২ ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে ২লক্ষ ৯০হাজার টাকা দিল এরফান আলী ফাউন্ডেশন

Raja Babu

Raja Babu

মে ১৮ ২০২৩, ১৯:৪২

বদিউজ্জামান রাজাবাবু, জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বেলেপুকুর এলাকার ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু শিক্ষার্থী সামিয়া যখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।চিকিৎসার জন্য ভারতের ব্যাঙ্গুলরে থেকে চিকিৎসার টাকার অভাবে চিকিৎসা করতে না পেরে মানুষের কাছে আকুতি জানিয়ে চিকিৎসা সহায়তা চাচ্ছিল।

অন্যদিকে নামোশংকরবাটী বাররশিয়া পাড়ার মোঃ শরিফুল ইসলাম ক্যান্সারের কেমু দেওয়ার জন্য টাকা যোগাড় করতে পারছিলেন না।ক্যান্সার থেকে বাঁচাতে
বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়ে অসহায়ের মত ঘুরছিলেন ঠিক এমনি সময়ে উত্তরাঞ্চলের শীর্ষ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এরফান গ্রুপের আত্মমানবতার সেবাই নিয়োজিত এরফান আলী ফাউন্ডেশন (প্রস্তাবিত) ২জন ক্যান্সার
আক্রান্তরোগীকে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রদান করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌর এলাকার বেলেপুকুর এলাকার নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী সামিয়ার চিকিৎসার জন্য তার বড় বোনের হাতে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন ও এরফান আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ এরফান আলী ২ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আহমেদ মাহবুব উল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসিফ হোসেন, এরফান গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডাউরেক্টর মোঃ কামরুজ্জামান, অ্যাডমিন মোঃ রেজাউল করিম, আব্দুল মান্নান সেন্টু স্মৃতি সংসদের সম্পাদক সমাজসেবক মোঃ তৌহিদুর রহমান। অন্যদিকে বুধবার দুপুরে পৌর এলাকার নামোশংকরবাটী বাররশিয়া পাড়ার মোঃ শরিফুলের হাতে তার কেমু প্রদান করার জন্য ৯০ হাজার টাকা দিয়েছেন এরফান আলী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মোঃ এরফান আলী ।

উল্লেখ্য দীর্ঘদিন যাবত চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার বেলেপুকুর এলাকার নবাবগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্রী সামিয়ার চিকিৎসার তার পরিবার, সাংবাদিক সাজেদুল হক সাজু ও সাংবাদিক শাহনেওয়াজ দুলাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জেলার বৃত্তবানদের কাছে চিকিৎসার জন্য সহায়তা কামনা করে আসছিলেন। এছাড়াও
নামোশংকরবাটী বাররশিয়া পাড়ার মোঃ শরিফুল তার কেমু দেওয়ার জন্য এরফান
আলীর কাছে সহায়তা চেয়ে আবেদন করলে এরফান আলী ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ সহায়তা দেন।