হাবিপ্রবিতে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত   

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ০৭ ২০২০, ২১:১২

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ । দিবসটি উপলক্ষে শনিবার (৭ ই মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে দিবসটির তাৎপর্যের ওপর ভিত্তি করে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় ।আলোচনা শেষে বঙ্গবন্ধু ও শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা.মো.ফজলুল হক (মুক্তিযোদ্ধা) , প্রক্টর অধ্যাপক ড.মো.খালেদ হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড.ইমরান পারভেজ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

সভায় আলোচকগণ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল আমাদের স্বাধীনতার মূলভিত্তি। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের নিপীড়ন,নির্যাতনকে উপেক্ষা করে এদিনই বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে স্বাধীনতার ডাক দেওয়া হয়। এরপরই দেশের মুক্তিকামী মানুষ চূড়ান্ত লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।এরপর দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

আলোচকগণ আরও বলেন, জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যা আমাদের জন্য গৌরবের।

প্রসঙ্গত,১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক উত্তাল জনসমুদ্রে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ডাক দিয়ে বলেছিলেন, ‘যখন আমরা মরতে শিখেছি তখন আমাদের কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না। মনে রাখবা রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব। তবুও এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো, ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’