আল্লামা আনসারীর ইন্তেকালে জমিয়তের শোক প্রকাশ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ১৭ ২০২০, ২১:৫৫

বিশিষ্ট আলেমে-দ্বীন, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মুফাসসিরে কুরআন, জনপ্রিয় বক্তা, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সহ-সভাপতি আল্লামা জুবায়ের আহমদ আনসারী’র ইন্তেকালে গভীর শোকপ্রাকশ করে বার্তা দিয়েছে শতাব্দি প্রাচীন ইসলামী রাজনৈতিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।

আজ (১৭ এপ্রিল) শুক্রবার সন্ধ্যায় জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শায়খুল হাদীস আল্লামা শায়েখ জিয়া উদ্দীন ও মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এক যৌথ শোকবার্তায় মরহুম মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী’র বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন, বহুমুখী দ্বীনি খিদমত ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্তসমূহ গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে মহান আল্লাহ’র দরবারে তাঁর রূহের মাগফিরাত ও জান্নাত কামনা করেন।

শোকবার্তায় জমিয়ত সভাপতি ও মহাসচিব বলেন, মরহুম মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত নিরলস দাওয়াহ কার্যক্রম পরিচালনা তথা দ্বীনি ওয়াজ ও তাফসীর মাহফিলের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের কাছে পবিত্র কুরআন-হাদীসের মূল্যবান ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ ও ইসলামের বাণী তুলে ধরেছেন। তিনি অত্যন্ত সুমধুর ও হৃদয়গ্রাহীভাবে পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত করতেন এবং সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় আকর্ষনীয় উপস্থাপনার মাধ্যমে দ্বীনের বাণী তুলে ধরতেন। তাঁর মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক মানুষ হিদায়াতের পথে এসেছেন। তিনি অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও দ্বীনি কার্যক্রম থেকে নিজেকে বিরত রাখেননি। শারীরিক অনেক অসুস্থতা নিয়েও কষ্ট করে দ্বীনি মাহফিলে হাজির হতেন। পাশাপাশি তিনি বহু মাদ্রাসা, মসজিদ ও হেফজখানা প্রতিষ্ঠা করে দ্বীনি শিক্ষার বিস্তারে প্রশংসনীয় অবদান রেখে গেছেন। দেশ-বিদেশের অগণিত মানুষের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করেছেন। তাঁর ইন্তিকালে দ্বীনি ময়দানে বিশাল ক্ষতি হয়ে গেল।

শোক বার্তায় জমিয়ত শীর্ষ নেতৃদ্বয় মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী (রাহ.)এর অগণিত ছাত্র, ভক্ত, মুরীদ, শুভানুধ্যায়ী এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের সকলের সবরে-জামিলের জন্য দোয়া করেন।

উল্লেখ্য, মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী আজ শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে ব্রাহ্মণবাড়িয়াস্থ নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। ইন্তিকালের সময় মরহুম আনসারী ৩ পুত্র, ৪ কন্যা, স্ত্রী ও অসংখ্য ভক্ত-ছাত্র-গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।