২০ হাজার পিস ইয়াবা পুলিশের হাতে হয়ে গেলো ২২০ পিস
একুশে জার্নাল
জুলাই ২৫ ২০১৮, ২৩:৪৫
একুশে জার্নাল ডেস্কঃ গ্রামবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাগুরার শালিখা পুলিশ ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। কিন্তু মামলা দায়েরের সময় ইয়াবার পরিমাণ কমে ২২০ পিস হয়ে যায়। এমনকি মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তথ্য দেয়ায় আসামি করা হয়েছে এক গ্রামবাসীকে।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার আদালতে শালিখা থানার অফিসার ইনচার্জের (ওসি) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মাগুরার দুর্নীতি দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামের বিশারত মোল্যার ছেলে মহব্বত হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়ে, গত ৩১ মার্চ কক্সবাজারের টেকনাফ এবং নারায়ণগঞ্জের তিন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা নিয়ে মাগুরার শালিখা উপজেলার সাবলাট গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী কামরুল ইসলামের বাড়িতে অবস্থান করছিল।
বিষয়টি জানতে পেরে ওই গ্রামের বিশারাত মোল্যার ছেলে মহব্বত হোসেন গ্রামবাসীকে সাথে নিয়ে ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ টেকনাফের সাবরাম শিকদার পাড়ার জামাল হোসেন, একই উপজেলার গুচ্ছগ্রামের সালিমুল্লাহ এবং নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিষনন্দী গ্রামের ইউসুফ আলীকে পুলিশে ধরিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পর তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও শালিখা থানার ওসি রবিউল ইসলাম উদ্ধারকৃত ইয়াবার পরিমাণ ২২০ পিস হিসেবে উল্লেখ করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সরিয়ে ফেলেন।
অন্যদিকে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দেয়ায় ক্ষুব্ধ শালিখা থানার ওসি আসামিদের সঙ্গে মহব্বত হোসেনের নামটিও জুড়ে নানাভাবে হয়রানি করছেন। শুধু তাই নয়, মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরবর্তিতে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা আদায় করলেও হয়রানি বন্ধ হয়নি।
মামলার বাদী মহব্বত হোসেন বলেন, রবিউল ইসলাম এখানে ওসি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পরই মাদকের ব্যবসা বিস্তার লাভ করেছে।
তবে শালিখা থানার ওসি রবিউল ইসলাম মামলাটি ‘শত্রুতামূলক’ বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, এই মামলার বাদী মহব্বত হোসেন এলাকার একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী। কিছুদিন আগে তার নেতৃত্বে একটি খুনের ঘটনা ঘটে। সে ওই আমলার অভিযুক্ত আসামি। তাছাড়াও তার বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। সে বিশেষ উদ্দেশ্যে এই মামলাটি দায়ের করেছে।
মামলার আইনজীবী গোলাম নবী শাহিন জানান, বুধবার আদালতে মামলার আবেদন দাখিল করা হলে দুর্নীতি দমন ট্রাইবুনালের বিজ্ঞ বিচারক শেখ মফিজুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে দুর্ণীতি দমন কমিশনকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।