হিজাব ইস্যুতে সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা
একুশে জার্নাল ডটকম
এপ্রিল ০৯ ২০২২, ১৬:৩২
নওগাঁর মহাদেবপুরে একটি বিদ্যালয়ে হিজাব ইস্যু তৈরির ঘটনায় কেউ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় নতুন গঠিত দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
গত ৬ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম, নবম ও দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া প্রায় ১৮ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করেন সহকারী প্রধান শিক্ষিকা আমোদিনী পালসহ দুই শিক্ষক, যা পরবর্তীকালে হিজাব বিতর্কে রূপ নেয়।
হিজাবের কারণে ওই ছাত্রীদের মারা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তবে স্কুলের অনেকে বলেছেন, হিজাব নয়, স্কুলের নির্ধারিত পোশাক না পরার কারণে দুই শিক্ষক বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বেত্রাঘাত করেন। তাদের মধ্যে হিন্দু ছাত্রী ও ছেলে শিক্ষার্থীও ছিল।
শনিবার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তথ্যমন্ত্রী। জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে এর আগেও বারবার সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে। তখনও সরকার কঠোর হস্তে এসব দমন করেছে। কাজেই হিজাব নিয়ে বিতর্ক করার কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হিজাব নিয়ে কেউ বিতর্কের চেষ্টা করলে কঠোর হস্তে তাদের দমন করা হবে।
খালেদা জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা বলে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বিষয়েও কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ। বলেন, হঠাৎ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব আবিষ্কার করলেন খালেদা জিয়া নাকি ভারী মুক্তিযোদ্ধা। এছাড়া মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কখন যে রাজাকারকেও বীর মুক্তিযোদ্ধা বলে বসেন সে বিষয়ে সংশয়ে প্রকাশ করেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সংজ্ঞাটা কী, তা আমি জানি না। কোন সময় ফখরুল ইসলাম বলে বসেন রাজাকাররাও আসলে বীর মুক্তিযোদ্ধা।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘পুলিশের আইজি ও ঢাকার পুলিশ কমিশনার যখন সমালোচনা করলেন তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপির অন্য নেতারা পুলিশকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে দিলেন। একটি যৌক্তিক সমালোচনা যদি একজন নাগরিক করে থাকেন সেটি তার ইচ্ছা।’