৩০ ডিসেম্বর ভোট চুরির মাধ্যমে স্বাধীনতার সব অজর্ন ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে: খেলাফত মজলিস
একুশে জার্নাল
ডিসেম্বর ৩০ ২০১৯, ২০:৩৩
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড: আহমদ আব্দুল কাদের বলেছেন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর ছিল জাতীয় কলঙ্ক দিবস। সেদিন ভোট চুরির মাধ্যমে স্বাধীনতার সকল অজর্নকে ধবংস করে দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে। আজ দেশ প্রকৃতই তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত হয়েছে। সরকার বিচার বিভাগ, প্রশাসনসহ সকলকে দলীয় কর্মীতে পরিণত করেছে। দেশের সার্বভৌমত্ব আজ বিলীন হতে চলেছে। আজ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী শাখা আয়োজিত “জনগনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দাও” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অবিলম্বে ভোটচুরির অবৈধ সরকারের পদত্যাগ দাবী করে ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই জাতিকে মুক্তি দিতে পারে। জাতির এ দুঃসময়ে এর বিকল্প নেই।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সভাপতি শেখ গোলাম আসগরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব মাওলানা মুহাম্মদ শফিক উদ্দিন, যুগ্মমহাসচিব এডভোকেট মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, মাওলানা তাফাজ্জল হোসাইন মিয়জী, প্রশিক্ষণ সম্পাদক অধ্যপক আব্দুল হালিম, ঢাকা মহানগরী যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শাহাবুদ্দিন খন্দকার, এডভোকেট তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, ময়মনসিংহ মহানগরীর সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, আবুল হোসেন, হারুনুর রশিদ, আমীর আলী হাওলাদার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগরীর সভাপতি শেখ গোলাম আসগর বলেন, ২০০৭ সালে মঈনুদ্দীন-ফখরুদ্দিন এর হাতেই গণতন্ত্রের মৃত্যু হয়েছে। এরপর ২০০৯ এর নির্বাচন, ২০১৪ এর নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের রাতের ভোট জাতীয় মর্যাদাকে তলানীতে পৌঁছে দিয়েছে। তিনি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে সর্বাত্মক গণ-আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।