আওয়ামীলীগের অধীনে প্রহসনের নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না: পীর সাহেব চরমোনাই

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ০৩ ২০২২, ২০:২০

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই) বলেছেন, স্বাধীনতার ৫১ বছরে স্বচ্ছ একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা তৈরি করতে ক্ষমতাসীনরা ব্যর্থ হয়েছে। কালো টাকার মালিক ও গডফাদারদের কাছে নির্বাচন কমিশন অসহায়। ইভিএমের নির্বাচন জনগণ বিশ্বাস করে না। এমতাবস্থায় দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে প্রহসনের নির্বাচন দেশের জনগণ মেনে নেবে না।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর ২০২২ সেশনের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত করে ২০২৩ সেশনের জন্য শরিফুল ইসলাম রিয়াদ-কে কেন্দ্রীয় সভাপতি, নূরুল বশর আজিজী-কে সহ-সভাপতি ও ইউসুফ আহমাদ মানসুর-কে সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে ঘোষণা করেন।

আরও পড়ুন: ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন সম্পন্ন

৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম পূর্ব চত্বরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সংগঠনের কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০২৩-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম-এর সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মদ আল আমিন-এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম (শায়েখে চরমোনাই), মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান ও আলহাজ্ব মুহাম্মাদ আমিনুল ইসলাম, সহকারি মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ ও মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কে এম আতিকুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূমসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশের সর্বত্রই অরাজকতা বিরাজমান। দুর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে। দুর্নীতিবাজরা আঙুল ফুলে বটগাছ বনে যাচ্ছে। সরকারের দায়িত্বশীলদের সহায়তায় ঋণের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন এখন নখদন্তহীন কমিশনে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, দেশে মানুষের বাকস্বাধীনতা নেই। সাধারণ মানুষ সত্য কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে দেশের মানুষ আজ আতঙ্কিত। গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের লাগামহীন অস্বাভাবিক ঊর্ধগতিতে জনগণ আজ দিশেহারা। দেশের মানুষের এ কষ্ট লাঘবে কেউ সাড়া দেয় না।

প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, বর্তমান সরকার দেশকে অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে দিয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ব্ব ব্যাংক লুটেপুটে খেয়ে কোষাগার শূন্য করে রেখেছে। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ‘সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের অবস্থা যথেষ্ট উদ্বেগজনক’। শিক্ষা সিলেবাসের ম্যাধমে জাতিকে ধর্মহীন করার চক্রান্ত চলছে।

মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, শুধু নেতা ও দল পরিবর্তনের ম্যাধমে শান্তি আসতে পারে না। নীতি ও আদর্শের পরিবর্তন প্রয়োজন। এ লক্ষে আদর্শের দাওয়াত আমরা দিয়েই যাবো। কে-কী বললো, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না।

মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন- ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণে কাজ করার বিকল্প নেই। রাজনীতিতে আদর্শিক লড়াইয়ে বিজয় হতে হবে। জাতীয় সরকারের অধীনের নির্বাচন দিয়ে দেশকে শঙ্কামুক্ত করতে হবে।