হাফেজ গড়ার কারিগর হাফেজ এজহার ধর্মপুরীর ইন্তেকালে আল্লামা বাবুনগরীর শোক
একুশে জার্নাল
সেপ্টেম্বর ২০ ২০২০, ২২:৫২
হাফেজ গড়ার কারিগর হযরত হাফেজ মুহাম্মদ এজহার ধর্মপুরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব, হাটহাজারী মাদরাসার শায়খুল হাদীস ও প্রধান শিক্ষাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
আজ ২০ সেপ্টেম্বর রবিবার সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় আল্লামা বাবুনগরী বলেন- খাদেমুল কুরআন হযরত হাফেজ এজহার সাহেব রহ. ছিলেন হাফেজ গড়ার কারিগর।জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসা,কৈয়গ্রাম মাদরাসা,আজাদী বাজার মাদরাসা ও ধর্মপুর মাদরাসায় তিনি শিক্ষকতার গুরু দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন। পুরোটা জীবন তিনি কুরআনের খেদমতেই ব্যয় করেছেন। তৈরী করেছেন হাজার হাজার হাফেজে কুরআন। তিনি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন উস্তাদ ছিলেন। হুজুরের ইন্তেকালে আমি গভীরভাবে শোকাহত।
স্মৃতিচারণ করে হেফাজত মহাসচিব বলেন- হাফেজ এজহার ধর্মপুরী হুজুরের নিকট আমি পবিত্র কুরআন শরীফ হিফজ করেছি। এবং হিফজ শেষ করার পর এক বৈঠকে আমি পুরো কুরআন শরীফ হুজুরকে শুনিয়েছি। এক বৈঠকে পুরো কুরআন শরীফ শুনানোর কারণে হুজুর আমার উপর যারপরনাই খুশী হয়েছিলেন এবং প্রাণখুলে সবসময় আমার জন্য দুআ করতেন। তিনি আমাকে খুব বেশি মুহাব্বত করতেন।বিভিন্ন মজলিসে আমাকে নিয়ে তিনি গর্ব করতেন। আজকের দিনে হুজুরকে আমার খুবি স্মরণ হচ্ছে।
শায়খুল হাদীস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী আরো বলেন- হাফেজ এজহার সাহেব রহ. ছিলেন একজন আদর্শ ও যোগ্য উস্তাদ। পিতৃস্নেহে তিনি ছাত্রদেরকে পড়াতেন। হাজার হাজার হাফেজে কুরআন তিনি বানিয়ে গেছেন। কুরআনের জন্য তাঁর খিদমাত চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। কুরআনের গুরু খিদমাত আঞ্জাম দেওয়ার বরকতে মরেও তিনি অমর হয়ে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ।
তিনি আরো বলেন- হুজুরের জীবদ্দশায় আমাকে অসিয়ত করে গিয়েছিলেন হুজুরের ইন্তেকালের পর যেন আমি তাঁর জানাযার নামাজ পড়াই।অসিয়ত মোতাবেক আমি হুজুরের জানাযার নামাজ পড়িয়েছি।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী,মরহুমের শোক সন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, মহান প্রভুর দরবারে আমি দুআ করি, আল্লাহ তাআলা তাঁর সকল দ্বীনি খেদমতকে কবুল করুন এবং ত্রুটি-বিচ্যুতি ক্ষমা করে জান্নাতের সর্বোচ্চ স্থান দান করুন, আমিন।
উল্লেখ্য যে, গতকাল রাত ১০ টায় ফটিকছড়ি আজাদী বাজার মাদ্রাসার মাঠে হাজারো ছাত্র ও শুভাকাঙ্ক্ষীর উপস্থিতিতে তাঁর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।