আফগানিস্তানে হাফেজদের হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জে ছাত্র মজলিসের বিক্ষোভ মিছিল

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ০৬ ২০১৮, ২১:১৩

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় বায়তুল মাল ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহাম্মদ মনির হুসাইন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী আজ মুসলমানরা নির্যাতিত,ফিলিস্তিন, আরাকান, সিরিয়া ও আফগানিস্তানসহ সারা বিশ্বে মার্কিনী দোসররা ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের কান্দুজ শহরে একটি মাদ্রাসায় পাগড়ী ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে ড্রোন হামলা করে শতাধিক কুরআনে হাফেজসহ অনেক শিশু, মুসলিম কর্ণধার আলেমদেরকে বর্বরোচিত পদ্ধতিতে হত্যা করারা হয়েছে।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এ ধরনের জগন্যতম অন্যায়ের পরও জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিরব ভূমিকা পালন করছে।
তিনি এ ঘঠনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন,অবিলম্বে সংসদে এ ঘটনার প্রতি নিন্দা প্রস্তাব আনুন,এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে এর প্রতিবাদ জানান।

আজ ৬ এপ্রিল, শুক্রবার,বাদ জুমা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে ইসলামী ছাত্র মজলিস নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আফগানিস্তানের কান্দুজে শতাধিক হাফেজ হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

মহানগরী সভাপতি শাব্বীর আহমাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন,ঢাকা মহানগরী দক্ষিনের বায়তুল মাল সম্পাদক আফসার উদ্দিন হাওলাদার,নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বায়তুল মাল ও প্রকাশনা সম্পাদক নাঈম ইসলাম,প্রচার ও স্কুল কার্যক্রম সম্পাদক রিফাত হাসান।

জাহিদ হাসানের পরিচালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, খেলাফত মজলিসের ফতুল্লা থানা সভাপতি মুফতি আব্দুল গনী, বায়তুল মাল সম্পাদক আবুল কালাম,এনায়েতনগর ইউনিয়ন সভাপতি আব্দুল করিম মিন্টু,দাবানল শিল্পীগোষ্ঠীর রাকিবুল হাসান,আলম আদনান,প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সভাপতি শাব্বীর আহমাদ বলেন, সারাবিশ্বে যখনি কোনো মুসলমান নির্যাতিত হয় তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো নিরব হয়ে যায়। যেন মুসলমানরা কোনো মানুষ নয়। তিনি বলেন,মুসলমান হলো বীরের জাতি। এ জাতি কুরআনের সম্মান রক্ষায় প্রয়োজনে নিজের বুকের তাজা রক্ত দিতেও কুন্ঠাবোধ করেনা।তিনি অবিলম্বে আন্তর্জাতিক আইনে দোষিদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মিছিলটি প্রেসক্লাব থেকে চাষাঢ়া চত্ত্বর ঘুরে দুই নাম্বার গেট গিয়ে শেষ। শেষে শহীদদের মাগফেরাত কামনা করে দোআ করা হয়।