তিনটি সিমের মধ্যে একটির নম্বরের সঙ্গে জিডি করা মোবাইল নম্বরের মিল পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি আতানুর কচাকাটা থানার এক এসআইয়ের পরিচয়ে ফোনে কচাকাটা বাজারের এক ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫ হাজার টাকা এবং একটি জিডির তদন্দকারী কর্মকর্তা সেজে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজনের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।

কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুব আলম জানান, “আতানুরের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড থেকে জানা যায়, সে বিভিন্ন থানায় ফোন দিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেছে এবং জনসাধারণের সঙ্গে তার প্রতারণার প্রমাণ মিলেছে। তার বিরুদ্ধে একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এবং একটি মোবাইল ফোনে পর্নোগ্রাফি রাখার অপরাধে দুটি মামলা হয়েছে।”