৮৮ বছর পর আয়া সোফিয়া মসজিদে তারাবির নামাজ আদায়
একুশে জার্নাল ডটকম
এপ্রিল ০২ ২০২২, ১৮:৪৫
রমজান মাস আসার সাথেই বদলে গেলো তুরস্কের বিখ্যাত হায়া সোফিয়া মসজিদের চিত্র। দীর্ঘ ৮৮ বছর পর গতকাল প্রথমবারের মত এই মসজিদে তারাবিহ আদায় করলেন তুরস্কের মুসলমানরা। তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদলু এজেন্সি এবং টেলিভিশন চ্যানেল টিআরটি ওয়ার্ল্ড এই তথ্য জানিয়েছে।
আনাদলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়, ইস্তাম্বুলের হায়া সোফিয়া মসজিদটিকে ১৯৩৪ সালে জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছিল। এরপর ২০২০ সালে এটিকে আবার মসজিদের মর্যাদা ফিরিয়ে দেয় তুরস্কের এরদোয়ান সরকার। এরপর একই বছরেএ ২৪ জুলাই নামাজের জন্য উন্মুক্ত করা হয় মসজিদটি।
তবে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে ঝুঁকি এড়াতে মসজিদটিতে নামাজ বন্ধ রাখা হয়। তাই মসজিদে ফিরে যাবার দুই বছরেও আদায় করা যায়নি তারাবিহের নামায। তবে টিকার সহজপ্রাপ্যতা আর করোনার ঝুঁকি কমে আসায় এবার হায়া সোফিয়ায় অনুষ্ঠিত হলো তারাবিহ নামায।
মসজিদসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কেবল তারাবিহ নয় বরং পবিত্র রমজানের পুরোটা মাসজুড়ে হায়া সোফিয়ায় নানা আয়োজন থাকবে।
উল্লেখ্য, তুরস্কের সবচেয়ে বড় পর্যটন কেন্দ্র হায়া সোফিয়া ৫৩২ সালে নির্মিত হয়েছিল। তুর্কি সুলতান মাহমুদ ফাতাহ ১৪৪৩ সালে ইস্তাম্বুল বিজয়ের পর এটিকে মসজিদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তার আগে এটি প্রায় ৯১৬ বছর গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। তবে কামাল আতাতুর্কের ক্ষমতায় আসার পর এটিকে জাদুঘর ঘোষণা করা হয়েছিলো। এরপর দীর্ঘ ৮৬ বছর এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে এর আগে ১৪৫৩ সাল থেকে ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বছর এটি মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো হায়া সোফিয়াকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ১০ জুলাই তুরস্কের আদালত হায়া সোফিয়াকে জাদুঘর বানানোর ডিক্রি বাতিল করে মসজিদে ফিরিয়ে আনার পক্ষে রায় দেয়। একই বছরের ২৪ জুলাই থেকে হায়া সোফিয়ায় জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মসজিদে রূপান্তর হলেও হায়া সোফিয়াতে থাকা খ্রিস্টীয় কারুকার্য ও প্রাচীর চিত্রগুলো সংরক্ষণ করা হয়েছে। নামাজের সময় এগুলো ঢেকে রাখা হয়।