হাটহাজারী মাদরাসায় সালাতুত তারাবীহ
একুশে জার্নাল
মে ০৫ ২০১৯, ১৫:৫২

হাবীব আনওয়ার
দেখতে দেখতে রহমত, নাজাত ও মাগফিরাতের বার্তা নিয়ে হাজির হল “শাহরুর রমদান” ।
বহুল প্রতিক্ষিত রমদানে বিশ্বব্যাপি মুসলিম উম্মাহ মেতে উঠবে ইবাদত-বন্দেগীতে। আনন্দমুখর ও ধর্মীয় উদ্দীপনায় শিশু-কিশোর, ধনী-গরীব, নবীন-প্রবীণ সকলেই প্রস্তুত পবিত্র রমদানকে স্বাগত জানাতে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে বাংলাদেশে আগামীকাল সোমবার অথবা মঙ্গলবার হতে মাহে রমদানের “সালাতুত তারবীহ”শুরু হবে।
মুসলিম বিশ্বের প্রধান প্রধান মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠনগুলোতে “সালাতুত তারাবীহ” আয়োজন হয়ে থাকে মহা সমারোহে। তারই অংশ হিসাবে বিশ্ববিখ্যাত দ্বীনি ইদারাহ উম্মুল মাদারিস দারুল উলুম হাটহাজারীতেও (হাটহাজারী মাদরাসায়) উত্তর চট্টগ্রামের উপজেলাসমুহ ও চট্টগ্রাম মহানগরীর উত্তরাংশের মুসল্লিদের ঢল নামে তারাবীহ আদায় করতে।
প্রতিদিন মাগরিবের পর হতে জমায়েত হতে থাকে লাখো মুসল্লি তারাবীহতে আদায় করতে।
ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মুসল্লিদের সুবিধার্তে জামিয়া কর্তৃপক্ষ খতমে তারাবীহ সহ আয়োজন করেছেন অনেকগুলো সালাতুত তারাবীহ’র জামাত।
প্রতিদিন জামিয়ার প্রধান জামে মসজিদ “বায়তুল করিম”র সাথে এশার নামাজের সময় ঠিক রেখে তারাবীহর প্রতিটি জামাত শুরু হবে। ১ম দিন এশার জামাত শুরু হবে রাত ৮:৪৫ মিনিটে। পরবর্তীতে তা কৃর্তপক্ষ এশার জামাতের সময় নির্ধরণ করে এলান করে জানিয়ে দিবে।
খতমে তারাবীহের জামাত হবে নিন্ম রুপে:
দারুল হাদীস মিলনায়তনে ৬দিনে খতম করা হবে।
জামিয়ার উত্তর মসজিদ (মসজিদে বায়তুল আতীকে) ১০ দিনে খতম করা হবে।
জামিয়ার প্রধান জামে মসজিদ বায়তুল করিমে ২০ দিনে খতম করা হবে।
নূরানী মুয়াল্লিম ট্রেনিং স্থালে ১০ দিনে খতম করা হবে।
শিক্ষা ভবন ৫ম তলায়(মুফতি আবু ছায়ীদ সাহেব এর রুমে) ৫ দিনে খতম করা হবে।
মেহমান খানায় ৪ দিনে খতম করা হবে এবং
আহমদ মনজিলে ৭দিনে খতম করা হবে। এ ছাড়া
মাদানী মনজিল ২য় তলায়, শরহ বেকায়ার দরসগাহ ও কনজ’র দরসগাহে সুরা তারাবীহ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে জামিয়ার সহকারী শিক্ষা পরিচালক মাওলানা আনাস মাদানী ও জামিয়ার সিনিয়র- মুহাদ্দিস মুফতি জাসিম উদ্দীন সাহেব ও জামিয়ার অন্যতম মুহাদ্দিস মাওলানা ওমর মেখলী ।
তাঁরা আরো জানান নামাজের স্থানসমূহ কর্তৃপক্ষ প্রস্তুত করে রেখেছন যাতে রমদানের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে তারাবীহর জামাত শুরু করা যায়। মুসল্লিদের ওজুর জন্য শিক্ষা ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরের অজুখানা, হাউজ এবং নুর মনজিলের নীচ তলায় ওজুখানা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং মাদরাসার মাঠ দুটিতে পার্কিং এর ব্যবস্থা থাকবে।